Tag Archives: Kolkata High court

Calcutta High Court: বেআইনি পার্কিং নিয়ে আদালতে জনস্বার্থ মামলা! বিরক্তি প্রকাশ হাইকোর্টের

কলকাতা: বেআইনি পার্কিং ও পরিবহণ নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের মন্তব্য, “আমাদের কোনও নির্দেশই কাজে লাগবে না। যদি কারও কিছু করার ইচ্ছে না থাকে। আবার দেখতে হবে এই ইচ্ছেটা কোন ধরনের। প্রশাসনিক না রাজনৈতিক ইচ্ছা।”

বিধাননগর পুরসভা এলাকায় বেআইনি পার্কিং নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। ওই মামলায় প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, শুধু ওখানেই না পার্কিংয়ের ওই সমস্যা রাজ্যের সব শহরে। পুরসভার কোনও সদিচ্ছা না থাকলে এটা সমাধান করা সম্ভব নয়। এমনকি হাইকোর্ট চত্বরে গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে আদালত।

আরও পড়ুন: সাগরে ঘনাচ্ছে নিম্নচাপ! কলকাতা-সহ ৮ জেলায় ধেয়ে আসছে ভারী বৃষ্টি, সঙ্গে প্রবল বজ্রপাত! আবার তবে কি…

হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, আইনজীবী ছাড়াও অনেকে এই চত্বরে গাড়ি পার্কিং করেন। বৃহস্পতিবার বিধাননগর পুরসভাকে হাইকোর্টের নির্দেশ, বেআইনি পার্কিংয়ের সমস্যা মেটাতে দ্রুত দরপত্র ডাকার কাজ করতে হবে পুরসভার কমিশনারকে।

হাইকোর্টে রাজ্য জানায়, ইতিমধ্যে দরপত্র ডাকা হয়েছে। মামলাকারীর নির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে তিনি জানাতে পারেন। রাজ্যের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, “আপনারা ওই ভাবেই কাজ করুন। আপনার চেয়ারম্যান নির্বাচিত তিনি সব সুযোগ-সুবিধা পাবেন। আর জনগণ কোর্টের দ্বারস্থ হবেন।”

আরও পড়ুন: কলে ভাল করে শুনতে পান না, স্মার্টফোনের স্পিকার ঠিকমতো কাজ করে না? সহজ টিপস্ মেনে সারিয়ে ফেলুন

এই মামলাতে রাজ্যের বাস পরিষেবা নিয়েও প্রশ্ন তোলে হাইকোর্ট। তিনি বলেন, “যে বাসগুলি ফেলে দেওয়া আপনারা সেগুলি চালাচ্ছেন। চালক, কন্ডাক্টর-সহ যাত্রীদের জন্যও তা বিপদের হয়ে উঠছে। আপনাদের পরিবর্তন চোখে পড়ছে না। নিজেদের মানসিকতা পরিবর্তন করুন। বাসের ভাড়া কবে নির্ধারণ করেছেন? হয়তো ২০ বছর আগে। তাই তো বাস মালিকরা খরচ বাঁচাতে কেরোসিন বা বাজে তেল ব্যবহার করেন। এ সব কবে পরিবর্তন করবেন?”

Daughter Kidnapping Case: ‘নিজের মেয়েকেই অপহরণ বাবার’! হাইকোর্টের দ্বারস্থ শিশুর মা, স্বামীর অফিসকর্মীদের আদালতে হাজিরা, তোলপাড়

কলকাতা: নিজের মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ বাবার বিরুদ্ধে। স্বামীর বিরুদ্ধে সন্তান অপহরণের অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন স্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, সন্তানকে ছিনতাই করে নিয়ে গিয়েছেন স্বামী। তিনি যে কোনও সময় বিদেশে চলে যেতেন পারেন। তাঁকে যে কোনও উপায়ে আটকানো হোক। পুলিশও স্বামীকে খুঁজে পাচ্ছে না। হাইকোর্টে ওই মায়ের আবেদন, সন্তানকে ফিরিয়ে দিক আদালত।

