‘সাংসদ না হলে...’ বিজেপির টিকিট না পেয়ে পিলিভিটবাসীকে চিঠি বরুণের! কী লিখলেন বিদায়ী সাংসদ

Varun Gandhi: ‘সাংসদ না হলে…’ বিজেপির টিকিট না পেয়ে পিলিভিটবাসীকে চিঠি বরুণের! কী লিখলেন বিদায়ী সাংসদ

পিলিভিট: লোকসভা ভোটে বিজেপি থেকে টিকিট পেলেন না পিলিভিটের বিদায়ী সাংসদ বরুন গান্ধি। এমন পরিস্থিতিতে পিলিভিটের জনগণের উদ্দ‍্যেশ‍্যে খোলা চিঠি লিখলেন বরুন গান্ধি।

বৃহস্পতিবার X হ‍্যান্ড‍েলে পিলিভিট বাসীর জন‍্য নিজের মনের কথা উজাড় করে দেন বরুন। তিনি লেখেন, ‘‘আজ যখন আমি এই চিঠি লিখছি, অসংখ্য স্মৃতি আমাকে আবেগাতাড়িত করছে। আমার মনে পড়ছে সেই ৩ বছরের বাচ্চাটার কথা, যে মায়ের আঙুল ধরে ১৯৮৩ সালে প্রথমবার পিলিভিটে এসেছিল। সে কী তখন জানত যে এক দিন এই মাটি তার কর্মক্ষেত্র হয়ে উঠবে। এখানকার মানুষ হয়ে উঠবেন তার পরিবারের অংশ।’’

আরও পড়ুন: টিকিট না পেয়েই আত্মহত্যার চেষ্টা? শেষমেশ মৃত্যুই হল সাংসদের! ভোটের আগেই মর্মান্তিক ঘটনা

পিলিভিটের বাসিন্দাদের সেবা করতে পেরে নিজেকে সৌভাগ‍্যশালী মনে করছেন বরুণ। চিঠিতে তিনি লিখেছেন,‘‘শুধুমাত্র একজন সাংসদ হিসেবে নয়, একজন ব‍্যক্তি হিসেবে আমার শিক্ষা, নীতি, বিকাশে পিলিভিট থেকে পাওয়া আদর্শ, সফলতা এবং সহৃদয়তার বড় অবদান রয়েছে। আপনাদের প্রতিনিধি হতে পারার আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সম্মান ছিল। এবং আমি আমার সমস্ত ক্ষমতা দিয়ে আপনাদের হয়ে কথা বলেছি।’’

পিলিভিটের সঙ্গে তাঁর সম্পূর্ণ শুধুমাত্র রাজনৈতিক নয়। নিজেকে পিলিভিটের পুত্র বলেই উল্লেখ‍্য করেছেন বরুন। তিনি লেখেন, ‘‘সাংসদ না হলেও পিলিভিটের পুত্র হয়ে আমি সারাজীবন সেবা করে যাব।’’ টিকিট না পেয়ে ক্ষুব্ধ বরুন নির্দলের হয়ে দাঁড়াতে পারেন, এমন গুঞ্জনও শোনা গিয়েছিল। তবে রাজনৈতিক মহলের দাবি, এই চিঠি থেকে বোঝা যাচ্ছে সম্ভবত সেই জল্পনা সত‍্যি হবে না।

প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে পিলিভিট কেন্দ্র থেকে প্রথম বার বিজেপির টিকিটে লড়ে সাংসদ হয়েছিলেন বরুণ। তাঁর মা মেনকা গান্ধি পিলিভিটে ২০১৪-তে দাঁড়ান এবং জেতেন। বরুণ সে বার উত্তরপ্রদেশেরই সুলতানপুরে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে লড়ে জয়ী হয়েছিলেন। ২০১৯-এর ভোটে বরুণ পিলিভিটে এবং মেনকা সুলতানপুর থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন। এরই মধ্যে বিদায়ী লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী বুধবার বলেন, “বরুণ গান্ধীর কংগ্রেসে আসা উচিত। উনি কংগ্রেসে আসলে আনন্দিত হব।”