কলকাতা মেট্রো

Kolkata Metro: মোটরম্যান সঙ্কট কলকাতা মেট্রো! মেট্রো ভবনে অভিযান শ্রমিক সংগঠনের

কলকাতাঃ বেসরকারিকরণের তৎপরতার বিরুদ্ধে মেট্রোকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। তার বিরোধিতায় ও চালকের ঘাটতি-সহ বিভিন্ন সমস্যার প্রতিবাদ জানিয়ে ইতিমধ্যেই মেট্রো ভবনে অভিযান করেছে রাজ্যের শাসক দলের শ্রমিক সংগঠন। একাধিক রেল ইউনিয়ন নানা ভাবে গোটা ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছে। এরই মধ্যে সামনে আসছে আরও নয়া তথ্য। মেট্রোয় যদি মোটরম্যান না থাকে তাহলে আগামীদিনে পরিষেবা দেওয়া হবে কীভাবে? মেট্রোর পরিষেবা দিতে ভরসা করা হচ্ছে যে মোটরম্যানদের ওপর তাঁরা আসবে পূর্ব বা দক্ষিণ পূর্ব রেল থেকে। আর যারা যারা মেট্রোর গার্ড হিসাবে কর্মরত তাঁদের দেওয়া হবে মোটরম্যান করে। গার্ডের কাজ করবেন সিগন্যাল ও টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের টেকনিশিয়ানরা।

আরও পড়ুনঃ নজরে ষষ্ঠ দফার ভোট! মেদিনীপুর ও জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে আজ থেকে টানা প্রচারে মমতা

মেট্রো ইউনিয়নের অভিযোগ, চালক না পেয়ে, সর্বত্র পিছনের কামরায় গার্ড বা কন্ডাক্টিং মোটরম্যান তুলে দিয়ে সেখানে টেকনিশিয়ানদের দিয়ে কাজ চালানোর কথা ভাবছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। কারিগরি ও মানসিক সক্ষমতা যাচাই না করে এ ভাবে যদি কাজ চালানোর ব্যবস্থা করা হয় তাহলে যাত্রী সুরক্ষার দিক থেকে বিপজ্জনক হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই। মেট্রোর কর্মী সংগঠনগুলি পুরনো ব্যবস্থায় চালক নিয়োগের প্রক্রিয়ায় ফিরে যাওয়ার পক্ষে। পাশাপাশি, মেট্রোর লাইন রক্ষণাবেক্ষণে থাকা কর্মীরা টানা দু’বছরের বেশি সময় ধরে রাতে কাজ করছেন বলেও অভিযোগ। যা তাঁদের স্বাস্থ্য এবং কাজের পরিবেশের শর্ত লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

ইস্ট-ওয়েস্ট (গ্রিন লাইন) মেট্রোর হাওড়া ময়দান-এসপ্লানেড, শিয়ালদহ-সেক্টর ফাইভ ছাড়াও নিউ গড়িয়া-রুবি (অরেঞ্জ লাইন) এবং জোকা-মাঝেরহাট (পার্পল লাইন) মেট্রোপথে পরিষেবা চালু রয়েছে। চলতি বছরে নোয়াপাড়া থেকে ক্যান্টনমেন্টের মধ্যেও পরিষেবা শুরু হবে। রুবি থেকে বেলেঘাটা মেট্রোরেল পরিষেবা চালু হবে। এছাড়া শিয়ালদহ থেকে ধর্মতলা চলতি বছরে যুক্ত হয়ে যাবে। ফলে সেক্টর ফাইভ থেকে হাওড়া ময়দান মেট্রো পরিষেবার সংখ্যা বাড়বে। এই অবস্থায় মোটরম্যান না থাকলে দ্রুত পরিষেবা কিভাবে দেওয়া হবে তা নিয়ে তীব্র সংশয় তৈরি হয়েছে।কলকাতা মেট্রোয় চালু ব্লু, গ্রিন, অরেঞ্জ এবং পার্পল লাইনে সব মিলিয়ে শতাধিক মোটরম্যানের ঘাটতি রয়েছে। চলতি বছরের শেষে ২০ জনেরও বেশি চালকের অবসর নেওয়ার কথা। ফলে আগামীদিনে বিস্তর সমস্যায় পড়তে হবে যাত্রীদের।