Tag Archives: ISL Final

Mohun Bagan: আইএসএল ফাইনালে প্রথমার্ধে কামিন্সের গোলে এগিয়ে মোহনবাগান, চ্যাম্পিয়নশিপের থেকে ৪৫ মিনিট দূরে সবুজ-মেরুণ

কলকাতা: আইএসএল ফাইনালের প্রথমার্ধেই দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হওয়াপ গন্ধ পাচ্ছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। ঘরের মাঠে দর্শকের পূর্ণ সমর্থন নিয়ে ফাইনালের প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে সবুজ-মেরুণ ব্রিগেড। গোল করে মোহনবাগানকে লিড এনে দিয়েছেন জেসন কামিংস। ফের একবার মরশুমে ত্রিমুকুট জিতে ইতিহাস গড়ার দোরগোড়ায় আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের দল।

এদিন যুবভারতীতে টানটানভাবে শুরু হয় আইএসএল ২০২৩-২৪ এর ফাইনাল। আক্রমণ প্রতিআক্রমণে জমে ওঠে খেলা। দু দলই একাধিকবার গোল করার কাছাকাছি চলে গিয়েছিল। বেশি আক্রমণ করে মুম্বই। কিন্তু জালে বল জড়াতে পারছিল না কোনও দলই। তবে বল পজিশন ও গোলমুখী শট মোহনবাগানের থেকে বেশি ছিল মুম্বই সিটি এফসির। কাজের কাজটা করে ফেলে মোহনবাগান।

আরও পড়ুনঃ KKR News: মিচেল স্টার্কের ভাগ্য ফেরালেন অন্য একজন! কেকেআর ফ্যানেরা বলছেন ‘লাকি চার্ম’

ম্যাচের প্রথমার্ধের ৪৫ মিনিটের শেষ মুহূর্তে মোহনবাগানেপ হয়ে গোলের মুখ খোলেন জেসন কামিন্স। দুরন্ত গোল করে এগিয়ে দেন দলকে। এরপর ইনজুরি টাইমে গল শোধ করার মরিয়া চেষ্টা করে মুম্বই সিটি এফসি। তবে গোলের মুখ আর খোলেনি। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে ফাইনালে বিরতিতে গিয়েছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। আর ৪৫ মিনিট লিড ধরে রাখতে পারলেই চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান।

Mohun Bagan: মোহনবাগান চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এটাই আসল, গোল্ডেন বুট হারানোর দুঃখ নেই দিমিত্রির

গোয়া: ভারতীয় ফুটবলের প্রথমবার খেলতে এসেই চ্যাম্পিয়ন। সব বিদেশি ফুটবলারদের ভাগ্যে এমনটা হয় না। সে দিক থেকে দেখতে গেলে দিমিত্রি পেত্রাতস অত্যন্ত ভাগ্যবান। এলেন, দেখলেন এবং জয় করলেন। বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার দলে থাকা ফুটবলারটি জানতেন তাকে অনেক আশা করে নিয়ে আসা হয়েছে। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর সমর্থকদের ভালোবাসার অত্যাচারে একটুও বিরক্ত নন দিমিত্রি।

বলে দিলেন, এই দিনটার স্বপ্ন নিয়েই ভারতে এসেছিলাম। সবাইকে ধন্যবাদ আমরা একটা দল হিসেবে পারফরম্যান্স করতে পেরেছি। মোহনবাগান ভারতের অন্যতম সেরা ক্লাব সেটা কলকাতায় পা দেওয়ার পর থেকেই অনুভব করেছিলাম। সমর্থকরা সব সময় উৎসাহ দিতেন, মাঠে আসতেন, জড়িয়ে ধরতেন। একজন ফুটবলারের কাছে এটা বিরাট ব্যাপার।

আরও পড়ুন – মোহনবাগান ক্যান্টিনে হবে স্পেশাল মেনু, ডিমের ডেভিল থেকে চিংড়ির মালাইকারি! যাবেন নাকি?

