Manoj Verma: নবান্ন অভিযানে চোখ ফেটে গিয়েছিল, আহত সার্জেন্ট দেবাশিসের বাড়িতে গেলেন নতুন সিপি

কলকাতা: সেদিন ছিল ২৭ অগাস্ট, ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’-এর ডাকা নবান্ন অভিযানে উত্তাল হয়ে উঠেছিল শহর কলকাতা। স্ট্র্যান্ড রোডে ডিউটি পড়েছিল ট্র্যাফিক সার্জেন্ট দেবাশিস চক্রবর্তীর। সেদিন বিক্ষোভকারীদের ছোড়া ইটের আঘাতে চোখ ফেটে যায় দেবাশিসের। উন্নত চিকিৎসার জন্য কলকাতার ট্র্যাফিক সার্জেন্ট দেবাশিস চক্রবর্তীকে নিয়ে যাওয়া হয় হায়দরাবাদে। সেখানে একটি বেসরকারি চক্ষু হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা হয়। রাজ্য সরকারের তরফেই উন্নত চিকিৎসার জন্য হায়দরাবাদে পাঠানো হয় দেবাশিসকে।

কলকাতা ফিরেছেন দেবাশিস চক্রবর্তী। রবিবার আহত পুলিশ কর্মীকে দেখতে তাঁর বাড়ি যান কলকাতা পুলিশের নব নিযুক্ত কমিশনার মনোজ ভার্মা। দেবাশিসের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।

আরও পড়ুন:’পুলিশদের তো প্রতিনিয়ত দোষ দেওয়া হয়, আজ আমি কাকে দোষ দেব?’ প্রশ্ন নবান্ন অভিযানে আহত সার্জেন্ট দেবাশিষের স্ত্রীর

আরও পড়ুন:পেয়াঁজ আকাশমুখী…! কেন বাড়ছে দাম? বিস্ফোরক পুরুলিয়ার সাংসদ! আসল ‘কারণ’ লিখে কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রীকে চিঠি

আহত পুলিশ কর্মীকে দেখতে রবিবার সকালে বাউড়িয়ার শ্যামসুন্দর চকে দেবাশিস চক্রবর্তীর বাড়িতে যান কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কলকাতা পুলিশের ডিসি এবং হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশ সুপার স্বাতী ভাঙ্গালিয়া। মনোজ ভার্মা জানান, ” ২৭ অগাস্ট নবান্ন  অভিযানের দিন আমাদের সার্জেন্ট  দেবাশিসের চোখে আঘাত লেগেছিল। আমরা ওঁকে দেখতে এসেছি। ওঁর সঙ্গে, ওঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বললাম। ওঁর চোখের উন্নতি হচ্ছে। আশা করছি, খুব তাড়াতাড়ি-ই ও সম্পূর্ণ সুস্থ উঠবে।”

পুলিশের গাড়িতে থাকাকালীনই আক্রান্ত হন বছর ৩৭-এর কলকাতা পুলিশের পূর্ব বিভাগের সাইবার সেলের ইনচার্জ দেবাশিস। নবান্ন অভিযানের সময় স্ট্র্যান্ড রোডের কাছে কর্তব্যরত ছিলেন তিনি। আচমকাই পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোড়া শুরু হয়। প্রথম ইটটিই তাঁর চোখে গিয়ে লেগেছিল। সরাসরি। গাড়ির উইন্ডস্ক্রিন ভেঙে। সঙ্গে সঙ্গে অঝোরে রক্ত পড়তে শুরু করে চোখ থেকে। শঙ্কর নেত্রালয়ে ভর্তি করানো হয় দেবাশিসকে। সেকান থেকেই তাঁকে পাঠানো হয় হায়দরাবাদ।