কলকাতা: ঝাড়খন্ডের প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার যিনি ২৩ বছর বয়সে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছিলেন, আর তারপর যা করেছেন তা ইতিহাস।তিনি মহেন্দ্র সিং ধোনি৷ ক্যাপ্টেন কুল ৩৯ পেরিয়ে ৪০ পা রাখলেন মঙ্গলবার ৷ জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পর মাত্র নিজের পঞ্চম ম্যাচেই ১৪৮ রান করে প্রমাণ করে দিয়েছিলেন আর পাঁচজনের মতো তিনি সুযোগ পেয়ে হারিয়ে যেতে আসেননি ৷ তিনি প্রমাণ করতে এসেছিলেন, ছোট শহর হলেই প্রতিভা ছোট হয় না৷ প্রতিভার কোনও ভৌগোলিক স্থানমাহাত্ম্যও থাকে না ৷ প্রতিভা হয় নিজের মতো যার বিচ্ছুরণে গোটা দুনিয়া আলোকিত হয় ৷
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ধোনির দুটি শতরান তাঁকে জাতীয় দলে জায়গা পাকা করে দিয়েছিল ৷ সে সময়ের শিরোনাম ছিনিয়ে নেওয়া তরুণ ক্রিকেটার ভবিষ্যতের সেরা প্রতিভা হয়ে দল পরিচালনা করবেন এমনটা বুঝেছিলেন ক্রিকেটবোদ্ধারা ৷ ৭ জুলাই জন্মদিনে তাঁকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে সারা বিশ্ব ৷ বিসিসিআই ধোনিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে ৭০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও তাঁর ধামাকার ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে ৷
One man, countless moments of joy! ???
Let’s celebrate @msdhoni‘s birthday by revisiting some of his monstrous sixes! ?️?#HappyBirthdayDhoni
— BCCI (@BCCI) July 6, 2020
মাহিকে খুঁজে পেয়েছিল বিসিসিআইয়েক প্রতিভা অনুসন্ধান বিকাশ বিভাগ৷ ধোনিকে সুযোগ দেওয়ার জন্য তাদের নিয়মবিধি শিথিল করতে হয়েছিল ৷ কারণ ধোনির প্রতিভাকে আন্তর্জাতিক মঞ্চ মাতাবে জন্য এটা আগেভাগেই বুঝতে পেরেছিলেন তাঁরা৷
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট পা রাখার সঙ্গে সঙ্গেই অজি তারকা অ্যাডাম গিলক্রিস্টের সঙ্গে তাঁর তুলনা শুরু হয়েছিল ৷ শেষ ওভারে দেশকে ম্যাচ জেতানোর নিয়মিত অভ্যাস করে ফেলা ধোনির নাম হয়েছিল- ফিনিশার ৷ জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার তিন বছরের মধ্যেই টি টোয়েন্টি ও একদিনের দলের অধিনায়ক নিযুক্ত হন তিনি ৷ তাঁর অধিনায়কত্বে ২০০৭ সালে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতে টিম ইন্ডিয়া ৷
One of the biggest hitters we’ve ever seen!
MS Dhoni turns 39 today, and here are his best sixes in Australia! ? pic.twitter.com/AtBBFMib3F
— cricket.com.au (@cricketcomau) July 7, 2020
টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে যে ধোনি ধামাকা শুরু তারপর থেকে একের পর এক সিরিজ জিতে ২০০৯ সালে ভারতে বিশ্ব ক্রমতালিকায় এক নম্বরে পৌঁছে দেন তিনি ৷ তবে ২০১১-১২ তে টানা ৮ টি হারের পর ভারত নিজের শীর্ষস্থান খোওয়ায়৷ কিন্তু ২০১১ তে ধোনি নিজের কেরিয়ারের ও ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা স্বীকৃতি পাইয়ে দেন ৷ ১৯৮৩ -র দীর্ঘ অপেক্ষার পর ২০১১ সালে ফের বিশ্ব ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত ৷ ২০১১ -র বিশ্বকাপ জয়ের পর ২০১৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ৪-০ জেতে ধোনির ভারত ৷ এরপর ইংল্যান্ডে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ও পরের বছর টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছয় ভারত ৷
মহেন্দ্র সিং ধোনি ৩৫০ টি একদিনের ম্যাচে ৫০.৫৭ গড়ে ১০.৭৭৩ রান করেন, যাতে ১০ টি শতরান ও ৭৩ টি অর্ধশতরান আছে ৷ একদিনের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে তাঁর সর্বোচ্চ রান ১৮৩ ৷ উইকেটের পিছনে ধোনির শিকারের সংখ্যা ৪৪৪ ৷
ধোনি ৯০ টি টেস্ট ম্যাচে ৩৮.০৯ গড়ে ৪৮৭৬ রান করে ৷ তাঁর কেরিয়ারে ৬ টি শতরান রয়েছে ৷ ৩৩ টি অর্ধশতরান রয়েছে ৷ টেস্টে তাঁর সর্বোচ্চ রান ২২৪ ৷ টেস্টে উইকেটের পিছনে তাঁর শিকার ২৯৪ ৷ ,
ভারতের জার্সিতে ৯৮ টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন ৷ ৩৭.০৬ গড়ে তার মোট রান ১৬১৭ ৷ যাতে ২ টি অর্ধশতরান রয়েছে ৷ এই ফর্ম্যাটে তাঁর স্কোর ৫৬, উইকেটের পিছনে তাঁর শিকার ৯১ ৷