সন্তান নিয়ে ‘পলাতক’ ওই ব্যক্তিকে খুঁজতে দেশ জুড়ে তল্লাশি করতে বলে বিচারপতি দেবাংশু বসাক ডিভিশন বেঞ্চ। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছে। বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রসিদির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্তকারী অফিসারকে ওই ব্যক্তির খোঁজ শুরু করতে হবে। সন্তানকে ফিরিয়ে আনতে যে কোনও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে পারবে পুলিশ।

এবার তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার নামী কোম্পানির শীর্ষ আধিকারিকদের এজলাসে হাজিরা দিতে হল শুক্রবার। বিচারপতি দেবাংশু বসাক ডিভিশন বেঞ্চে হাজির হলেন কোম্পানির ডিরেক্টর, কোম্পানি সিকিউরিটি ও এইচ আর ম্যানেজার। কারণ সেই সংস্থায় কাজ করছেন বাবা। মায়ের করা মামলায় পুলিশ সন্তানের হদিশ দিতে ব্যর্থ। তাই বাবার লোকেশন ট্র্যাক করতে কোম্পানির আধিকারিকদের তলব  হাইকোর্টের।

আরও পড়ুন: অভিনেতার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ! বাড়িতে ডেকে ঘরবন্দি করে হেনস্থা অভিনেত্রীকে

২০১২ সালে কলকাতার হাইল্যান্ড পার্কের বাসিন্দা অঙ্কন সরকারের সঙ্গে বিয়ে হয় শ্রাবণী দত্তের। ২০২২ সাল থেকে তাঁদের সম্পর্কে ভাঙন ধরে। আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নেন স্বামী ও স্ত্রী। তাঁদের পাঁচ বছরের কন্যা সন্তান কার কাছে থাকবে, তা নিয়ে কোর্টে মামলা দায়ের হয়। কন্যার অভিভাবকত্বের অধিকার নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন বাবা। নিম্ন আদালত জানায়, ওই নাবালিকা মায়ের কাছেই থাকবে। তবে ছুটির দিন তার সঙ্গে ফোনে কথা বলতে পারবেন বাবা। মায়ের দাবি, কোর্টের ওই নির্দেশ তিনি মেনে নেন। কয়েক সপ্তাহ ঠিক ভাবেই চলছিল। ১২ মে ২০২৪ এক রবিবার শপিং মলে যাওয়ার পথে মেয়েকে ছিনতাই করে নিয়ে যান স্বামী। ওই মহিলার বক্তব্য, একটি গাড়িতে করে এসে তাঁর স্বামী মেয়েকে তুলে নিয়ে যান। তার পর থেকে আর কোনও খোঁজ পাওয়া য়নি।

ওই ঘটনায় নিম্ন আদালত শিশু-সহ বাবাকে হাজিরার নির্দেশ দেয়। ওই নির্দেশ কার্যকর না হওয়ায় অঙ্কনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। তাতেও কাজ না হওয়ায় শিশুকন্যাকে ফিরে পেতে হাইকোর্টে ‘হিবিয়াস কর্পাসে’র অধীনে মামলা করেন শ্রাবণী।

বিচারপতি দেবাংশু বসাকের পর্যবেক্ষণ, ওই ব্যক্তি নিউটাউনের এক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় চাকরি করেন। ওই সংস্থার পক্ষে তাঁর হদিশ দেওয়া সম্ভব। তথ্যপ্রযুক্তির ডিরেক্টরকে সহযোগিতার নির্দেশ দেয় আদালত। ডিরেক্টর জানান, অঙ্কন অফিসে গিয়ে কাজ করছেন না। তিনি বাড়ি থেকে কাজ করছেন। ডিভাইস বলছে, ওই ব্যক্তি রাজ্যের বাইরে চলে গিয়েছেন। এর আগে তিনি মুম্বই থেকে বসে অফিসের কাজ করেছেন। আবার ওই ব্যক্তির ডিভাইস চালু হলে বলা সম্ভব তিনি ঠিক কোথায় রয়েছেন।

