দক্ষিণবঙ্গ: সন্দেশখালি কাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টে তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই। রিপোর্ট দেখে বিচারপতির মন্তব্য, সিবিআইয়ের তদন্ত সঠিক পথেই এগোচ্ছে। জমির রেকর্ড নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে কিছু অসহযোগিতার অভিযোগ করা হয়েছে রিপোর্টে। আদালত আশা করে যে, রাজ্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে। যেহেতু, মামলায় সুপ্রিম কোর্টের কোনও স্থগিতাদেশ নেই, তাই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ যথাযথ ভাবে মানতে হবে বলে জানান প্রধান বিচারপতি।
এদিন আদালতে আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল দাবি করেন, ধর্ষণের ঘটনায় সিবিআইয়ের কাছে যাতে কোনও FIR দায়ের করা না হয়, এই মর্মে মহিলাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আইনজীবীর এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ বলে, ‘‘মানুষের মনে আস্থা বাড়ানোর জন্য সিবিআই-কে পদক্ষেপ করতে হবে। নিরাপত্তার বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে সিবিআই-কে। মহিলাদের ভয় দূর করার জন্য প্রয়োজন হলে মহিলা আধিকারিক নিযুক্ত করবে সিবিআই।’’
রাজ্যের কাছে সিবিআই যদি কোনও নথি চায় তাহলে রাজ্য সেটা এক সপ্তাহের মধ্যে সিবিআইকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৩ জুন। ১৩ জুন পরবর্তী অগ্রগতি রিপোর্ট পেশ করবে সিবিআই।
এদিন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকেও মামলায় যুক্ত হওয়ার অনুমতি দিল আদালত। প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘সিসিটিভি এবং LED আলো লাগানো হয়েছে কি না, তা নিয়ে কোনও রিপোর্ট দেয়নি রাজ্য। তাহলে এটা ধরে নিতে হবে যে রাজ্য এই নির্দেশের পালন করেনি এবং রাজ্য যদি এটা না করে তাহলে কলকাতা হাইকোর্ট আদালত অবমাননার অভিযোগে উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে পারে। যত দ্রুত সম্ভব সিসিটিভি এবং LED আলো লাগাবার ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্যকে।’’
আরও পড়ুন- রাশিফল মে ২০২৪; দেখে নিন এই মাস নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা
সন্দেশখালি কাণ্ডে গত ১০ এপ্রিল সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। জমি দখল, জমির চরিত্র পরিবর্তন, চাষের জমি ভেড়িতে পরিবর্তন করা, ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগের তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়। হাইকোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। রাজ্যের আবেদনের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি পিছিয়ে দেয়। জুলাই মাসে দ্বিতীয় সপ্তাহে হবে শুনানি। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট জানায় যে মামলা বিচারাধীন আছে, বলে কোথাও যেন কোনও তদন্ত বা বিচারপ্রক্রিয়া বন্ধ না থাকে।