প্রথমদিকে একটু মানিয়ে নিতে সমস্যা হয়েছিল। আমি নম্বর নাইন হিসেবে খেলিনি এর আগে। তবে এখানে সবার সাহায্যে নিজের ভূমিকা পালন করতে পেরেছি। কোচ হুয়ান প্রচুর সময় দিয়েছেন আমার উন্নতির পেছনে। এই জয় সমর্থকদের জয়। ওরাই আমার অক্সিজেন। ১২ গোল করে ইস্টবেঙ্গলের সিলভার এবং ওড়িশার মোরিসিওর সমান হলেও গোল্ডেন বুট পাননি দিমিত্রি।

নিয়ে গিয়েছেন মোরিসিও। তাতে অবশ্য বিন্দুমাত্র দুঃখ নেই অস্ট্রেলিয়ান তারকার। পরিষ্কার বলে দিচ্ছেন গোল্ডেন বুট পেলে ভাল হত। কিন্তু মোহনবাগান চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এটাই আসল। আমরা ভারতের সেরা দল। গোল্ডেন বুট হারানোর দুঃখ নেই। চ্যাম্পিয়ন হয়ে কলকাতায় ফিরব এটাই আনন্দের।

তবে এই সাফল্যে থেমে থাকতে চান না দিমিত্রি। সামনে সুপার কাপ। কয়েকদিন বিশ্রাম নিয়ে তারপর সেটার জন্য প্রস্তুতি শুরু করতে চান বাগানের অস্ট্রেলিয়ান তারকা। আইএসএল ফাইনালে অবশ্য ম্যাচের সেরা হয়েছেন দিমিত্রি। সেটা নিয়েও বাড়তি উচ্ছ্বাস নেই তার।

ISL final: আজ দুই বাঙালির দিকে তাকিয়ে মোহনবাগান! প্রীতম, শুভাশিসদের বাঁচা মরার ফাইনাল গোয়ায়

গোয়া: বেঙ্গালুরুর মাটিতে ২০১৫ সালে আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মোহনবাগান। ১৩ বছর পর ভারত সেরা হয়েছিল সবুজ মেরুন। সুনীল ছেত্রীর বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ওই ম্যাচে ৮৫ মিনিট পর্যন্ত পিছিয়ে থাকার পর গোল করেছিলেন বেলো রাজ্জাক। সেই দলে ছিলেন প্রীতম কোটাল। এরপর আবার কল্যাণীর মাঠে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মোহনবাগান। প্রীতম তখন এটিকেতে।

কিন্তু তারপর আবার এখন এটিকে মোহনবাগানের ক্যাপ্টেন তিনি। প্রীতম জানেন দু বছর আগে এই গোয়ার মাঠেই আইএসএল ফাইনালে মুম্বইয়ের কাছে হেরে খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল। ফুটবল ঈশ্বর আজ তাকে আর একটা সুযোগ করে দিয়েছেন। মোহনবাগান অধিনায়ক প্রীতম জানেন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ জীবনে বারবার আসে না। আর রানার্স হলে কেউ মনে রাখে না।

তাই কয়েক ঘন্টা পর আইএসএল ফাইনাল জীবনের শেষ ম্যাচ মনে করে খেলবেন প্রীতম। অন্যজন শুভাশিস বসু। বাগানের লেফট ব্যাক হিসেবে নিজেকে অনেক উন্নত করেছেন দীর্ঘকায় ফুটবলারটি। শুভাশিস জানেন এত পরিশ্রম সব বৃথা হবে যদি চ্যাম্পিয়ন না হতে পারেন। কত ঘাম, কত রক্ত, কত ত্যাগ করেছেন সারা বছর শুধু ফাইনালে ওঠার জন্য।

যখন সেটা হয়েছে তখন চ্যাম্পিয়ন না হয়ে ফেরা অন্যায় হবে। মোহনবাগান সমর্থকদের আবেগ এবং আশা প্রীতম এবং শুভাশিস এই দলে বোধহয় সবচেয়ে বেশি বোঝেন। তাই ফাইনালে দুজনেই যতটা সম্ভব স্বাভাবিক থেকে খেলার চেষ্টা করবেন। মাথা গরম নয়, স্বাভাবিক ফুটবল খেলাটাই হবে দুজনের টার্গেট। বিপক্ষ দলে যেখানে সুনীল, রয় কৃষ্ণ, শিবশক্তিদের মত ফুটবলার আছে, সেখানে বাগান ডিফেন্সের এই দুজন বাঙালি ডিফেন্ডারকে অতিরিক্ত সতর্ক থাকতেই হবে। প্রীতম এবং শুভাশিস গোল করেন না। ডিফেন্স করেন।