সন্তানের মায়ের আইনজীবী কৃষ্ণেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কাছ থেকে ওই ব্যক্তির মোবাইল নম্বর, ইমেল আইডি, ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নম্বর-সহ সমস্ত তথ্য নিয়ে অবিলম্বে খোঁজার কাজ শুরু করুক। আগামী ২৮ অগাস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি। ওই দিন পুলিশকে রিপোর্ট দিতে হবে আদালতে।

Kolkata High Court: আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ, হাইকোর্টে দায়ের হল মামলা

কলকাতা: স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন প্রতিবাদের রাতেই বহিরাগতদের তাণ্ডবে তছনছ হয়ে গেল আর জি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগ৷ চলল বেপরোয়া ভাঙচুর৷ রড, লাঠি নিয়ে পুলিশের ব্যারিকেড টপকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ঢুকে পড়ল বহিরাগতরা৷ এমনকি, পুলিশের পাশাপাশি উপস্থিত চিকিৎসক-নার্সদেরও আক্রমণ করার অভিযোগ উঠল তাঁদের বিরুদ্ধে৷

গত বুধবার রাতে আর জি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় এবার প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জনস্বার্থ মামলা করলেন আইনজীবী সৌম্য শুভ্র রায়।

জানা গিয়েছে, ই-মেইল মারফত দাখিল করা হয়েছে আবেদন। চিকিৎসক খুনের তথ্য প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যেই বারবার হাসপাতালে আক্রমণ হয়ে থাকতে পারে বলে নিজের আবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ওই আইনজীবী৷ অবিলম্বে এবিষয়ে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের হস্তক্ষেপ চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন: এবার বাংলা জুড়ে বনধের ডাক শুভেন্দুর! আর জি করে ভাঙচুর কাণ্ডে পথে নামছে বিজেপি?

তাণ্ডবে থমকে যাওয়া একটি ঘড়িতে দেখা গিয়েছে সেটির কাঁটা রাত ১২টা ৩৫ মিনিটে থমকে গিয়েছে৷ অর্থাৎ, সেই সময়েই ঘটনা ঘটেছিল বলে মনে করা হচ্ছে৷ তাণ্ডবকারীদের কয়েক জনের হাতে রড এবং লাঠি ছিল বলে অভিযোগ। জরুরি বিভাগের বাইরের কোলাপসিবল গেট ভেঙে উপড়ে ফেলা হয়। ভিতরে ঢুকে সব কিছু লন্ডভন্ড করে দেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: ‘আরজি করে হামলা, তাণ্ডব শাসক দলের গুন্ডাদের…’ বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী ! রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি

ভেঙেচুরে ফেলা হয় জরুরি বিভাগের সব কিছুই। টিকিট কাউন্টার, এইচসিসিইউ, সিসিইউ, ওষুধের স্টোররুম হামলাকারীদের হাতে চুরমার হয়ে যায়। মেঝেতে ছড়িয়ে পড়ে ওষুধপত্র, ইঞ্জেকশনের ভাঙা ভায়াল। ওলোটপালোট করে দেওয়া হয় বেড, আসবাবপত্র। গোটা জরুরি বিভাগ জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে চুরমার হওয়া কাচ। জরুরি বিভাগের এইচসিসিইউ (হাইব্রিড ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট), সিসিইউ (ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট)-তেও ভাঙচুর চালানো হয়।

R G Kar Student death: আদালতের নির্দেশ, আর জি কর কাণ্ডে পুলিশের কাছ থেকে তদন্তভার গেল সিবিআইয়ের কাছে, বৈঠকে মমতা

