কেউ গরমে হাঁসফাঁস করছে, কেউ ঘেমে নেয়ে একসা! গাড়ির ভিতর বন্দি পড়ুয়ারা… পুলকারের চালক উধাও, মারাত্মক কাণ্ড ধূপগুড়িতে

রকি চৌধুরী, ধূপগুড়ি: প্রচণ্ড গরমের মধ্যে পুললকারে আটকে ছটফট করছে পাঁচ স্কুল পড়ুয়া, এদিকে উধাও গাড়ি চালক। এমনই চাঞ্চল্যকর দৃশ্য দেখে হতবাক শহরবাসী থেকে রাস্তার পাশে থাকা ব্যবসায়ীরা। ঘটনাটি ঘটেছে ধূপগুড়ি গয়েরকাটা বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায়।

ধূপগুড়ি থেকে গয়েরকাটা গামী ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে থাকা একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের শিশু পড়ুয়াদের নিয়ে বাজারের দিকে আসছিল একটি পুলকার। মাঝরাস্তায় সেই পুলকারের পেট্রল শেষ হয়ে যায়। আর তা আনতেই গাড়ি চালক গাড়ির ভিতরে শিশুদের লক করে চলে যান বলে অভিযোগ প্রত্যক্ষদর্শীদের।

আরও পড়ুন: হাড় থেকে কিডনি, হাজার সমস‍্যার সমাধান, তবুও বারণ! কাদের খাওয়া উচিত নয় ভুট্টা? জেনে নিন

একে টাকফাটা গরম, তারমধ্যে জানালা দরজা বন্ধ অবস্থায় গাড়ির ভিতরে আটকে শিশুরা। প্রায় আধ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ছটফট করতে থাকে তারা।  নিস্তেজ হয়ে পড়ে। চোখ-মুখ-কান লাল হয়ে যায়। শ্বাসপ্রশ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছিল, এমনটাই দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। শিশুদের করুণ অবস্থা দেখে ছুটে আসেন আশেপাশের ব্যবসায়ীরা। কোনও মতে গাড়ির দরজা খুলে শিশুদেরকে পাশের একটি দোকানে বসানো হয়। তারও প্রায় ১৫-২০ মিনিট পর সেই গাড়িচালক আসেন গাড়ির কাছে।

চালক কাছে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন ব্যবসায়ীরা। শুধু তেল শেষ হওয়া নয়, সেই গাড়িটি স্টার্টও সঠিক ভাবে নিচ্ছিল না। বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ধূপগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি দীপু রায়। একই আশঙ্কা সাধারণ মানুষেরও।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, গাড়ির মধ্যে শিশুদের আটকে রেখে তেল আনতে যাওয়ায় রীতিমতো কষ্ট হচ্ছিল শিশুদের। শ্বাস-প্রশ্বাস নিতেও অসুবিধা হচ্ছিল। যদিও অভিযোগ মানতে অস্বীকার করেন সেই পুলকার চালক। এই ঘটনা থেকেই একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।