কুণালের স্পষ্ট প্রতিক্রিয়া

Kunal Ghosh: শনিতে বৈঠক, রবিতেই তৃণমূল নিয়ে সব স্পষ্ট করে দিলেন কুণাল ঘোষ! সন্দেশখালি ইস্যুতেও বিস্ফোরক মন্তব্য

কলকাতা: টানা দুদিনের সংঘাত পর্বের পর শনিবার কুণাল ঘোষের মানভঞ্জনে তৎপর হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস৷ দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অপসারণের পরই আস্তে আস্তে মুখ খুলতে শুরু করেছিলেন কুণাল৷ যা লোকসভা নির্বাচনের মধ্যে তৃণমূলের অস্বস্তি অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছিল৷ শেষ পর্যন্ত কুণালকে বোঝাতে শনিবার তাঁর সঙ্গে আলোচনায় বসেন দলের সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন এবং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু৷ সেই বৈঠকে জল গলে অনেকটাই। আর রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে একদিকে যেমন সন্দেশখালির ভাইরাল ভিডিও নিয়ে বিজেপিকে একহাত নিলেন তিনি, অপরদিকে জানিয়েও দিলেন, তিনি তৃণমূলেই আছেন।

শনিবার দক্ষিণ কলকাতায় ডেরেক ও ব্রায়েনের বাড়িতে প্রায় ঘণ্টাখানেক বৈঠক করেন তিন নেতা৷ বৈঠক শেষে কুণাল বলেন, ‘বার বার বলেছি, তৃণমূলে ছিলাম আছি, থাকব৷ তৃণমূলের পরিবারে আমার পদ থাক না থাক আমি কর্মী সমর্থক হিসেবেই দলে থাকব৷ ব্রাত্য বসুর সঙ্গে ডেরেক ও ব্রায়েনের কাছে এসেছিলাম৷ কিছু কথা হয়েছে৷ আমি সেসব বাইরে বলব না৷ তবে তৃণমূলে ছিলাম, তৃণমূলেই থাকব৷ আমি তৃণমূল পরিবারের গর্বিত সদস্য৷ আশা করি দলও ভালবেসে, স্নেহ করে আমার উপরে আস্থা রাখবে৷’ আর রবিবার সেই কুণালই বললেন, ”আমি দলের কর্মী ছিলাম, থাকব। এত বড় একটা স্পর্শকাতর ইস্যু (সন্দেশখালি) যাতে আমি প্রথম থেকে যুক্ত ছিলাম, সেজন্যই বলছি।”

আরও পড়ুন: AC-র ব্যবহারে সবাইকে টপকে কোন রাজ্য রয়েছে শীর্ষে? বাংলা নয় কিন্তু, তাহলে? নামটা জাস্ট চমকে দেবে

কুণালের সংযোজন, ”আমি ব্যক্তিগতভাবে সাংবাদিক সম্মেলন করছি। কিন্তু আমি জানি কী করছি, কেন করেছি, সে বিষয়ে আমি কোনও উত্তর দেব না।”

সন্দেশখালির ভাইরাল ভিডিও প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ”সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সংসদ এবং একজন কর্মী হিসেবে আমি বলতে চাই সন্দেশখালি নিয়ে এক ভয়ঙ্কর সত্য সামনে এসেছে। আমরা বারবার বলে এসেছি, এটা একটা ষড়যন্ত্র। অবশেষে এটা ফাঁস হয়েছে। এটা রাষ্ট্রদ্রোহিতার কাজ। সরকার বিরোধী চক্রান্ত, রাজ্যের সম্মান নিয়ে ছেলেখেলা করা হল। পুলিশ অবিলম্বে শুয়োমোটো মামলা রুজু করুক। আজকে এটা প্রমাণিত নাটক। গঙ্গাধর কয়াল এবং আরও যারা যার নাম আছে, তাদের অবিলম্বে কাস্টডিতে নিতে হবে। কারণ যারা এই কথাগুলো বলেছে, তাদের উপর বিজেপি চাপ সৃষ্টি করছে। বারবার বলা হচ্ছে সিবিআই চাই। সিবিআই তো এদেরকে প্রটেকশন দেবে। চক্রান্ত ফাঁস হয়ে গেছে, তাই সিবিআই-র কাছে আশ্রয় চাইছে বিজেপি।”

কুণালের কথায়, ”বিজেপি যেখানে যেখানে সন্দেশখালি ইস্যু প্রচার করেছে, দিল্লি সহ বিভিন্ন জায়গায় এই ভিডিও নিয়ে তৃণমূল প্রচার করবে। যদি ভিডিও ফেক হত, নারদা কেসে সিবিআই কি শুভেন্দুর উপর এফআইআর করত? ভিডিও এখন ফাঁস হয়ে গেছে, প্রকৃত তদন্ত হলে টিকবে না। বিজেপি মানে নারী নির্যাতন ধর্ষণ খুন করা। বাংলায় ইস্যু পায়নি বলে সন্দেশখালিকে ইস্যু সাজিয়ে তারা বিবৃতি দিয়েছিলেন। সন্দেশখালি নিয়ে যারা বলেছিলেন, অমিত শাহ বাংলার মাটিতে পা রাখার আগে অবিলম্বে ক্ষমা চাইতে হবে। IPC ACT ১৪১,১৫৮,১৯৫A,২০১,২০৩ মামলা করার আবেদন জানাচ্ছি।”