কলকাতা: কলকাতা পুলিশকে ডেডলাইন দিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আর জি করের নির্যাতিতা তরুণীর বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মমতা জানিয়েছিলেন, আগামী রবিবারের মধ্যে যদি পুলিশ এই ঘটনার কিনারা না করতে পারে, তাহলে রাজ্য এই মামলার তদন্তভার সিবিআই-কে দিয়ে দেবে৷ কিন্তু, তার আগেই মামলার তদন্তভার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে দিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল কলকাতা হাইকোর্ট৷

কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, হাইকোর্টের নজরদারিতেই হবে এই সিবিআই তদন্ত।

আদালতের মধ্যেই আর জি করের চিকিৎসক ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় কেস ডায়েরি সিবিআই-কে হস্তান্তর করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। তদন্ত সংক্রান্ত অন্যান্য নথি বুধবার সকাল ১০টার মধ্যে সিবিআই-কে দিতে হবে কলকাতা পুলিশকে। নির্দেশ হাইকোর্টের৷ সেই সঙ্গে জানানো হয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সমস্ত নথিই সিবিআই চাইলে দিতে হবে পুলিশকে।

আরও পড়ুন: আরজি করের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাই কোর্টের! আদালতের নজরদারিতে হবে তদন্ত

সূত্রের খবর, আদালতের রায়ের পরেই নবান্নে হয় গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। বৈঠকে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কলকাতা পুলিশের পুলিশ কমিশনার। হাসপাতাল গুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, সিবিআই-কে তদন্তভার দেওয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ছুটির আবেদন না করলেই অপসারণ! হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ শুনেই বড় পদক্ষেপ সন্দীপ ঘোষের

এদিন Unicef এর প্রতিনিধি দলের সঙ্গেও বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। ডায়বেটিসের চিকিৎসা নিয়ে রাজ্যের প্রশংসা করেন unicef এর সদস্যেরা।

Kolkata High Court: তৈরি হয়েছে চিকিৎসক সঙ্কট! মামলা গড়াল কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত, রাজ্যের রিপোর্ট তলব

কলকাতা: চলতি মরসুমে রাজ্যের হাসপাতালে তৈরি হয়েছে চিকিৎসক সঙ্কট। জানা গিয়েছে, ৪৮৯ জনের বেশি চিকিৎসককে ছাড়তে পারছে না রাজ্য। পরিস্থিতি এমনই যে ঘটনার জল গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত।

মামলার শুনানি চলাকালীন রাজ্যের কাছে আদালত জানতে চেয়েছে, MBBS চিকিৎসকদের কেন ‘স্টাডি লিভ’  দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না? এবিষয়ে রাজ্যের রিপোর্ট তলব করেছে হাইকোর্ট৷ আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে রিপোর্ট তলব করেছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।

আরও পড়ুন: কী করে বুঝবেন আপনার বাচ্চার কোন খাবারে অ্যালার্জি? উপায় বলে দিলেন শিশু বিশেষজ্ঞ

ডা: সিরাজুল ইসলাম ২০১৬ সাল থেকে কোচবিহার এম জে এন হাসপাতালের চিকিৎসক। এম এস(জেনারেল সার্জেন) নিয়ে নিট পিজি-তে বসেন স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমতি নিয়ে। পরীক্ষায় সফল হন। কিন্তু, এখন স্টাডি লিভে সার্জারি নিয়ে পড়তে চাইলে এনওসি দিচ্ছে না রাজ্য। তাই রাজ্যের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেন ডা: সিরাজুল ইসলাম।

আরও পড়ুন: ওষুধ খেয়েও কমছে না কোলেস্টেরল! এই ৩ আয়ুর্বেদিক টোটকা অব্যর্থ দাওয়াই, দারুণ কাজ

রাজ্য জানায় ২০২৩-২৪ মরসুমে ৪৮৯ জন চিকিৎসককে পড়ার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর বেশি চিকিৎসককে এ মুহূর্তে ছাড়তে গেলে সঙ্কটে পড়বে রাজ্যের চিকিৎসা পরিষেবা।

