কলকাতা: কিছু দিন আগেই একাধিক সরকারি হাসপাতালের সিনিয়র ডাক্তারেরা ‘গণইস্তফা’-র সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের প্রতি সংহতির বার্তা দিতেই তাঁদের এহেন পদক্ষেপের ভাবনা ছিল। কিন্তু সরকারের কাছে ‘গণইস্তফা’ গ্রাহ্য পদত্যাগ নয়। শনিবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে এ’কথা স্পষ্ট জানালেন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ”পদত্যাগ হল নিয়োগকর্তার কাছে ব্যক্তিগত ভাবে নিযুক্তর চিঠি। ফলে ‘গণইস্তফা’ গ্রাহ্য পদত্যাগ নয়। সরকার এটা পদত্যাগ বলে ধরছে না।
আর জি কর হাসপাতালে ১০৮ জন, IPGEMR- এ ২৭ জন চিকিৎসকের বিক্ষিপ্তভাবে চিঠি এসেছে৷ তাই এটা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। এই বিষয়ে সরকার বিভ্রান্তি দূর করতে চায়। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত ভাবে এগুলি জমা পড়েছে।”
আরজি কর এবং অন্যান্য হাসপাতাল মিলিয়ে একাধিক ‘গণইস্তফা’-র চিঠিতে এখনও পর্যন্ত দুশোর কিছু কম সই জমা পড়েছে বলেও সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ” সব পাতায় স্বাক্ষর করতে হবে৷ স্বাস্থ্য ভবনের কাছে সব চিঠি আসেনি। এটা পদত্যাগের স্বাক্ষর কীনা, তাও বোঝা যাচ্ছে না৷ আইনত এই চিঠির স্বাক্ষর গৃহীত নয়৷ আইনত সার্ভিস রুল অনুযায়ী এটা পদত্যাগ নয়,আইনের চোখে গৃহীত নয়।
আরও পড়ুন:উৎসবে যানজটমুক্ত ভিআইপি রোড! মসৃণ যান চলাচল, পথচারীদের জন্য কী করা হল
‘গণইস্তফা’-র এই পদক্ষেপ প্রথম শুরু হয়েছিল আরজি কর হাসপাতাল থেকে। ত মঙ্গলবার আরজি কর হাসপাতালের ৫০ জন সিনিয়র ডাক্তার ‘গণইস্তফা’ দিয়েছিলেন। পরে কলকাতা মেডিক্যাল, ন্যাশনাল মেডিক্যাল, এসএসকেএম হাসপাতাল, সাগর দত্ত মেডিক্যাল, এনআরএস-সহ বিভিন্ন হাসপাতালের সিনিয়র ডাক্তারেরা একই পদক্ষেপ করেছিলেন। । উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজেও গত বুধবার অন্তত ৫০ জন সিনিয়র ডাক্তার ‘গণইস্তফা’ দিয়েছেন।