জলপাইগুড়ি: মানবিক কেন্দ্রীয় বাহিনী! শুধু দেশ রক্ষাই নয়, দেশের মায়েদের জোরহীন পায়ের ‘বল’ এঁরা। ভাবছেন তো! কেন এভাবে বলা হচ্ছে? জানলে হৃদয় স্পর্শ করবে আপনারও।
শুক্রবার সকাল সাতটা থেকেই জলপাইগুড়িতে শুরু হয়েছে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফা ভোট। চলবে সন্ধে ছ’টা অবধি। সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন বুথে ভোট দেওয়ার জন্যই লম্বা লাইন পড়েছে সাধারণ মানুষের। সাধারণ মানুষ এখন বোঝেন গণতন্ত্রের অধিকার বজায় রাখা ঠিক কথাটা জরুরী। ঠিক সে কারণেই, নিজের গণতন্ত্রের অধিকার নিজেই ধরে রাখতে নির্বাচন কমিশনের সুব্যবস্থা থাকলেও বাড়িতে বসে ভোট দেননি বেশ অনেক ৮৫ ঊর্ধ্ব বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা। বাড়িতে বসে নয়,বরং বুথে গিয়ে নিজে হাতে ভোট দেবেন, এমন ইচ্ছের জোরেই অনেকেই স্বজনের হাতে ধরে বুথে চলে গিয়েছেন ভোট দিতে। তাঁদের সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও। সেই রকমই হৃদয়স্পর্শী চিত্র উঠে এসেছে জলপাইগুড়িতে।
আরও পড়ুন: দ্রুত চালু হোক বিমান বন্দর, লোকসভা নির্বাচনের আগে দাবি মালদহবাসীর
আরও পড়ুন: জেলার তৈরি কাঠের মুখোশের কদর বাড়ছে! বাজার ধরতে পাড়ি দিচ্ছে ভিন রাজ্যে
জলপাইগুড়িতে প্রবীণ ভোটারদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে এলেন কেন্দ্রীয় বাহিনী। জলপাইগুড়ি পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের উমাগতী বিদ্যালয় রায়কতপাড়া এলাকার বাসিন্দা অরুণা বন্দ্যোপাধ্যায় ৮৯ বছর বয়স। বুথে গিয়ে ভোট দিলেন তিনি। পায়ে জোর নেই, কোনওরকমে যন্ত্রের উপর ভর দিয়েই হাঁটে চলেন। সিঁড়ি বেয়ে উঠতে বেজায় কষ্ট। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা অরুনা দেবীর কষ্ট দেখেই গিয়ে আসেন হাত ধরে সিঁড়ি পারাপার করেন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের এমন মানবিক রূপ দেখে খুশি সেখানকার অন্যান্য ভোটাররাও। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা যে শুধু ‘ভারত মাতা’ কে রক্ষা করে তা নয়, ভারতের বুকে বেঁচে থাকা বৃদ্ধ মায়েদেরও ভরসার হাত বাড়িয়ে দেন নির্দ্বিধায়।
সুরজিৎ দে