Kolkata High Court: মুখের কথাতেই OMR শিট নষ্ট! কোন হেভিওয়েটের কথায় এত বড় সিদ্ধান্ত…মেনে নিল প্রাথমিক বোর্ড

কলকাতা: ২০১৭ সালের প্রাথমিক টেট-এর ওএমআর শিট নিয়ে এবার আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য এল সামনে৷ প্রাথমিক বোর্ডের নতুন অ্যাড-হক কমিটির রেজোল্যুশন থেকে জানা গেল এই তথ্য৷

প্রাথমিক বোর্ডের নতুন অ্যাড-হক কমিটির রেজোল্যুশন জানাচ্ছে, ‘মানিক ভট্টাচার্যের মুখের কথাতেই নষ্ট করা হয়েছে ২০১৭ সালের প্রাথমিক টেট-এর ওএমআর। বোর্ডের সিদ্ধান্ত (resolution) ছাড়াই OMR নষ্ট করা হয়েছে। যা অস্বাভাবিক এবং আইন মেনে হয়নি’।

নতুন অ্যাড-হক কমিটির রেজোল্যুশন পেশ করে OMR শিট নষ্ট করার পদ্ধতি যে বেআইনি, তা মেনে নিল প্রাথমিক বোর্ড। প্রসঙ্গত, প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য বর্তমানে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারাধীন৷

আরও পড়ুন: একুশে জুলাইয়ের দিনই ট্রেন বাতিল? কুণাল ঘোষের জোরাল পোস্ট…অবশেষে কী সিদ্ধান্ত নিল রেল?

ওএমআর শিট নষ্ট করা সংক্রান্ত তথ্য জানার পরেই বিচারপতি অমৃতা সিনহা এদিন প্রশ্ন করেন, ‘‘চাকরির পরীক্ষার নথি এভাবে মুখের কথায় (ভার্বাল অর্ডার) নষ্ট করা যায়? কনফিডেনসিয়াল সেকশনে পাঠানো তথ্য এভাবে মুখের কথায় (কীভাবে নষ্ট হয়)… তার কোনও আইনি ভিত্তি নেই?’’

জানা গিয়েছে, প্রাথমিক টেট ২০১৭ প্রায় ২.৫ লাখ ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়। মানিকের মুখের কথায় তা নষ্ট করে কনফিডেনসিয়াল সেকশন। ওএমআর  হার্ডকপি নষ্ট করে, তা রাখা হয় ডিজিটাইজ ফরম্যাটে।

আরও পড়ুন: শনি ও রবিবার কি বাতিল একাধিক ট্রেন? শেষমেশ কী জানানো হল রেলের তরফে?

এই তথ্য জানার পরেই ডিজিটাইজ ওএমআর তলব করলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। মামলাকারী টিনা মুখোপাধ্যায়ের ডিজিটাইজ ওআমআর তলব করা হল আগামী ১৪ অগাস্টের মধ্যে।

High Court verdict On OBC Certificate: সরকারি চাকরি থাকবে তো? ৫ লক্ষ OBC সার্টিফিকেট বাতিলের নির্দেশের পরে উঠছে প্রশ্ন…কী নির্দেশ আদালতের?

কলকাতা: বুধবার এক গুরুত্বপূর্ণ রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট৷ যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যে৷ হাইকোর্টের নির্দেশে বাতিল হয়ে গিয়েছে প্রায় ৫ লক্ষ ওবিসি সার্টিফিকেট৷ জানানো হয়েছে, ২০১১ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত যে সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট লাগু করা হয়েছে, তার সবক’টিই বাতিল করা হয়েছে এই নির্দেশে৷

আর বলাবাহুল্য, রায় ঘোষণার পর থেকেই শুরু হয়ে বিভ্রান্তি৷ তবে, কী এই সময়কালে যাঁরা ওবিসি সার্টিফিকেট পেয়েছেন, শুধু সেই সার্টিফিকেটই বাতিল হচ্ছে, নাকি, সেই সার্টিফিকেটের জন্য পাওয়া সংরক্ষিত আসনে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, বাতিল হবে সেই চাকরি?

