সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, সন্দীপ ঘোষের প্রাইভেট প্র্যাকটিস মূলত চলত একাধিক মফস্বল - শহর জুড়ে। আর তারও বিভিন্ন জায়গায় ছিল বিভিন্ন রেট। শুধু তাই নয় প্রাইভেটে অপারেশনও করতেন সন্দীপ ঘোষ।

RG Kar Case Update: সাঁড়াশি চাপে সন্দীপ! কত লক্ষ-কোটি টাকা নয়ছয়? সিট গঠন রাজ্যের, কেঁচো খুঁড়তে কেউটে…!

কলকাতা: চাপ বাড়ল আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের। আর্থিক দুর্নীতি মামলায় সন্দীপের বিরুদ্ধে সিট গঠন করল রাজ্য। ৪ সদস্যের সিট তদন্ত শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। সোমবার গভীর রাতে সিটের দুই সদস্য ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় ও প্রণব কুমার স্বাস্থ্য দফতরের ভিজিলেন্স টিমের সঙ্গে বৈঠক করেন। টালা থানায় দুর্নীতির মামলা রুজু হয় আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। প্রিভেনশন অব কোরাপশন অ্যাক্টের ৭ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এক আইএএস অফিসার সন্দীপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের করেন টালা থানায়।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে আরজি কর হাসপাতালে ২০২১ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত যে সমস্ত অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে, তার বিশদ তদন্তের জন্য এই সিট গঠন করা হয়েছে। এতে সন্দীপ ঘোষ এবং তার সহযোগীরা আরও চাপে পড়বে।

আরও পড়ুনঃ নারকেলের ছোবড়ার মতো দেখতে, একদিন খেলেই হাতেনাতে ফল…! বাজার খুঁজে কিনে আনুন আজই

গত বছর জুলাই মাসে রাজ্য ভিজিলেন্স কমিশনের কাছে দুর্নীতির অভিযোগ জমা পড়ে প্রথম। এবার রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে তৈরি সিটের মুখোমুখি হতে হবে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। গতকাল গভীর রাত পর্যন্ত বৈঠক হয় স্বাস্থ্য দফতরে। স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে ২০২১ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত আরজি কর নিয়ে যে সমস্ত অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারি অভিযোগ উঠেছে, তার তদন্ত করবে এই সিট।

সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত দুটি অভিযোগ স্বাস্থ্য দফতরে রয়েছে আরজি কর প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। এই দুটি অভিযোগ নিয়েই সিটের সদস্যরা স্বাস্থ্য দফতরে গিয়ে বিশদে রিপোর্ট নেন। সোমবার গভীর রাতে সিটের দুই সদস্য ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় ও প্রণব কুমার স্বাস্থ্য দফতরের ভিজিলেন্স টিমের সঙ্গে বৈঠক করেন। অভিযোগের কপিও নিয়ে যান সিটের সদস্যরা বলেই স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর।

এ দিন রাতে সিটের দুই সদস্য স্বাস্থ্য দফতরের ভিজিলেন্স দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক দেবল কুমার ঘোষের সঙ্গে প্রথম দফায় বৈঠক করেন। তারপর গভীর রাত পর্যন্ত স্বাস্থ্য দফতরের মেডিক্যাল এডুকেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পাশাপাশি সিআইডি-কেও নজরদারির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে গোটা দুর্নীতির তদন্তে।