হায়দারাবাদ -১
কেরালা ব্লাস্টার্স -১
টাইব্রেকারে ৩-১ জয়ী হায়দারাবাদ
মারগাও: রবিবার আইএসএল ফাইনালে দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। গ্যালারি পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল ম্যাচ শুরু হওয়ার অনেক আগেই। শুধু হলুদ আর হলুদ। উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন ফুটবলার আইএম বিজয়ন ও জাতীয় কোচ ইগর স্টিমাচ। হায়দরাবাদ এফসি’কে কি প্রথমবার আইএসএল চ্যাম্পিয়ন করতে পারবেন বার্থোলোমিউ ওগবেচে? রবিবার ফাতোরদার নেহরু স্টেডিয়ামে এই নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকারই প্রধান চিন্তার কারণ ছিলেন প্রতিপক্ষ কেরল ব্লাস্টার্সের।
৩৭ বছর বয়সি এই তারকা এবার আইএসএলের সর্বাধিক গোলদাতা। নামের পাশে আপাতত ১৮টি গোল। আইএসএলের ইতিহাসে সর্বাধিক গোলদাতাও (৫৩) ওগবেচে। কেরল ব্লাস্টার্সও প্রথমবার খেতাবের স্বাদ পেতে মরিয়া ছিল। এর আগে ২০১৪ ও ২০১৬ সালে তারা ফাইনালে উঠেও এটিকে’র কাছে হার মানে। গ্রুপ লিগে এই দুই দলের প্রথম সাক্ষাতে কেরল ১-০ ব্যবধানে জেতে। ফিরতি পর্বে হায়দরাবাদ ২-১ গোলে জিতে মধুর প্রতিশোধ নেয়।
রবিবার অন্তিম লড়াইয়ে কে টেক্কা দেয়, সেটাই ছিল দেখার। ম্যাচের প্রথমার্ধে দাপট বেশি ছিল কেরলের। হায়দারাবাদ মূলত কাউন্টার অ্যাটাক নির্ভর ফুটবল খেলছিল। প্রথমার্ধে কেরলের আলভারোর শট পোস্টে লাগে। হায়দারাবাদ স্ট্রাইকার সিভেরিওর হেড প্রতিহত করেন কেরল গোলরক্ষক। দ্বিতীয়ার্ধের চাপ বাড়াচ্ছিল হায়দারাবাদ।
Halicharan Narzary wins it for @HydFCOfficial! ?
?: ✅❌✅✅
⚫️: ❌❌✅❌#HFCKBFC #HeroISL #LetsFootball #HeroISLFinal #FinalForTheFans— Indian Super League (@IndSuperLeague) March 20, 2022
নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার ওগবেচে দুটো গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছিলেন। কিন্তু সেভ করে দেন প্রভসখন গিল। অবশেষে ৬৮ মিনিটে বহুকাঙ্খিত গোল করেন কেরলের রাহুল কে পি। আলভারওর পাস ধরে প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে জোরালো শট নেন। বল হায়দ্রাবাদ গোলরক্ষক কটিমনির হাতে লেগে জালে জড়িয়ে যায়। কেরলের ঘরের ছেলে রাহুল টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে চোট পেয়ে দীর্ঘদিন বাইরে চলে যান। কিন্তু আজ ফাইনালে গোল করে তিনি নায়ক।
হায়দারাবাদ শেষ পর্যন্ত লড়াই চালাচ্ছিল। হলিচরণ, সাহিল, সৌভিক, আশিষ রাই বারবার আক্রমণ করছিলেন কেরল রক্ষণে। কিন্তু ক্রোয়েশিয়ার লেসকোভিচ, খাবরা, সন্দীপদের ডিফেন্স মরিয়া লড়াই চালাচ্ছিল। শেষদিকে কেরলের লুনার ফ্রিকিক বাঁচিয়ে দেন হায়দ্রাবাদ গোলরক্ষক। ৮৭ মিনিটে পরিবর্তিত ফুটবলার সাহিল টাভোরা স্বপ্নের গোল করে ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে আনলেন।
বক্সের বাইরে থেকে দুরন্ত ভলির জবাব ছিল না কেরলের গোলরক্ষকের কাছে। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের মধ্যে খেলা শেষ হল না। অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে আবার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল কেরালা ব্লাস্টার্স। কর্নার থেকে জিকসনের হেড পোস্টে লাগে। অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে আবার গোল করার সুযোগ পেয়েছিলেন হায়দারাবাদের ওগবেচে। কিন্তু দুরন্ত গোললাইন সেভ করেন লেসকোবিচ।