বুধবার ২০১১ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত রাজ্যের প্রদান করা সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট৷ বুধবার হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত নিয়ে আপাতত তোলপাড় পড়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই৷ উল্লেখ্য, ওবিসি সংরক্ষণ মামলায় ১৪ বছর রায় ঘোষণা করল কলকাতা হাইকোর্ট৷ বুধবার এই রায় ঘোষণা করল বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ৷

আরও পড়ুন বাতিল ৫ লক্ষ ওবিসি সার্টিফিকেট…প্রচারমঞ্চে দাঁড়িয়েই বিস্ফোরক মমতা! বললেন, ‘আমরা এই রায় মানছি না!’

বুধবার হাইকোর্টের তরফ থেকে বলা হয়েছে, ২০১০ পরবর্তী সমস্ত ওবিসি সংরক্ষণ তালিকা বাতিল করা হল৷ ২০১০ সালের আগের নথিভুক্ত ওবিসি তালিকা বহাল থাকছে৷ এতদিন যাঁরা ওবিসি সংরক্ষণ তালিকায় চাকরি পেয়েছেন বা নিয়োগ প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই পুরনো সংরক্ষণ তালিকায় চাকরি পাবেন৷ এ ছাড়া নতুন করে সংরক্ষণ তালিকা প্রকাশ করতে হবে৷

মোট কথা, বুধবার থেকে রাজ্যে ওবিসি বলে আর কিছু থাকল না৷ নতুন ওবিসি সংরক্ষণ তালিকা ১৯৯৩ সালের আইন মেনে তৈরি করার পরে রাজ্যে তা কার্যকর করা হবে৷

আরও পড়ুন: ২০১১-’২৪ সালের মধ্যে দেওয়া সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল! বিশাল রায় দিল হাইকোর্ট

তবে, আদালতের তরফ থেকে আশ্বস্ত করে বলা হয়েছে, যাঁরা ইতিমধ্যে ওবিসি সংরক্ষণ তালিকায় চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের কারওর চাকরি যাবে না৷ যাঁরা নিয়োগ প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছেন, তাঁরাও চাকরি পাবেন৷

এদিন এই রায় প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘কদিন ধরে প্রধানমন্ত্রী বলে যাচ্ছেন মাইনরিটিদের জায়গা কেড়ে নিতে। ওদের রায় আমি মানি না। ওবিসি রিজার্ভেশন চলছে, চলবে। আমরা এই রায় মানছি না। ওবিসি রিজার্ভেশন রায় আমরা মানছি না৷’’ যদিও সরকারের তরফে এ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করা হবে কি না, তা জানা যায়নি৷

Sandeshkhali Incident: ‘এখনও হুমকি দেওয়া হচ্ছে মহিলাদের,’ হাইকোর্টে ফের উঠল বিস্ফোরক অভিযোগ! রাজ্যের তরফে সমস্তরকম সাহায্য করার নির্দেশ

দক্ষিণবঙ্গ: সন্দেশখালি কাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টে তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই। রিপোর্ট দেখে বিচারপতির মন্তব্য, সিবিআইয়ের তদন্ত সঠিক পথেই এগোচ্ছে। জমির রেকর্ড নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে কিছু অসহযোগিতার অভিযোগ করা হয়েছে রিপোর্টে। আদালত আশা করে যে, রাজ্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে। যেহেতু, মামলায় সুপ্রিম কোর্টের কোনও স্থগিতাদেশ নেই, তাই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ যথাযথ ভাবে মানতে হবে বলে জানান প্রধান বিচারপতি।

এদিন আদালতে আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল দাবি করেন, ধর্ষণের ঘটনায় সিবিআইয়ের কাছে যাতে কোনও FIR দায়ের করা না হয়, এই মর্মে মহিলাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আইনজীবীর এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ বলে, ‘‘মানুষের মনে আস্থা বাড়ানোর জন্য সিবিআই-কে পদক্ষেপ করতে হবে। নিরাপত্তার বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে সিবিআই-কে। মহিলাদের ভয় দূর করার জন্য প্রয়োজন হলে মহিলা আধিকারিক নিযুক্ত করবে সিবিআই।’’

আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরের জলীয় বাষ্পপূর্ণ হাওয়া ঢুকবে রাজ্যে, শনিবার বৃষ্টি শুরু উপকূলে, রবিবার থেকে বৃষ্টি বাড়ার পূর্বাভাস

রাজ্যের কাছে সিবিআই যদি কোনও নথি চায় তাহলে রাজ্য সেটা এক সপ্তাহের মধ্যে সিবিআইকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৩ জুন। ১৩ জুন পরবর্তী অগ্রগতি রিপোর্ট পেশ করবে সিবিআই।

এদিন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকেও মামলায় যুক্ত হওয়ার অনুমতি দিল আদালত। প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘সিসিটিভি এবং LED আলো লাগানো হয়েছে কি না, তা নিয়ে কোনও রিপোর্ট দেয়নি রাজ্য। তাহলে এটা ধরে নিতে হবে যে রাজ্য এই নির্দেশের পালন করেনি এবং রাজ্য যদি এটা না করে তাহলে কলকাতা হাইকোর্ট আদালত অবমাননার অভিযোগে উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে পারে। যত দ্রুত সম্ভব সিসিটিভি এবং LED আলো লাগাবার ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্যকে।’’

আরও পড়ুন- রাশিফল মে ২০২৪; দেখে নিন এই মাস নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা

সন্দেশখালি কাণ্ডে গত ১০ এপ্রিল সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। জমি দখল, জমির চরিত্র পরিবর্তন, চাষের জমি ভেড়িতে পরিবর্তন করা, ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগের তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়। হাইকোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। রাজ্যের আবেদনের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি পিছিয়ে দেয়। জুলাই মাসে দ্বিতীয় সপ্তাহে হবে শুনানি। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট জানায় যে মামলা বিচারাধীন আছে, বলে কোথাও যেন কোনও তদন্ত বা বিচারপ্রক্রিয়া বন্ধ না থাকে।

Kolkata High Court: হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনার পর এবার মালদহ, ২ মাসের মধ্যে চাকরির নির্দেশ প্রাথমিক ২০০৯-এর পরীক্ষার্থীদের

কলকাতা: হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনার পর মালদহ। ফের প্রাথমিকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার।

প্রাথমিক ২০০৯-এ মালদহর পরীক্ষার্থীদের নিয়োগের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা। দু’মাসের মধ্যে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। চাকরি পেতে চলেছেন প্রায় ২৫০ পরীক্ষার্থী।” যাঁরা চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন, তাঁরা চাকরি পাবেন।দুর্নীতি হয়েছে, তদন্ত হলে পুরো প্যানেল বাতিল হতে পারতো। সেই জায়গায় কিছু লোক অন্তত চাকরি পাক।”, মন্তব্য বিচারপতি মান্থার।

সম্প্রতি এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চাকরি বাতিল হয়েছে প্রায় ২৭ হাজার জনের। এই নিয়ে সরগরম গোটা রাজ্য। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার প্রাথমিক ২০০৯-এ নিয়োগ নিয়ে বড় নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার প্রাথমিক ২০০৯-এ উত্তর ২৪ পরগনার পরীক্ষার্থীদের নিয়োগের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা। বৃহস্পতিবার তিনি দুই মাসের মধ্যে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেন। চাকরি পেতে চলেছেন ৮০০ পরীক্ষার্থী, যাঁরা বুধবার পর্যন্তও আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে প্রাথমিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল। সেই বিজ্ঞপ্তির উপর ভিত্তি করে পরের বছর জেলাভিত্তিক পরীক্ষাও নেওয়া হয়। তখন অবশ্য TET পরীক্ষা ছিল না। শুধু তাই নয়, সেই সময় প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতার জন্য প্রশিক্ষণও আবশ্যক ছিল না। এদিকে ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। এরপর চালু হয় TET পরীক্ষা। অভিযোগ ওঠে, ২০০৯ সালের পরীক্ষা রাজ্য সরকার বাতিল করে দেয়। ২০১৪ সালে লিখিত পরীক্ষা হয়। হয় ইন্টারভিউও। এই প্রসঙ্গে মামলা দায়ের করা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। তার প্রেক্ষিতে নিয়োগ বাতিল করা সংক্রান্ত সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।

