দুর্গা পূজা নিঃসন্দেহে বাঙালির আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে জড়িত। কিন্তু তার পরেও বাকি থেকে যায় উৎসবের দিক। সাড়ম্বরে উদযাপন হোক আর না-ই হোক, ঘরে ঘরে পুজোর কয়েকটা দিন বিশেষ কিছু পদ রান্না হবেই। বারোয়ারি পুজোয় চলবে ভোগ রান্না এবং তা বিতরণ। যে সব বাড়িতে দুর্গা পূজার রেওয়াজ আছে, সেখানেও ভোগ রান্না হবে।কাঠের আঁচের উনুন এখন স্মৃতিবিশেষ, স্টোভও বিরল। অতএব, রান্নার গ্যাসই ভরসা। কিন্তু পুজোর মাসে এই এলপিজি সিলিন্ডারের দামই কপালে ভাঁজ ফেলতে চলেছে আমজনতার। বিশেষ করে বাণিজ্যিক এলপিজি সিলিন্ডারের দাম, পুজোয় তার চাহিদা বাড়ির পুজো থেকে ক্লাবের পুজো, সবেতেই থাকবে তুঙ্গে।আর তার জন্য পকেট বেশ ভাল মতোই হালকা হবে। কেন না, অক্টোবর পড়তে না পড়তেই বাণিজ্যিক এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। অক্টোবর মধ্যরাত থেকেই কলকাতায় ১৯ কেজি বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম বেড়েছে ৪৮ টাকা। অর্থাৎ, সেপ্টেম্বরে যা ছিল ১৮০২.৫ টাকা, তা এবার এসে দাঁড়াল ১৮৫০.৫ টাকায়।রাজধানী দিল্লিতেও একই ভাবে দাম বেড়েছে ৪৮.৫ টাকা। সেখানে ১৯ কেজি বাণিজ্যিক এলপিজি সিলিন্ডারের খরচ পড়বে এখন ১৭৪০ টাকা। অন্য দিকে, মুম্বই এবং চেন্নাইয়ে যথাক্রমে দাম বেড়েছে ৪৮.৫ টাকা এবং ৪৮ টাকা। এই হিসেবে দেশের এই দুই শহরে এখন ১৯ কেজি বাণিজ্যিক এলপিজি সিলিন্ডারের দাম পড়বে যথাক্রমে ১৬৯২.৫ টাকা এবং ১৯০৩ টাকা।এবার আসা যাক বাড়িতে যা ব্যবহার করা হয়, সেই ১৪.২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দামের হিসেবে। উঁহু, চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে আর দাম বাড়েনি ঠিকই। এই অক্টোবরেও বাড়ল না, একই রইল। কিন্তু তুলনা করে দেখা যাচ্ছে যে তাতেও দেশের নিরিখে বাঙালির শহরে দুর্গা পূজার আয়োজনের দিনে এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বেশি, এখন তা যাচ্ছে ৮২৯ টাকা।অন্য দিকে, দিল্লি, মুম্বই এবং চেন্নাইয়ে তা পড়ছে যথাক্রমে ৮০৩ টাকা, ৮০২.৫ টাকা এবং ৮১৮.৫ টাকা। এই দাম ভর্তুকিহীন, ফলে সামান্য সঞ্চয়ের আশাও নেই।