প্রতিপক্ষের আক্রমণ থামিয়ে পাল্টা আক্রমণ তৈরি করেন। কথাতেই তো বলে স্ট্রাইকাররা ম্যাচ জেতায়, ডিফেন্ডাররা টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন করে। ফুটবলের এই চরম সত্যিটা আজ প্রমাণ করতে মরিয়া থাকবেন সবুজ মেরুনের দুই বাঙালি ফুটবলার। ৯০ মিনিট জীবনের সেরা ফুটবল খেলার অপেক্ষায় তারা। এই ৯০ মিনিট তাদের জীবনে আর ফিরবে কিনা কেউ জানে না। তাই মরে গেলেও দুঃখ নেই। কলকাতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাতে ফিরতে পারেন সেটাই চেষ্টা করবেন প্রীতম শুভাশিস জুটি।

প্রাণের প্রিয় মোহনবাগান নাকি জামাই সুনীল ছেত্রী? মেগা ফাইনালে সুব্রতর বাজি কে?

কলকাতা: তিনি ভারতীয় ফুটবল এবং মোহনবাগান ক্লাবের কিংবদন্তি। ফুটবলার এবং কোচ দুটো ভূমিকাতেই অসাধারণ সাফল্য রয়েছে তার। ঘটনাক্রমে সুনীল ছেত্রীর শ্বশুরমশাই সুব্রত ভট্টাচার্য। আইএসএল ফাইনাল ঠিক আর একদিন দূরে। মাঝে একটা দিন। শনিবার গোয়ার মাঠে মুখোমুখি হবে এটিকে মোহনবাগান বনাম বেঙ্গালুরু এফসি। সুব্রত ভট্টাচার্যের যেন ধর্ম সংকট।

একদিকে জামাই সুনীল ছেত্রীর বেঙ্গালুরু ক্লাব। অন্যদিকে তার প্রিয় মোহনবাগান। প্রশ্ন রাখা হয়েছিল কে জিতবে ফাইনাল। ময়দানের সকলের প্রিয় বাবলুদা মনে করেন ফাইনাল যে কেউ জিততে পারে। বেঙ্গালুরু শক্তিশালী দল। শুধু সুনীল ছেত্রী কেন, জয় কৃষ্ণ, জাভি, সন্দেশ, প্রবীর দাসের মতো মোহনবাগানে খেলে যাওয়া ফুটবলাররা আছেন। তাই কঠিন লড়াই হবে শনিবার।

আরও পড়ুন – অস্ট্রেলিয়াকে একদিনের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করতে চায় ভারত, গোপন তাস তৈরি হার্দিকের

তবে এটিকে মোহনবাগানের ডিফেন্স বেঙ্গালুরুর থেকে কিছুটা এগিয়ে মনে করেন সুব্রত। প্রীতম, শুভাশিস বসু দুই বাঙালি ছেলে সবুজ মেরুন ডিফেন্স এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সঙ্গে সার্বিয়ার স্লাভকো নিজেকে প্রমাণ করেছেন ইতিমধ্যে। ব্লকার হিসেবে কার্ল ম্যাক হিউ ধারাবাহিক। সুব্রত ভট্টাচার্য মনে করেন চাপ নেওয়ার ক্ষেত্রে এবং ফাইনাল জেতার অভিজ্ঞতার সুবাদে বেঙ্গালুরুর তুলনায় কিছুটা এগিয়ে মোহনবাগান।

এই ক্লাবে তিনি ১৬ বছর খেলেছেন। প্রচুর রক্ত দিয়েছেন। কোচ হিসেবে ট্রফি দিয়েছেন। এশিয়ার সেরা কোচ হয়েছেন। সুব্রত পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন মোহনবাগান জিতলে বেশি খুশি হবেন। কিন্তু লড়াই সমানে সমানে হবে। কেউ কাউকে জায়গা দেবে না। যে দল কম ভুল করবে এবং গোলের সুযোগ কাজে লাগাতে পারবে, ফাইনালে তারাই বাজিমাত করবে।

দিমিত্রিকে পছন্দ হয়েছে সুব্রতর। তার সঙ্গে হুগো দায়িত্ব নিতে পারলে কলকাতায় ট্রফি আসতে পারে মনে করেন বাবলুদা। কিন্তু ৯০ মিনিটের মধ্যে মোহনবাগানকে খেলা শেষ করার পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি।

