‘মির্জাপুর সিজন ২’-এর যৌন দৃশ্য নিয়ে কী বললেন অভিনেতা বিজয়?

Mirzapur 3: ‘আমরা আমাদের সঙ্গীদের থেকে কত কিছুই শিখি’; ‘মির্জাপুর সিজন ২’-এর যৌন দৃশ্য নিয়ে এমন কেন বললেন অভিনেতা বিজয়?

বড়সড় চমক দিয়েই শেষ হয়েছিল ‘মির্জাপুর সিজন ২’। বহু প্রশ্নেরই উত্তর মেলেনি। শ্বেতা ত্রিপাঠী শর্মা অভিনীত গোলু এবং বিজয় বর্মা অভিনীত ছোটে ত্যাগীর একটি যৌন দৃশ্য রয়েছে। এই চমক কিন্তু মির্জাপুর ভক্তদের মনে প্রশ্নের তুফান নিয়ে এসেছে। আসলে সকলে ভাবছেন, এই অশান্তি এবং গোলু আর ছোটে ত্যাগীর মধ্যে এহেন যৌন রসায়ন কোন দিকে মোড় নেবে। তবে এ নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে যে, এটা কি ছোটে ত্যাগী না কি তাঁর শয়তান যমজ ভাই বড়ে!

আরও পড়ুনঃ বিছানায় ফুলের ছড়াছড়ি! কাঞ্চন-শ্রীময়ীর আদুরে যাপন… হানিমুনের মুহূর্তরা ফাঁস

এদিকে ‘মির্জাপুর সিজন ৩’ মুক্তি পাওয়ার আগে বিজয়ের বিশেষ সাক্ষাৎকার নিয়েছে News18 Showsha। ছোটে এবং গোলুর মধ্যে অন্তরঙ্গ দৃশ্য নিয়ে সেখানে মুখ খুলেছেন অভিনেতা। তাঁর কথায়, “মন থেকে ছেলেটি বেশ নিষ্পাপ এবং রোম্যান্টিক। আর এদিকে মেয়েটির প্রেমে সে হাবুডুবু খাচ্ছে। এরপর তাদের মধ্যে যেটা হয়, সেটা ছেলেটি তার বিষয়ে কিছু জানতে পেরেছে। এখানে মেয়েটিই তাকে শেখাচ্ছে।”

বিজয় আরও বলে চলেন, “চরিত্রটির জন্য বিষয়টা বেশ চিত্তাকর্ষক, কারণ সে গোলুর সঙ্গে একটা দারুণ বিষয়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এমনিতে দেখে যেন তাঁকে মনে হয়, সে খুবই সাধারণ এবং মিষ্টি একটা মেয়ে। কিন্তু দর্শকরা তাঁর প্রথম দৃশ্যটি ভুলে গিয়েছে। যেখানে তাঁকে গ্রন্থাগারে একটি নির্দিষ্ট ধরনের ইরোটিকা পড়তে দেখা গিয়েছে। সে বিষয়টিকে আলাদা ভাবেই নিয়েছে এবং ছোটের সঙ্গে গোলুই বিষয়টির (কামোত্তেজক যৌনতা) পরিচয় ঘটিয়েছে।”

এই বিষয়ে বিজয়ের মতামত, “ঠিক এভাবেই জীবন খেলে যায়। আসলে আমরা আমাদের সঙ্গীদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখি। বিশেষ করে যৌনতার ক্ষেত্রে এমনটা নয় যে, আপনি নিজের মতো করে সব কিছু আবিষ্কার করবেন। যখন একটি নির্দিষ্ট ধরনের শক্তির সঙ্গে আপনার পরিচয় ঘটে, তখন আপনি একজন ছেলে থেকে একজন পুরুষে পরিণত হন।” ওই দৃশ্যের বিষয়ে অভিনেতা আরও বলেন, “যখন গোলু তার হাতে বেল্ট ধরিয়ে বলে মারতে, সে সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে মারতে শুরু করে। যখন এই আইডিয়ার কথা আমি বলেছিলাম, তখন গুরু (পরিচালক গুরমিত সিং) হাসতে শুরু করে দিয়েছিলেন। আমি তাঁকে বলেছিলাম যে, আসলে এই চরিত্রটা জানেই না যে, মেয়েটা কী চাইছে!”

বিজয় আরও জানান যে, “মির্জাপুরের এই সিজনে সেটে একজন ইন্টিমেসি কো-অর্ডিনেটরও ছিলেন। যেটা আগের দুই সিজনে ছিল না। তাঁর কথায়, ইন্টিমেসি কো-অর্ডিনেশন ওয়ার্কশপ থেকে যদি কিছু শেখা যায়, সেটা সেটে সহজেই প্রয়োগ করা সম্ভব।”