SSC Recruitment Scam Verdict: ২৫ হাজার চাকরি বাতিল নিয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টে SSC! হাইকোর্টের রায়ের বিরোধিতা করে মামলা দায়ের

কলকাতা: ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল সংক্রান্ত কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করল এসএসসি৷ বুধবার বেলা ৩টে নাগাদ মামলা দায়ের করা হয় বলে সূত্রের খবর৷ সবার চাকরি কেন বাতিল হল?এই অভিযোগ নিয়েই সুপ্রিম কোর্ট এ মামলা করেছে এসএসসি। এসএসসি-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার এদিন বলেন, ‘‘আমরা কিছুক্ষণ আগেই মামলা দাখিল করেছি সুপ্রিম কোর্টে। কবে শুনানি হবে তা নিশ্চয় আপনারা জানতে পারবেন।’’ জানা গিয়েছে, এসএসসি চেয়ারম্যান দিল্লি যেতে পারেন৷ এই পরিস্থিতিতে দ্রুত যাতে এই মামলার শুনানি হয় সেই আবেদন রেখেছে এসএসসি।

গত সোমবার এক জন দু’জন নয়, ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট৷ ২০১৬ সালের পুরো প্যানেলই বাতিলের নির্দেশ দেয় আদালত৷ এখানেই শেষ নয়৷ সোমবার আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়, টাকা ফেরাতে হবে চাকরি প্রাপকদের। ১,১১৩ জনকে সুদ সমেত টাকা ফেরাতে হবে তাদের গত ৮ বছরের বেতন। আর তা ফেরত দিতে হবে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যেই।

আরও পড়ুন: ২৫ হাজার চাকরি বাতিল! ফেরত দিতে হবে বেতনও, হাইকোর্টের এসএসসি রায় নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে কমিশন

মামলাকারীদের তরফে আইনজীবীরা জানান, ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল বাতিল। সোমা দাস ছাড়া সকলের প্যানেল বাতিল। যতজন মাইনে পেয়েছেন চার সপ্তাহের মধ্যে তা ফেরাতে হবে। ডিএমকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ডিআই তা ডিএম-কে জানাবেন। এই প্যানেলের গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ সকলের ক্ষেত্রেই এই রায় প্রযোজ্য হবে।

আদালত ওইদিন জানায়,লোকসভার নির্বাচন পর্ব মেটার পরে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে৷ ততদিন বাতিল থাকবে সমস্ত বেতন বন্ধ৷ অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির জন্য সিবিআই মনে করলে সাসপেক্টেডদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে।

আরও পড়ুন: ২০১৬-র সব চাকরি বাতিল..সুদ সমেত ফেরাতে হবে ৮ বছরের বেতন! একমাসের মধ্যেই, নির্দেশ হাইকোর্টের

আদালতের এই রায় ঘোষণার পরেই রীতিমতো শোরগেল পড়ে যায় গোটা রাজ্যে৷ এসএসসি চেয়ারম্যান ওই দিনই সাংবাদিক বৈঠক করে প্রশ্ন তোলেন, তাঁদের কাছে ৫০০০ জনের বেআইনি উপায়ে চাকরি পাওয়ার তথ্য জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷ তাহলে, বাকি হাজার হাজার চাকরিপ্রাপকের চাকরি গেল কেন? সেদিনই তিনি জানিয়েছিলেন, এই রায়ের বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন তাঁরা৷