ফাইনালে মোহনবাগানের থেকে আরও আক্রমণাত্মক ফুটবল দেখতে চাইছেন বাইচু! দিলেন পরামর্শ

কলকাতা: এটিকে মোহনবাগান বনাম হায়দারাবাদ সেমিফাইনাল দেখতে যুবভারতীতে উপস্থিত ছিলেন বাইচু ভুটিয়া। মোহনবাগান শেষ পর্যন্ত জিতে আইএসএল ফাইনালে কোয়ালিফাই করায় খুশি বাইচু। তবে সবুজ মেরুনের খেলায় সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট নন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। সঙ্গে ছিলেন ছেলে উগেন ভুটিয়া। বাইচু ছেলেকে নিয়েই কলকাতা ফুটবলের উন্মাদনা নিচ্ছিলেন বেশ কয়েকদিন বাদে।

মোহনবাগান সমর্থকরা এসে তার সঙ্গে ছবি তুলে যাচ্ছিলেন। কেউ জড়িয়ে ধরছিলেন। ছেলেকে বাইচুং বোঝাচ্ছিলেন এই ক্লাবের জার্সিতে ডার্বিতে তিনি ছটা গোল করেছেন। যদিও ইস্টবেঙ্গলে বেশি খেলেছেন তবুও মোহনবাগানের সাফল্য চাইবেন না পাহাড়ি বিছে এমনটা হতে পারে না।

আরও পড়ুন – বাংলাদেশ এবার বাঘ, ব্রিটিশ সিংহকে হোয়াইট ওয়াশের লজ্জা উপহার টাইগারদের

হুয়ান ফেরান্ডোর দল ঘরের মাঠে আরও বেশি ফুটবল খেলবে ভেবেছিলেন তিনি। বাইচুং জানিয়েছেন মোহনবাগানের খেলায় বল দখলে রাখার ব্যাপারে শক্তি থাকলেও এবং ডিফেন্স ভাল হলেও আক্রমণ তার পছন্দ হয়নি। তার আর্জি ফাইনালে বেঙ্গালুরুকে হারাতে হলে আর একটু আক্রমাত্মক হতে হবে। বিপক্ষ দলে কৃষ্ণ, সুনীল, জাভি হার্নান্দেজদের মতো তারকা রয়েছে তাদের বেশি আক্রমণ করতে দিলে উল্টে বিপদ হতে পারে।

তাই দিমিত্রি, হুগো, লিস্টন, মনবীরদের শনিবার শুরু থেকেই টপ গিয়ারে থাকার উপদেশ দিচ্ছেন বাইচু। আক্রমণ ডিফেন্সের সেরা অস্ত্র এটাই বিশ্বাস করেন তিনি। আর চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে গুটিয়ে থেকে নয় সাহস দেখিয়ে খেলতে হবে। তবে বাইচুং আশাবাদী এটিকে মোহনবাগান নিজেদের মেলে ধরতে পারলে এবং সুযোগ অপচয় না করলে গোয়াতে শনিবার জিতবে তারাই।

বেঙ্গালুরু দুর্ধর্ষ ভাবে কামব্যাক করেছে। শেষ সাক্ষাৎকারে কলকাতায় এসে এটিকে মোহনবাগানকে হারিয়ে গিয়েছে। তবে অভিজ্ঞতা এবং ফুটবল বুদ্ধি থেকে বাইচুং মনে করেন ফাইনাল জয়ের ব্যাপারে কিছুটা হলেও এগিয়ে শুরু করবে মোহনবাগান। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ম্যাচ শেষ করার টার্গেট রাখতে হবে। সেট পিস থেকে গোল করার ক্ষেত্রে সবুজ মেরুনকে আরও দক্ষ হতে হবে।

বেঙ্গালুরু দলে মোহনবাগানের বেশ কয়েকজন প্রাক্তন তারকা রয়েছে। তারা মরিয়া হবে ফাইনালে সবুজ মেরুনকে হারিয়ে প্রাক্তন ক্লাবকে জবাব দিতে। অন্যদিকে প্রীতম, মনবীর, আশিষ রাইদের একটাই লক্ষ্য হবে ৯০ মিনিটে খেলা শেষ করা এবং চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফেরা। সুনীল ছেত্রীকেও চোখে চোখে রাখতে হবে জানিয়ে দিয়েছেন বাইচুং।

