প্রতিমার মুখমণ্ডলেই প্রকাশ পায় মৃৎশিল্পীর প্রতিভা

Durga Puja 2024: দেবীর মুখমণ্ডলেই ফুটে উঠে মৃৎশিল্পীর প্রতিভা! কেমন করে তৈরি হয়, জানুন

ঝাড়গ্রাম : মৃৎশিল্পীর হাতের ছোঁয়ায় আকৃতি পান দেবদেবীরা। প্রতিমার মুখমণ্ডল এবং আকৃতি দেখে আমরা চিনতে পারি তাঁদের। মুখমণ্ডল তৈরি করার জন্য ব্যবহৃত হয় গঙ্গা মাটি। আর এই গঙ্গা মাটি দিয়েই ফুটে উঠে দেবদেবীর মুখমণ্ডল।

মুখমণ্ডল তৈরি কোনও সাধারণ বিষয় নয়। মূর্তি গড়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল প্রতিমার মুখমণ্ডল তৈরি করা। দীর্ঘদিন ধরে মুখমণ্ডল তৈরি করার জন্য মৃৎশিল্পীরা বিভিন্ন ছাঁচ ব্যবহার করে থাকেন। যার মধ্যে দুটি মাটির স্তর দিয়ে তৈরি করা হয় প্রতিমার মুখমণ্ডল। প্রথম স্তরটিতে থাকে কেবলমাত্র গঙ্গা মাটি। তার কারণ গঙ্গা মাটি অধিক পরিমাণে মসৃণ হয়। দ্বিতীয় স্তরটিতে থাকে মুখমণ্ডলটিকে শক্ত করার জন্য গঙ্গা মাটির , ধানের তুষ, পাটের গুঁড়ো-সহ একাধিক সামগ্রী দিয়ে তৈরি করা হয় বিশেষ একটি শক্ত মাটি। ছাঁচের মধ্যে প্রথম স্তর দেওয়ার পর দেওয়া হয় দ্বিতীয় স্তরের মাটি তারপরে খুব সাবধানতার সঙ্গে মৃৎশিল্পীর হাতের কৌশলের মধ্য দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয় প্রতিমার মুখমণ্ডল। তারপর সেইগুলিকে রোদে শুকনো করে বসানো হয় প্রতিমায়। কিন্তু সব সময় ছাঁচ দিয়ে তৈরি হয় না মুখমণ্ডল। বড় আকৃতির প্রতিমা হলে মৃৎশিল্পীকে নিজের হাতেই গড়তে হয়।

ঝাড়গ্রাম শহরের নতুনডিহিতে রয়েছে জয় কালী মৃৎশিল্পালয়। যেখানে দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে মূর্তি গড়ার কাজ করছেন মৃৎশিল্পী সঞ্জীব দাস। তিনি বলেন,”দীর্ঘদিন ধরে মূর্তি তৈরি করা হচ্ছে। প্রতিমার মুখমণ্ডল গড়ার জন্য প্রথমে আমরা প্লাস্টার অফ প্যারিস দিয়ে ছাঁচ তৈরি করে থাকি । তারপর সেই ছাঁচ দিয়ে আমরা প্রতিমার মুখমণ্ডল তৈরি করি। অনেক সময় বড় আকৃতির প্রতিমা হলে তখন নিজের হাতেই মুখমণ্ডল তৈরি করতে হয়। বিশেষ করে গণেশের মুখমণ্ডল হাতেই তৈরি করতে হয়।”

আরও পড়ুন: সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে এবার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ…! CBI ‘রিমান্ড কপিতে’ যা বেরিয়ে এল, চমকে দেবে!

 

পুজো আর হাতে গোনা কয়েকদিন। এর মধ্য়েই শুরু হয়ে গিয়েছে তুমুল তোড়জোড়। পটুয়াপাড়ায় শারদীয়ার আমেজ।

বুদ্ধদেব বেরা