Rakhi Protest on Police: পুলিশ পেল রাগ, ক্ষোভ মাখা কালো রাখি! ভ্রাতৃত্বের নাম এখন ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’

কলকাতা: অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের মাঝেও পারস্পরিক সহাবস্থানের বার্তা রাখিপূর্ণিমার দিনে। পুলিশকে রাখি পরালেন আন্দোলনকারীরা, আবার চাইলেন বিচারও। আরজিকর কাণ্ডে উত্তাল রাজ্য। রাজ্যের বৃত্ত পেড়িয়ে সেই আন্দোলন দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এবং বার বারই আন্দোলনকারীদের অভিযোগের কেন্দ্র বিন্দুতে থেকেছে পুলিশ।

বিক্ষোভের স্লোগানের ছত্রে ছত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ। আন্দোলনকারীদের বক্তব্যের প্রায় প্রতি লাইনে পুলিশের বিরুদ্ধে কটাক্ষ শুনতে পাওয়া গিয়েছে। আরজি কর হাসপাতালে যেখানে বিক্ষোভের মঞ্চ তৈরি হয়েছে তার উল্টোদিকেই সব সময় থাকছে পুলিশ বাহিনী। কিন্তু তাঁদের এড়িয়ে চলেছেন আন্দোলনকারীরা।

আরও পড়ুন- আমাশা কিংবা প্রস্রাবে জ্বালা? সর্বরোগহরা এই শাকেই জব্দ হবে রোগ

১৪ অগাস্ট ‘রাত দখল’-এর রাতে হাসপাতালে দুস্কৃতীদের হামলার কথা তুলে আন্দোলনকারীরা কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না পুলিশকে। তাঁদের অভিযোগ, যখন দুষ্কৃতীরা হামলা করেছিল পুলিশ তখন নিরাপত্তা দিতে অপারগ ছিল। তাই পুলিশের উপর আর আস্থা বা ভরসা কিছুই নেই তাঁদের। যদিও পুলিশের তরফ থেকে আস্থা ফেরানোর চেষ্টা চলছিল। সোশ্যাল মিডিয়াতে দুষ্কৃতীদের ছবি প্রকাশ করে তাদেরকে পাকড়াও করার পর সেই খবরও আপলোড করছিল পুলিশ। সোমবার রাখির দিনে আন্দোলনকারীদের রাখি পরিয়ে পাশে থাকার বার্তা দিল পুলিশ।

আরও পড়ুন- পেয়ারা খাওয়ার সঠিক সময় কোনটি? অন্য সময়ে খেয়ে বিপদ ডেকে আনছেন না তো? জেনে নিন

কলকাতা পুলিশের এসিপি সুমন্ত বন্দোপাধ্যায় বলেন, “পুলিশ আর পাবলিকের মধ্যে কোনও পার্থক্য তো নেই। পাবলিকের জন্যই তো পুলিশ। সেক্ষেত্রে রাখিবন্ধন একটা পবিত্র উৎসব। এটা একটা ভাল একটা উদ্যোগ এবং ডাক্তাররা এটা খুব ভাল ভাবে এটা নিয়েছেন বলেই আমার মনে হয়। প্রত্যেকেই রাখি পরেছে।”

পুলিশ রাখি পরানোর পরেই আন্দোলনকারীরা কালো বাহুবন্ধনী পরিয়ে দিলো পুলিশকে। যাতে লেখা ছিল আন্দোলনেরই ভাষা। ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। তার পরে অবশ্য পুলিশের হাতেও রাখি পরানো হল। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, “কালো বাহুবন্ধনীতে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। কারণ হাসপাতালে এত বড় ঘটনা ঘটে গেল কিন্তু পুলিশ আটকাতে পারেনি। যে দিন আমাদের নিরাপত্তার প্রয়োজন ছিল, পুলিশ তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। আবার এটাও ঠিক, আমরা আশা করি পুলিশ আবার নিজেদের সেই ভরসার জায়গাটা ফিরিয়ে আনতে পারবে। কারণ আন্দোলন তো সারা জীবন চলবে না, আমাদের এই পুলিশের উপরই ভরসা করতে হবে। সেই কারণেই রাখি পরানো হয়েছে।”

এই প্রসঙ্গে সুমন্ত বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “জাস্টিস তো প্রত্যেকেই চায়। পুলিশও জাস্টিস দেওয়ার জন্যই থাকে। তাঁদের এই উদ্যোগটাকেও আমরা সম্মান জানাচ্ছি।”