দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু অর্থাৎ বর্ষা নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং দক্ষিণ আন্দামান সাগরে তিন দিন আগেই ঢুকে পড়েছে। আজও ওই এলাকাতেই অবস্থান করছে আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে এর অগ্রগতি হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।বুধবার ২২ মে দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হবে। প্রাথমিকভাবে ঘূর্ণাবর্ত উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হবে। শুক্রবারের মধ্যে এই নিম্নচাপ অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। ২৩ মে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে মৎস্যজীবীদের উপকূলে ফিরে আসতে নির্দেশ দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ২৪ মে শুক্রবার থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর উত্তাল হবে।সোমবার পূর্ব বর্ধমান, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা- এই ছয় জেলায় কালবৈশাখীর সতর্কতা। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বৃষ্টি হতে পারে।বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি, সঙ্গে ৪০ থেকে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিবেগে দমকা ঝোড়ো বাতাস বইবে। বজ্রপাতের সতর্কতাও জারি করেছে হাওয়া অফিস।মঙ্গলবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সতর্কতা। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা বুধবারেও। তবে ঝড়-বৃষ্টির পরিমাণ অনেকটাই কমবে সেক্ষেত্রে।শুক্রবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা উপকূলের দুই জেলায়। ভারী বৃষ্টির সতর্কতা পশ্চিম মেদিনীপুর ও উত্তর ২৪ পরগনা এই দুই জেলায়।বজ্রবিদ্যুৎ সহ ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো বাতাস বইবে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, কলকাতা, হুগলি, হাওড়া, নদিয়া, ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়ায়।২৪ তারিখের পর থেকে বাড়বে হাওয়ার গতি, ৪০-৫০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে বইবে হাওয়া৷ এই সময়ে বজ্র বিদ্যুৎ সহ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে৷কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হয়। আজ, সোমবার ভোটের দিন বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে দমকা ঝোড়ো হাওয়া। রাতের দিকে কালবৈশাখীর সম্ভাবনা রয়েছে।সপ্তাহের শেষে বৃষ্টি বাড়বে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা শনি ও রবিবার। বৃষ্টি বেশি হবে অরুণাচল প্রদেশ, তামিলনাডু, কেরালা, মাহে ও কর্নাটকে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে শিলাবৃষ্টির দাপট মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় ও কর্নাটকে।ভারতের মৌসম ভবন এর পর আর এগতে নারাজ। যদিও বিশ্বের বিভিন্ন মডেল বলছে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। ঘূর্ণিঝড় হলে তার নাম হবে রি-মল। ওমানের দেওয়া এই নাম। আরবি ভাষায় রিমলের অর্থ বালি। নিম্নচাপ থেকে গভীর নিম্নচাপ হয়ে ঘূর্ণিঝড় হলে তার অভিমুখ হবে উত্তর ও উত্তর পূর্ব দিক। এর প্রভাবে গতি পেতে পারে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। অনুমান আবহাওয়াবিদদের।
