প্রায় পনেরো বছর আগে অর্থাৎ ২০০৯ সালের ২৫ জুন মাত্র ৫০ বছর বয়সে লস অ্যাঞ্জেলসে মৃত্যু হয়েছিল কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী মাইকেল জ্যাকসনের। যা গোটা বিশ্বকে হতবাক করে দিয়েছিল। আর মাইকেল জ্যাকসনের মৃত্যুর কালে তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন বিল হুইটফিল্ড। সম্প্রতি কিংবদন্তি শিল্পীর মৃত্যুর আসল কারণ সামনে আনলেন তিনি। জানা গিয়েছিল, অ্যাকিউট প্রোপোফল ইনটক্সিকেশনের কারণে মৃত্যু হয়েছিল মাইকেল জ্যাকসনের। এদিকে অনিচ্ছাকৃত হত্যার অভিযোগ উঠেছে মাইকেল জ্যাকসনের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। আর এই বিষয়টা নিয়েই বহু বছর ধরে ভেবেছেন বিল।
কেউ কি ভুল করেছেন বলে মনে হয়? এর জবাবে দ্য সান-এর কাছে বিল হুইটফিল্ড বলেন, “হ্যাঁ।” তিনি আরও বলেন যে, “আমি অনেকটা সময় ধরে ভাবার চেষ্টা করেছি যে, এটা কি ইচ্ছাকৃত?” মাইকেল জ্যাকসনের শেষ সময়ের স্মৃতি হাতড়ে বিল জানান যে, “স্বাভাবিকের তুলনায় একটু বেশিই দুর্বল হয়ে পড়েছিলে কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী। তাঁর কথায়, ‘দিজ ইজ ইট’ ট্যুরের আগে সমস্ত কিছু বদলে গিয়েছিল। তাঁর জীবনে আরও অনেক মানুষ ছিলেন। ফলে ব্যাপারটা ক্লান্তিকর ছিল। তিনি প্রচুর রিহার্সাল করছিলেন। আর আমি এটুকু বলতে পারি যে, তাঁর উপর এই বিষয়টা চাপ ফেলছিল।”
আরও পড়ুন: রক্ষকই যখন ভক্ষক, থানায় নাতি ও বৃদ্ধাকে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ, ভাইরাল সিসিটিভি ফুটেজ
বিল হুইটফিল্ড আরও বলেন যে, “কিন্তু ইচ্ছাকৃত ভাবে কারও হাতে [তিনি মারা গিয়েছেন], এই চিন্তাটা আমার কাছে গুরুত্ব পায় না… আমাকে প্রায়ই জিজ্ঞাসা করা হয় যে, আমি কি মনে করি, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে? আমি মানুষকে অনেক কিছু বলেছি।” বিল স্মৃতি হাতড়ে বলেছেন, “বহু মানুষ তাঁর কাছাকাছি থাকতে চেয়েছিলেন। আর এমনও অনেকে রয়েছেন, যাঁরা তাঁর থেকে কিছু না কিছু চেয়েছিলেন। আর যেটা হয়তো অতিরিক্ত হয়ে গিয়েছিল। এর জন্য তিনি মানসিক চাপে ভুগেছেন। আর মানসিক চাপই ঘাতক হয়ে ওঠে।” ২০০৬ সালে মাইকেল জ্যাকসনের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন বিল। ফলে কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পীর বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হেনস্থার অভিযোগ নিয়ে তিনি বলেন যে, “উনি যে ছিলেন, তা নয়।”
বিল আরও বলেন যে, “এমন কিছুই সামনে আসেনি যা আমাকে বিশ্বাস কিংবা অনুমান করাতে পারে। আসলে তাঁকে জানতে গেলে তো তাঁর আশপাশে থাকতে হবে। আর আমি তাঁর পাশেই ছিলাম… তাই না, সেটা উনি ছিলেন না। ফলে ওই ধরনের কথা শুনে আমি অবাকই হয়েছি। আমি সত্যিই দুঃখিত যে, তিনি বেশি দিনের জন্য আমার পাশে ছিলেন না, নিজের দিকের গল্পটা বলার জন্য। তাতে মানুষ হয়তো বুঝতেন যে, তিনি আসলে কেমন ছিলেন।”