১৫৭ কিমি/ প্রতি ঘণ্টা গতিতে বোলিং! ইনি ভারতের শোয়েব আখতার, পড়ে যান বারান্দা থেকে

মুম্বই: ভারতীয় ক্রিকেট সবসময় ফাস্ট বোলারের অভাব। কিন্তু টিম ইন্ডিয়া এখন জসপ্রিত বুমরাহ ও মহম্মদ শামির মতো পেসার পেয়েছে। এর আগেও বহু পেসার ভারতীয় ক্রিকেটের উন্নতিতে সাহায্য করেছেন।

ভারতে এমন কিছু বোলার ছিলেন যাঁদের ভাগ্য তাঁদের প্রতি অসন্তুষ্ট ছিল। আজ আমরা আপনাকে এমন একজন ফাস্ট বোলারের গল্প বলতে চলেছি। তাঁর গতি পাকিস্তানের কিংবদন্তি শোয়েব আখতারের চেয়ে কম ছিল না। কিন্তু মাত্র ২ মাসের মধ্যেই শেষ হয়ে যায় এই খেলোয়াড়ের কেরিয়ার।

আরও পড়ুন- প্যারিস অলিম্পিক্সে ইতিহাস অবিনাশ সাবলের ! ৩০০০ মিটার স্টিপলচেজের ফাইনালে উঠলেন

আমরা টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন ফাস্ট বোলার ডেভিড জনসনের কথা বলছি। তিনি সচিনের অধিনায়কত্বে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। তিনি ১৯৭১ সালের ১৬ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন।

—- Polls module would be displayed here —-

জনসন তাঁর দুরন্ত পেস বোলিংয়ের জন্য পরিচিত ছিলেন। তিনি একটি ডেলিভারি করেছিলেন 157.8 কিমি/ঘণ্টা গতিতে। তাঁর কেরিয়ির কিন্তু দীর্ঘ হয়নি।

তিনি কর্ণাটকের বোলিং বিভাগের একজন গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিলেন। সেই দলে অনিল কুম্বলে, জাভাগাল শ্রীনাথ এবং ভেঙ্কটেশ প্রসাদের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড় ছিলেন।

আরও পড়ুন- পা টলছে ! পথচারীদের কাঁধে ভর দিয়ে পেরোচ্ছেন রাস্তা, বিনোদ কাম্বলির ভিডিও ভাইরাল

এত দুর্দান্ত বোলিং করলেও জনসনের ক্যারিয়ার বেশিদিন টেকেনি। ১০ অক্টোবর ১৯৯৬ সালে ভারতীয় ক্রিকেট দলে তাঁর অভিষেক হয়। তাঁর প্রথম ম্যাচ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। তাঁর প্রথম আন্তর্জাতিক শিকার মাইকেল স্লেটার।

একই বছর ডিসেম্বরে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তাঁর কেরিয়ারের দ্বিতীয় এবং শেষ টেস্ট খেলেন। এমনকী ওই ম্যাচেও তিনি খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারেননি। মাত্র ২ উইকেট নিতে সক্ষম হন। এর পর তিনি টিম ইন্ডিয়াতে সুযোগ পাননি।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪ এর মধ্যে খারাপ খবর জানা যায়। ৫২ বছর বয়সী জনসন বাড়ির বারান্দা থেকে পড়ে গিয়েছিলেন। সেই কারণে তাঁর মৃত্যু হয়।

প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে তিনি যে চিহ্ন রেখে গেছেন তা চিরদিন মনে থাকবে অনেকের। রঞ্জি ট্রফিতে ৩৯টি ম্যাচে তাঁর নামের পাশে ১২৫টি উইকেট রয়েছে। এছাড়া ৩৩টি লিস্ট এ ম্যাচে ৪১ উইকেট নিয়েছেন তিনি। জনসন তাঁর আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের পর একটি একাডেমি চালাচ্ছিলেন।