ইএম বাইপাস এবং চিংড়িঘাটা ক্রসিং থেকে কোনও গাড়িকে নিউ টাউন বা সল্টলেক সেক্টর ফাইভের দিকে যেতে দেওয়া হবে না। আগামী ৭৫ দিন সেই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। যদি মেট্রোর কাজ আগে শেষ হয়ে যায়, তাহলে আগে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে।

Kolkata Metro Rail News: মাঝেরহাট প্রকল্প দ্রুত শুরু করলেই বাণিজ্যিক লাভ, তারাতলা থেকে মাঝেরহাটে চালু ট্রায়াল রান

কলকাতা: ক্ষতির বহর থেকে বেরিয়ে আসার উপায় দ্রুত মাঝেরহাট প্রকল্প চালু করা। মাঝেরহাট মেট্রো স্টেশন চালু করতে এবার ট্রায়াল রান শুরু করে দিল কলকাতা মেট্রো রেল। পূর্ণ গতিতে না চালালেও লাইন পরীক্ষা থেকে সিগন্যাল ধাপে ধাপে শুরু হয়ে গেল তারাতলা থেকে মাঝেরহাট মেট্রো ট্রায়াল।

আপাতত জোকা-এসপ্ল্যানেড মেট্রো করিডরের (পার্পল লাইন) জোকা থেকে তারাতলা পর্যন্ত ৬.৫ কিলোমিটার অংশে পরিষেবা চালু আছে। জানুযারি থেকে মাঝেরহাট স্টেশনেও বাণিজ্যিক পরিষেবা চালু করা যাবে বলে আশাবাদী দায়িত্বপ্রান্ত সংস্থা রেলওয়ে বিকাশ নিগম লিমিটেড (আরভিএনএল)। যা ওই মেট্রো করিডরের বাণিজ্যিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন।মাঝেরহাট পর্যন্ত মেট্রো এগিয়ে নিয়ে আসার জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ‘ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং সিস্টেম’ বসিয়ে ফেলেছে আরভিএনএল।

আরও পড়ুন: বিষ তেতো! দেখলেই নাক সিঁটকান! কিন্তু রোজ রাতে ভিজিয়ে সকালে এক চুমুক… ব্যাস, কঠিন রোগ উধাও

গত নভেম্বর থেকেই ৮.৬ কিমি (জোকা থেকে তারাতলা ৬.৫ কিমি, তারাতলা থেকে মাঝেরহাট দুই কিমি) অংশে ‘ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং সিস্টেম’ বসানোর কাজ করা হয়েছে। দু’টি মেট্রোর ব্যবধান যাতে বেশি না হয়, সেজন্য ‘ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং সিস্টেম’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপাতত জোকা থেকে তারাতলা পর্যন্ত সেই সিগন্যালিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয় না। ফলে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর মেট্রো মেলে। ফলে ওই মেট্রো এড়িয়ে চলেন অনেকে। ‘ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং সিস্টেম’ চালু হয়ে গেলে দু’টি মেট্রোর মধ্যে সময়ের ব্যবধান কমবে।

আপাতত জোকা থেকে তারাতলার মধ্যে ৪০ মিনিট অন্তর মেট্রো চলাচল করে। দিনে মোট ২৪টি মেট্রো চলাচল করে। মেট্রো সূত্রে খবর, জানুয়ারিতে যখন মাঝেরহাট পর্যন্ত মেট্রো এগিয়ে আসবে, তখন ১০ মিনিট অন্তর মেট্রো মিলবে। আর তখন যাত্রীসংখ্যাও লাফিয়ে বাড়বে বলে আশাবাদী মেট্রো কর্তৃপক্ষ। কারণ লোকাল ট্রেন থেকে নেমেই মেট্রো ধরতে পারবেন তাঁরা। এখন সেটা হয় না। রেল স্টেশনে অনেকটা হেঁটে তারাতলা মেট্রোর কাছে পৌঁছাতে হয়। সেটার পরিবর্তে অনেকে বাস ধরে নেন। মেট্রো কর্তৃপক্ষ আশাবাদী এই প্রকল্প চালু হলে বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হবেন তাঁরা৷