কলকাতাঃ আজ মঙ্গলবার নবান্ন অভিযান। পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের তরফে এই অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের শাসক দলের অভিযোগ, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে আজকের এই নবান্ন অভিযান ঘিরেই অশান্তি-অরাজকতার ছক কষেছে বিরোধীরা। এর জেরে সতর্ক পুলিশও। প্রশাসনের তরফে একাধিক স্টেশনে চলছে তল্লাশি।
আরও পড়ুনঃ নবান্ন অভিযানের পর দিনই তৃণমূলের ছাত্র সমাবেশ! মমতা, অভিষেকের বক্তব্যের দিকে তাকিয়ে দল
কলেজ স্ট্রিট চত্বরে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রচুর মাইক লাগানো হয়েছে। সেখানে ঘোষণা করা হচ্ছে, আইন মেনে আপনারা কর্মসূচি পালন করুন। নবান্ন চত্বরে ১৬৩ ধারা( ভারতীয় ন্যায়সংহতি ধারা) রয়েছে, জমায়েত করা যাবে না। ছাত্র সমাজের ডাকে মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফার দাবিতে নবান্ন অভিযানে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিলো বহু মানুষ। নির্যাতিতার বিচারের দাবি নিয়ে আন্দোলনকারীরা রওনা দেন। নবান্ন অভিযানে জাতীয় পতাকার সঙ্গে লাঠি কেন? বর্ধমান স্টেশনে প্রশ্ন তুলল পুলিশ। তা নিয়ে ছাত্রসমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় পুলিশের। এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন ট্রেনে নবান্ন অভিযানে শামিল হলেন অনেকেই।
আরও পড়ুনঃ সোশ্যাল মিডিয়াতে CBI-কে তুলোধনা অভিষেকের! বেঁধে দিলেন তদন্তের সময়সীমা!
নদীয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে নবান্ন অভিযানে শামিল হতে ট্রেনে করে কলকাতা উদ্দেশ্যে রওনা দেন বহু মানুষ। তারই মধ্যেই নবান্ন অভিযানে যোগ দিতে রওনা দিচ্ছেন ট্রেনযাত্রী থেকে সাধারণ পথচারী। মেছেদা স্টেশন লাগোয়া এলাকায় আজ পুলিশি ঘেরাটোপে চলছে বিশেষ নজরদারি।
তারই মধ্যে মেছেদা কোলাঘাট হয়ে নবান্ন অভিযানে যোগ দিতে রওনা দিচ্ছেন একাধিক মানুষ। অপরদিকে, উত্তরকণ্যার সামনে কড়া পুলিশি পাহাড়া। পরিদর্শনে পুলিশ কমিশনার সি সুধাকর। তিনবাতি মোড়েও পুলিশ ব্যরিকেড পূর্ব মেদিনীপুর থেকে কলকাতার দিকে আসা বাসে উঠে চেকিং করছে পুলিশ।