ISL Final : নায়ক গোলরক্ষক কাট্টিমনি! কেরলকে টাইব্রেকারে হারিয়ে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হায়দারাবাদ

হায়দারাবাদ -১
কেরালা ব্লাস্টার্স -১

টাইব্রেকারে ৩-১ জয়ী হায়দারাবাদ

মারগাও: রবিবার আইএসএল ফাইনালে দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। গ্যালারি পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল ম্যাচ শুরু হওয়ার অনেক আগেই। শুধু হলুদ আর হলুদ। উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন ফুটবলার আইএম বিজয়ন ও জাতীয় কোচ ইগর স্টিমাচ। হায়দরাবাদ এফসি’কে কি প্রথমবার আইএসএল চ্যাম্পিয়ন করতে পারবেন বার্থোলোমিউ ওগবেচে? রবিবার ফাতোরদার নেহরু স্টেডিয়ামে এই নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকারই প্রধান চিন্তার কারণ ছিলেন প্রতিপক্ষ কেরল ব্লাস্টার্সের।

৩৭ বছর বয়সি এই তারকা এবার আইএসএলের সর্বাধিক গোলদাতা। নামের পাশে আপাতত ১৮টি গোল। আইএসএলের ইতিহাসে সর্বাধিক গোলদাতাও (৫৩) ওগবেচে। কেরল ব্লাস্টার্সও প্রথমবার খেতাবের স্বাদ পেতে মরিয়া ছিল। এর আগে ২০১৪ ও ২০১৬ সালে তারা ফাইনালে উঠেও এটিকে’র কাছে হার মানে। গ্রুপ লিগে এই দুই দলের প্রথম সাক্ষাতে কেরল ১-০ ব্যবধানে জেতে। ফিরতি পর্বে হায়দরাবাদ ২-১ গোলে জিতে মধুর প্রতিশোধ নেয়।

রবিবার অন্তিম লড়াইয়ে কে টেক্কা দেয়, সেটাই ছিল দেখার। ম্যাচের প্রথমার্ধে দাপট বেশি ছিল কেরলের। হায়দারাবাদ মূলত কাউন্টার অ্যাটাক নির্ভর ফুটবল খেলছিল। প্রথমার্ধে কেরলের আলভারোর শট পোস্টে লাগে। হায়দারাবাদ স্ট্রাইকার সিভেরিওর হেড প্রতিহত করেন কেরল গোলরক্ষক। দ্বিতীয়ার্ধের চাপ বাড়াচ্ছিল হায়দারাবাদ।

নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার ওগবেচে দুটো গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছিলেন। কিন্তু সেভ করে দেন প্রভসখন গিল। অবশেষে ৬৮ মিনিটে বহুকাঙ্খিত গোল করেন কেরলের রাহুল কে পি। আলভারওর পাস ধরে প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে জোরালো শট নেন। বল হায়দ্রাবাদ গোলরক্ষক কটিমনির হাতে লেগে জালে জড়িয়ে যায়। কেরলের ঘরের ছেলে রাহুল টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে চোট পেয়ে দীর্ঘদিন বাইরে চলে যান। কিন্তু আজ ফাইনালে গোল করে তিনি নায়ক।

হায়দারাবাদ শেষ পর্যন্ত লড়াই চালাচ্ছিল। হলিচরণ, সাহিল, সৌভিক, আশিষ রাই বারবার আক্রমণ করছিলেন কেরল রক্ষণে। কিন্তু ক্রোয়েশিয়ার লেসকোভিচ, খাবরা, সন্দীপদের ডিফেন্স মরিয়া লড়াই চালাচ্ছিল। শেষদিকে কেরলের লুনার ফ্রিকিক বাঁচিয়ে দেন হায়দ্রাবাদ গোলরক্ষক। ৮৭ মিনিটে পরিবর্তিত ফুটবলার সাহিল টাভোরা স্বপ্নের গোল করে ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে আনলেন।

বক্সের বাইরে থেকে দুরন্ত ভলির জবাব ছিল না কেরলের গোলরক্ষকের কাছে। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের মধ্যে খেলা শেষ হল না। অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে আবার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল কেরালা ব্লাস্টার্স। কর্নার থেকে জিকসনের হেড পোস্টে লাগে। অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে আবার গোল করার সুযোগ পেয়েছিলেন হায়দারাবাদের ওগবেচে। কিন্তু দুরন্ত গোললাইন সেভ করেন লেসকোবিচ।

