জলাজমি ভরাট ঠেকাতে অভিযান

Malda News: মালদহে জলাজমি ভরাট রুখল পুরসভা, একযোগে অভিযানে পুরসভা, পুলিশ ও প্রশাসন

মালদহ: পুরাতন মালদহে জলাজমি ভরাট ঠেকাতে অভিযানে পুরসভা ও পুলিশ। পুরাতন মালদহ পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের খয়রাতিপাড়া এলাকায় চলছিল নয়নজুলি ভরাট। প্রশাসনের কাছে এবিষয়ে অভিযোগ জানায় খোদ তৃণমূল পরিচালিত পুরাতন মালদহ পুরসভা। আজ দুপুর নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছে জলা ভরাট বন্ধ করে দেয় পুলিশ ও পুরসভা। পুরাতন মালদহ পুরসভার খয়রাতিপাড়া এলাকায় এক বিঘারও বেশি জলাজমি চুপিসারে ভরাটের কাজ চলছিল।

ওই নয়নজুলি সরকারি খাস জমি হিসেবে চিহ্নিত বলে দাবি পুরসভার। এলাকায় সাধারণের ব্যবহৃত নিকাশী নালার আউটলেট রয়েছে এই নয়নজুলিতে। সেখানেই চুপিসারে ভরাটের অভিযোগ আসে পুরসভায়। এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে ভরাটের অভিযোগ উঠে। দুপুর নাগাদ এলাকায় পৌঁছন পুরাতন মালদহ পুরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ। ছিলেন পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকেরাও। অভিযুক্ত প্রতিবেশীকে ডেকে ভৎর্সনা করে পুরসভা। জলাজমিতে ফেলা মাটি তুলে ওই নয়নজলিকে পুরনো অবস্থায় ফেরানো হবে বলেও জানানো হয়। পুরাতন মালদহের কোথাও জলা জমি ভরাট করতে দেওয়া হবে না বলে এদিন স্পষ্ট হুশিয়ারি দিয়েছেন পুরপ্রধান কার্তিক ঘোষ। তিনি বলেন, আগেও এলাকায় জলা জমি ভরাটের প্রতিবাদ করেছি। ভবিষ্যতেও কোনও রকম জলা ভরাট করতে দেওয়া হবে না। এক্ষেত্রেও প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বেআইনিভাবে জলা জমি ভরাট করলে কেউ রেহাই পাবেন না।

যদিও জলাজমি ভরাটে অভিযুক্ত প্রতিবেশী ইব্রাহিম নাদাবের পাল্টা দাবি, বাড়ি তৈরির জন্য পেছনে নিচু জমিতে মাটি ফেলেছেন তিনি। সরকারি নথিভুক্ত নয়নজলিতে মাটি ফেলা হয়নি। এরপরেও পুরসভা ও প্রশাসন এসে অভিযান চালিয়েছে বলে দাবি তাঁর।এদিকে জলাজমি ভরাট রুখতে পুরসভার অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়েছে বিরোধী বিজেপি। তবে, তাঁদের দাবি পুরাতন মালদহে অধিকাংশ এলাকায় শাসকদল ও প্রভাবশালীদের মদতে একের পর এক জলা ভরাট হয়েছে। অভিযুক্তরা প্রভাবশালী হওয়ায় সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ জানাতে পারেননি। পুরসভার অভিযানকে বিলম্বিত বোধদয় বলেও কটাক্ষ বিজেপির।