সুস্থ থাকতে প্রয়োজন মিনারেল-এর। আর ম্যাগনেশিয়াম হল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মিনারেল যা শরীরের অন্দরে চলতে থাকা নানা রকম রাসায়নিক প্রক্রিয়া সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করে। শরীরে ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি হলে কী কী লক্ষণ দেখা যায়? লাগাতার যদি পেশিতে টান ধরতে থাকে, তবে সাবধান হন। শরীরে জলের অভাবে কখন-ও কখন-ও পেশিতে টান ধরতে পারে। কিন্তু এই সমস্যা ঘনঘন হলে তা ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতির লক্ষণ হতে পারে।শরীরে ম্যাগনেশিয়াম ঘাটতির অন্যান্য লক্ষণগুলি হল ক্লান্তি, অবসাদ এবং উদ্বেগ, অনিয়ন্ত্রিত হৃদ্স্পন্দন, ভঙ্গুর হাড়। অনেকেই ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি মেটাতে সাপ্লিমেন্ট বা ওষুধ খেয়ে থাকেন। কিন্তু মাথায় রাখবেন, যে-কোনও ওষুধের কিছু না কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। কাজেই, ভরসা রাখুন ঘরোয়া উপায়ে। এই সহজ-সাধারণ খাবারগুলিই শরীরে ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি মেটায়–পালং শাক – এই শাক একপ্রকার ‘সুপারফুড’ যাতে প্রচুর পরিমাণ ম্যাগনেশিয়াম থাকে।বাদাম– ২৮ গ্রাম কাজুবাদামে ৮৩ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম থাকে। পাশাপাশি, বাদাম ব্লাড সুগার ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে। হার্ট ভাল রাখে।রাজমা– ১ কাপ বা ১৭২ গ্রাম রাজমায় থাকে ১২০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম। অন্যান্য অঙ্কুরিত দানাশস্যতেও প্রচুর পরিমাণ ম্যাগনেশিয়াম থাকে। পাশাপাশি থাকে পটাশিয়াম ও আয়রন। অঙ্কুরিত দানাশস্যের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুব কম হয়, কাজেই ব্লাড সুগার ও কোলেস্টেরল কমায়। কমায় হার্টের অসুখের সম্ভাবনাও। ঢ্যাঁড়শ– এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম ও ফাইবার। কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস ও ওজন কমাতে এর জুরো মেলা ভার।মটরশুঁটি– ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি মেটায়, রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে।বিভিন্ন রকমের বীজ– ফ্ল্যাক্স, কুমড়োর বীজ, চিয়া বীজ-এ প্রচুর পরিমাণ ম্যাগনেশিয়াম থাকে। ২৮ গ্রাম কুমড়োর বীজে ১৬৮ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম থাকে। ফ্ল্যাক্সসিড কোলেস্টেরল কমায়, ব্রেস্ট ক্যানসার রোধে উপকারী।তৈলাক্ত মাছ– তৈলাক্ত মাছে প্রচুর পরিমাণ ম্যাগনেশিয়াম থাকে। ১০০ গ্রাম স্যামনে ৩০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম থাকে। পাশাপাশি তৈলাক্ত মাছ পটাশিয়াম, সেলেনিয়াম ও ভিটামিন বি-র খুব ভাল উৎস।কলা– কলায় থাকে প্রচুর পরিমাণম্যাগনেশিয়াম। থাকে প্রচুর পটাশিয়াময ব্লাড প্রেশার কমায়, কমায় হার্টের অসুখের ঝুঁকি। একটা বড় কলায় থাকে ৩৭ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম।