Kerala Blasters ISL Final : জামশেদপুরকে হারিয়ে এই নিয়ে তৃতীয় বার আইএসএল ফাইনালে পৌঁছল কেরল ব্লাস্টার্স

কেরল ব্লাস্টার্স -১
জামশেদপুর -১

গড়ে ২-১ জয়ী কেরল ব্লাস্টার্স

#গোয়া: হলুদ বনাম লাল জার্সির লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত বাজিমাত হলুদ জার্সিধারীদের। উরুগুয়ের তারকা ফুটবলার অ্যাড্রিয়ান লুনা গোল করে এগিয়ে দিয়েছিল কেরল ব্লাস্টার্সকে। ১৮ মিনিটের মাথায় লিড নেয় কেরল। দ্বিতীয়ার্ধে জামশেদপুর এর প্রণয় হালদার খেলায় সমতা ফিরিয়ে আনেন। যদিও গোল করার আগে তিনি হাত দিয়ে বল থামিয়েছিলেন। রেফারির নজর এড়িয়ে যায়।

আরও পড়ুন – Lionel Messi Argentina jersey : আর্জেন্টিনার প্রতি ম্যাচে মেসির জন্য ৩০০ জার্সি রাখতে হয়! কেন জানলে অবাক হবেন

ম্যাচে দুর্দান্ত খেলেন কেরলের লুনা, আলভারও, ডিয়াজ এবং ডিফেন্স এর লেসকোভিচ। ম্যাচের সেরা লুনা। আইএসএলর ইতিহাসে আজকের আগে পর্যন্ত দুবার ফাইনাল খেলেছিল কেরল ব্লাস্টার্স। প্রথমবার ২০১৪ সালে এটিকের কাছে এক গোলে পরাজিত হয়েছিল তারা। গোল করেছিলেন মহম্মদ রফিক। এরপর ২০১৬ সালে আবার ফাইনালে পৌঁছায় হলুদ জার্সিধারীরা। কিন্তু সেবারও থামতে হয় রানার্স হয়ে। টাইব্রেকারে দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হয় এটিকে।

আজ কেরলের কাছে বড় পরীক্ষা ছিল নিজেদের অস্তিত্ব বাঁচিয়ে রাখার। ভারতবর্ষের অন্যতম ফুটবল প্রিয় রাজ্য হয়েও দেশের সেরা লিগ না জেতার বেদনা ছিল তাদের। সামনে ছিল জামশেদপুর, যারা প্রথমবার সেমি ফাইনালে উঠেছিল। স্কটিশ ম্যানেজার ওয়েন কয়েলের হাত ধরে এই মরশুমে দুরন্ত ফুটবল খেলছিল জামশেদপুর।

প্রথম লেগে আব্দুল সামাদের গোলে জামশেদপুরকে হারিয়েছিল কেরল। তাই আজ দেখার ছিল প্রথম পর্বে এগিয়ে থাকার সুবিধা ধরে রাখতে পারে কিনা কেরল ব্লাস্টার্স। নাকি ইতিহাসে প্রথমবার ফাইনালে পৌঁছায় জামশেদপুর। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়বে না জানা ছিল। কেরলের সাহল সামাদ, পুটিয়া, আলভারও, লুনা, পেরেরা ডিয়াজ নাকি জামশেদপুরের চিমা, গ্রেগ স্টুয়ার্ট, ঋত্বিক দাস, পিটার হার্টলে?

শেষ পর্যন্ত কারা বাজিমাত করে সেটাই দেখার ছিল। জামশেদপুর লিগ শিল্ড জিতলেও ফাইনালে উঠতে পারল না। আগামীকাল এটিকে মোহনবাগান এবং হায়দারাবাদের মধ্যে জয়ী দল রবিবার ফাইনাল খেলবে কেরল ব্লাস্টার্স এর বিরুদ্ধে। তবে কেরলের সাফল্যের কৃতিত্ব দিতেই হবে সার্বিয়ান ম্যানেজার ইভান ভুকোম্যানভিচকে। দলটাকে একটা সূত্রে তৈরি করেছেন তিনি।