Viral: এ কাী! ভিড় রাস্তায় স্কুটি চালাচ্ছে একরত্তি মেয়ে… হেলমেট নেই! তোলপাড় নেটপাড়া

ছোট মেয়ে। কতই বা বয়স হবে! বড়জোড় ৭ কি ৮। ভিড় রাস্তায় সেই মেয়েই স্কুটার চালাচ্ছে। পরনে স্কুলের পোশাক। পিছনে বসে আছেন বয়স্ক এক ব্যক্তি। সম্ভবত মেয়েটির বাবা। কারও মাথাতেই হেলমেট নেই। এই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তারপর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।

ভিডিওটি খুব সম্ভবত মহারাষ্ট্রের। ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন এক ব্যক্তি। ক্যাপশনে লেখা, “ছত্রপতি শম্ভাজিনগর থেকে চমকে দেওয়া দৃশ্য।” চমকে দেওয়াই বটে। আঁতকে ওঠার মতো ভিডিও বললেও অত্যুক্তি হবে না। একরত্তি মেয়ের হাতে কেউ স্কুটি তুলে দেয়, তাও জনবহুল রাস্তায়! ভিডিও দেখে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছেন নেটিজেনরা।

“মেয়েটির কোনও দোষ নেই। দোষ তো মা-বাবার।” এমনটাই বলছেন, সোশ্যাল মিডিয়া ইউজাররা। তাঁদের মতে, অভিভাবককে অবশ্যই সন্তান এবং রাস্তায় অন্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব নিতে হবে। একজন ইনস্টাগ্রাম ইউজার লিখেছেন, “হেলমেট কোথায় স্যর? না নিজে পরেছেন, না মেয়েকে পরিয়েছেন।”

ট্রেন।

ভিড় রাস্তায় বাবা কীভাবে ওইটুকু মেয়েকে স্কুটি চালানোর অনুমতি দিতে পারে? অবাক হয়ে গিয়েছেন অনেকেই। এখন যদি দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে তার দায় কার? এই প্রশ্নও তুলেছেন কেউ কেউ। একজন ইনস্টাগ্রাম ইউজার তো সরাসরিই লিখেছেন, “সবার আগে বাবাকে গ্রেফতার করা দরকার।” আরেকজন লিখেছেন, “এই জন্যই এত দুর্ঘটনা ঘটছে। আমি বুঝতে পারছি না, এ কেমন অভিভাবক।”

অধিকাংশ নেটিজেনই বলছেন, ওইটুকু মেয়েকে কোনও দোষ দেওয়া উচিত নয়। কতই বা বয়স, কী-ই বা বোঝে। সে তো মা-বাবার কাছ থেকেই শিখবে। তাই দোষ যদি কারও থাকে সেটা অভিভাবকের। যারা একরত্তির হাতে স্কুটি তুলে দিয়েছেন। একজন ইউজার সে কথাই লিখেছেন, “দয়া করে মেয়েটিকে দোষ দেবেন না। অভিভাবকদের দায়িত্বশীল হওয়া উচিত।”

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মেয়েটি দিব্যি স্কুটি চালাচ্ছে। ঠিক মতো গিয়ার পাল্টাচ্ছে। সময়ে ব্রেক কষছে। অসুবিধা হচ্ছে না কোনও। সেই প্রসঙ্গ টেনে এক ইউজার লিখেছেন, “সব ঠিক আছে। মেয়েটি খুব ভাল চালাচ্ছে। কিন্তু এটা স্কুটি চালানোর বয়স নয়। এটা অভিভাবককেই বোঝাতে হবে। নাহলে যে কোনও মুহূর্তে বিপদ হতে পারে।”

তবে উল্টো সুরেও গেয়েছেন কেউ কেউ। তাঁদের দাবি, স্কুটি বাবাই চালাচ্ছেন। মেয়েকে শুধু হ্যান্ডেল ধরতে দিয়েছেন তিনি। যাতে একরত্তি একটু মজা পায়। এই ছোট বিষয়টা নিয়ে এত উতলা হওয়ার কিছু নেই। এক ইউজার লিখেছেন, “গাড়ির সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ বাবার হাতেই আছে। মেয়ের আনন্দের জন্য শুধু হ্যান্ডেলটা ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। এই নিয়ে এত কথা বলার কোনও মানে হয় না।”