কলকাতা: আরজি কর প্রতিবাদ ঘিরে বিপর্যস্ত রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবাকে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরাতে তিনি বদ্ধপরিকর। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে সেই বার্তাই দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, বার বার জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারা। তিনি নিজেও অপেক্ষা করেছেন তিন দিন। কিন্তু নবান্নের তরফে বার বার জুনিয়র চিকিৎসকদের আলোচনার টেবিলে ডেকেও লাভ হয়নি। জুনিয়র ডাক্তারদের এই অনড় মনোভাবে এবার কার্যত হতাশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বললেন, ”ওরা বিচার চায় না, ওরা চেয়ার চায়। আমি মানুষের স্বার্থে পদত্যাগ করতেও রাজি। মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার আমার চাই না। কিন্তু তিলোত্তমা বিচার পাক। আমার আন্দোলনে জন্ম। আমি আন্দোলন কে সমর্থন জানাই। মানুষ এসেছিলেন বিচার চাইতে। মানুষের স্বার্থে আমি পদত্যাগ করতেও রাজি আছি। পরিবারগুলো যদি কৈফিয়ত চায় আমরা তাদের ও কৈফিয়ত দিতে বাধ্য।”
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিবাদে কার্যত উত্তাল দেশ। গত তিন দিন ধরে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের বৈঠকের সম্ভাবনা তৈরি হলেও শেষ পর্যন্ত আলোচনা হয়ে উঠল না বৃহস্পতিবারও। তার পিছনে কার্যত চিকিৎসকদের একাংশের সদিচ্ছার অভাবকেই দায়ী করলেন মমতা। তাঁর তরফ থেকে প্রয়াসের কোনও চেষ্টার অভাব না থাকলেও মমতা এক অর্থে হতাশ মনোভাবই প্রকাশ করলেন সাংবাদিক বৈঠকে।
নবান্ন সভাঘরে ২ ঘণ্টা ১০ মিনিট অপেক্ষা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। নবান্নের দরজা পর্যন্ত এসেও বৈঠকের লাইভ সম্প্রচারের দাবি না মানায় ভিতরে ঢোকেননি আন্দোলনকারীরা। এই নাটকীয় টানাপড়েনের পর সাংবাদিক সম্মেলন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আমি আমার মতো সাধ্যমতো চেষ্টা করলাম। এর পর যদি ওরা বসতে চায় মুখ্যসচিব, ডিজিকে বলব আপনারা বসুন। উই ওয়ান্ট জাস্টিস ফর কমন পিপল।’