বিনোদন Kumar Sanu Love Story: বলিউড নায়িকার প্রেমে পাগল বিবাহিত কুমার শানু, গোপন সম্পর্ক জানতেই ডিভোর্স! গায়কের প্রেমজীবন শুনলে চমকে যাবেন Gallery October 24, 2024 Bangla Digital Desk কুমার শানু। আশির দশক থেকে এমন সুরেলা গানের গলা এখনও সঙ্গীতজগতে নেই বললেই চলে। বলিউডের গানের জগতে রোম্যান্সিং কিং কুমার শানুর আসল নাম কেদারনাথ ভট্টাচার্য। ১৯৯০ সালে ‘আশিকি’ ছবিতে গান গেয়ে এমন জনপ্রিয়তা পান কুমার শানু যে তাঁকে আর কোনওদিন ফিরে তাকাতে হয়নি। মাইলফলক গড়ে মেলোডি কিং হন কুমার শানু। কিন্তু বলিউডে এসেই পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন শানু। দুটি বিয়ে করেছেন কুমার শানু। তবে তার মাঝে একাধিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন বলে চর্চা শোনা যায় ইন্ডাস্ট্রিতে। ৮০-র দশকে কুমার শানুর প্রথম স্ত্রী ছিলেন রীতা ভট্টাচার্য। তাঁর সঙ্গে তিন ছেলে রয়েছে কুমার শানুর। কলকাতায় থাকাকালীনই রীতার সঙ্গে পরিচয় প্রেম ও বিয়ে হয়েছিল। এরপর গানের জগতে প্রবল সাফল্য পান কুমার শানু। জীবন বদলে যায়। ১৯৯৩ সালে অভিনেত্রী কুনিকা লাল-এর সঙ্গে কুমার শানু সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন বলে শোনা যায়। যদিও এই সম্পর্ক বেশিদিন টেঁকেনি এবং কেউ-ই এ নিয়ে সরাসরি কিছু জানাননি। এরপর কুমার শানুর প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় ওই সময়ের অন্যতম সেরা অভিনেত্রী মীনাক্ষী শেশাদ্রির সঙ্গে। ১৯৯০ সালেই মুক্তি পায় মহেশ ভাট পরিচালিত ‘জুর্ম’ ছবিটি। এই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন বিনোদ খন্না, মীনাক্ষী শেশাদ্রি, সঙ্গীতা বিজলানির মতো তারকারা। ছবিতে ‘যব কোয়ি বাত বিগড় যায়ে’ গানটি বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। এই গানটি গেয়েছিলেন কুমার শানু এবং সাধনা সরগম। ছবিটির প্রিমিয়ারের সময় বলি তারকাদের মনে ধরেছিল গানটি। শানুর কণ্ঠ শুনে মুগ্ধ হয়েছিলেন মীনাক্ষী। ছবির প্রিমিয়ারের সময় তাই গায়কের সঙ্গে আলাপ জমিয়েছিলেন মীনাক্ষী। শানুকে নিজের অজান্তেই ভাল লেগে যায় অভিনেত্রীর। সেই সময় কুমার শানু বিবাহিত ছিলেন। সেই সময় শানু এবং রীতা এক ছাদের তলায় দশ বছরের বেশি সময় কাটিয়ে ফেলেছেন। মীনাক্ষী তাঁর মনের কথা জানান শানুকে। অভিনেত্রীকেও মনে ধরে শানুর। শানু যে বিবাহিত ছিলেন তা জেনেই তাঁর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন মীনাক্ষী। তিন বছর লোকচক্ষুর আড়ালে শানু এবং মীনাক্ষী প্রেম করেন। শানুর এই বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের ব্যাপারে জানতে পেরে যান গায়কের সচিব। কুমার শানু এবং মীনাক্ষীর সম্পর্কের কথা রীতাকে জানান সেই সচিব। তিনি বলেন, ‘কুমার শানুর প্রচুর বান্ধবী রয়েছে। উনি মীনাক্ষীর সঙ্গে প্রেমও করছেন।’ স্বামীর অন্য সম্পর্কের কথা শুনে উত্তেজিত হয়ে পড়েন রীতা। মীনাক্ষীর সঙ্গে শানুর সম্পর্কের জন্য অভিনেত্রীকেই দায়ী করতে শুরু করেন তিনি। জনসমক্ষে তিনি কুমার শানু এবং মীনাক্ষীর সম্পর্কের ব্যাপারে জানান। এক জন বিবাহিত পুরুষের সংসার ভাঙছেন বলে সকলে মীনাক্ষীকেই দোষ দিতে শুরু করেন। সংসার ভাঙার অভিযোগে কাজের প্রস্তাবও কম পেতে শুরু করেন মীনাক্ষী। কিছু সময় পর বলিউডের ছবি নির্মাতারা মীনাক্ষীকে অভিনয়ের প্রস্তাব দেওয়াই বন্ধ করে দেন। মীনাক্ষীর সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে কথা জানাজানির পর শানুর সংসারেও চিড় ধরে। ১৯৯৪ সালে রীতার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায় শানুর। ছবিতে আর কাজ পাচ্ছিলেন না বলে মীনাক্ষীও বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৯৫ সালে আমেরিকার এক জন ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কারের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন অভিনেত্রী। অন্যদিকে, প্রথম বিয়ে ভাঙার পর সালোনিকে বিয়ে করেন কুমার শানু। প্রথম পক্ষের তিন সন্তান এবং দ্বিতীয় পক্ষের দুই সন্তান রয়েছে শানুর।