কলকাতা: বুধবার এক গুরুত্বপূর্ণ রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট৷ যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যে৷ হাইকোর্টের নির্দেশে বাতিল হয়ে গিয়েছে প্রায় ৫ লক্ষ ওবিসি সার্টিফিকেট৷ জানানো হয়েছে, ২০১১ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত যে সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট লাগু করা হয়েছে, তার সবক’টিই বাতিল করা হয়েছে এই নির্দেশে৷
আর বলাবাহুল্য, রায় ঘোষণার পর থেকেই শুরু হয়ে বিভ্রান্তি৷ তবে, কী এই সময়কালে যাঁরা ওবিসি সার্টিফিকেট পেয়েছেন, শুধু সেই সার্টিফিকেটই বাতিল হচ্ছে, নাকি, সেই সার্টিফিকেটের জন্য পাওয়া সংরক্ষিত আসনে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, বাতিল হবে সেই চাকরি?
বুধবার ২০১১ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত রাজ্যের প্রদান করা সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট৷ বুধবার হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত নিয়ে আপাতত তোলপাড় পড়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই৷ উল্লেখ্য, ওবিসি সংরক্ষণ মামলায় ১৪ বছর রায় ঘোষণা করল কলকাতা হাইকোর্ট৷ বুধবার এই রায় ঘোষণা করল বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ৷
বুধবার হাইকোর্টের তরফ থেকে বলা হয়েছে, ২০১০ পরবর্তী সমস্ত ওবিসি সংরক্ষণ তালিকা বাতিল করা হল৷ ২০১০ সালের আগের নথিভুক্ত ওবিসি তালিকা বহাল থাকছে৷ এতদিন যাঁরা ওবিসি সংরক্ষণ তালিকায় চাকরি পেয়েছেন বা নিয়োগ প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই পুরনো সংরক্ষণ তালিকায় চাকরি পাবেন৷ এ ছাড়া নতুন করে সংরক্ষণ তালিকা প্রকাশ করতে হবে৷
মোট কথা, বুধবার থেকে রাজ্যে ওবিসি বলে আর কিছু থাকল না৷ নতুন ওবিসি সংরক্ষণ তালিকা ১৯৯৩ সালের আইন মেনে তৈরি করার পরে রাজ্যে তা কার্যকর করা হবে৷
আরও পড়ুন: ২০১১-’২৪ সালের মধ্যে দেওয়া সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল! বিশাল রায় দিল হাইকোর্ট
তবে, আদালতের তরফ থেকে আশ্বস্ত করে বলা হয়েছে, যাঁরা ইতিমধ্যে ওবিসি সংরক্ষণ তালিকায় চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের কারওর চাকরি যাবে না৷ যাঁরা নিয়োগ প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছেন, তাঁরাও চাকরি পাবেন৷
এদিন এই রায় প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘কদিন ধরে প্রধানমন্ত্রী বলে যাচ্ছেন মাইনরিটিদের জায়গা কেড়ে নিতে। ওদের রায় আমি মানি না। ওবিসি রিজার্ভেশন চলছে, চলবে। আমরা এই রায় মানছি না। ওবিসি রিজার্ভেশন রায় আমরা মানছি না৷’’ যদিও সরকারের তরফে এ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করা হবে কি না, তা জানা যায়নি৷