নেপাল বাস দুর্ঘটনা

Nepal: ‘জানলা দিয়ে আপ্রাণ বেরনোর চেষ্টা করছিলেন তাঁরা’- নেপালে বাস দুর্ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান শুনলে চোখে জল আসবে আপনারও

কাঠমান্ডু: নেপালে ভারতীয় পুণ্যার্থী নিয়ে বাস নদীতে পড়ে যাওয়ায় এখনও পর্যন্ত ২৭ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। সেই বিষয়েই এবার মুখ খুললেন ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক ব্যক্তি। এই ঘটনায় স্তম্ভিত উপস্থিত সকলেই। ভয় কাটছে না কারুর মধ্যে থেকেই। শুক্রবার, নেপালের মারসিংডি নদীতে বাস পড়ে যায়। ২৭ জন ভারতীয় পুণ্যার্থীর সলিল সমাধি ঘটে।

এই ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে সংবাদসংস্থা কাঠমান্ডু পোস্টকে অর্জুন খানাল জানান, ” ঘটনা ঘটার ৫ থেকে ৭ মিনিটের মধ্যেই আমরা সেই জায়গায় পৌঁছায়। ঘটনাস্থল ভয়ঙ্কর ছিল।”
তিনি আরও বলেন, “রাস্তা থেকে প্রায় ১৫০ মিটার উপর থেকে বাসটা সোজা নিচে পড়ে গেল। বাসের ভিতর থেকে লোকজন আপ্রাণ চিৎকার করছিল। অনেক আহতকে দেখলাম সেই অবস্থাতেই পালানোর চেষ্টা করতে। অনেকে বাসের জানলা দিয়েও পালানোর চেষ্টা করে। মানুষ কাঁদতে কাঁদতে সাহায্য চাইছিল কিন্তু ওই পরিস্থিতিতে কেউ সাহায্য করার মতন অবস্থায় ছিল না।”
জানা গিয়েছে, ৪১ জন ভারতীয় যাত্রী নিয়ে পোখরা থেকে কাঠকামান্ডু যাচ্ছিলেন। সেই সময়েই নদীতে বাস পড়ে যায়। ফুলে ফেঁপে ওঠা মারসিংডি নদী থেকে বেশ কয়েকজন যাত্রীকে উদ্ধার করা হলেও প্রাণ হারান ২১ জন।

আরও পড়ুন: ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৪, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী
ইতিমধ্যেই এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই প্রসঙ্গে তিনি এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে লেখেন, “এই ঘটনায় আমি গভীর শোকাহত। নেপালের তানাহুন জেলায় এই দুর্ঘটনায় মৃতদের আত্মার শান্তি কামনা করি। মৃতদের আত্মীয়দের প্রতি সমবেদনা জানাই। আহতদের তাড়াতাড়ি সুস্থতার কামনা করছি।”
ইতিমধ্যেই মৃতদের ময়নাতদন্তের জন্য দেহগুলি বাগমতি অঞ্চলের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাগমতির চিতওয়ান জেলার ভরতপুর হাসপাতালে দেহগুলির ময়নাতদন্ত হবে বলে জানিয়েছে নেপাল প্রশাসন।