কলকাতা: ডার্বি বাতিলের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে গ্রেফতার একাধিক মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল সমর্থক। সাঁতরাগাছি থানা-সহ একাধিক থানায় ধড়পাকর ও গ্রেফতার চলে রাত জুড়ে। তারই জেরে এবার জরুরি জনস্বার্থ মামলার অনুমতি প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের। দুপুর দুটোয় মামলার শুনানির নির্দেশ আদালতের।
রবিবার থেকে খোঁজ নেই একাধিক মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের। পুলিশও কোন খোঁজ দিচ্ছে না এই সমর্থকদের। তাই জরুরি মামলার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এবার জনস্বার্থ মামলার অনুমতি দিল ডিভিশন বেঞ্চ।
প্রসঙ্গত, নিরাপত্তার কারণে বাতিল করে দেওয়া হয় ডার্বির ম্যাচ। এরপরেই আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে জামায়াতের সিদ্ধান্ত নেয় ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান সমর্থকরা। এরপরেই পুলিশে পুলিশে চেয়ে যায় সল্টলেক স্টেডিয়াম চত্বর। সমর্থকরা প্রশ্ন তোলেন, নিরাপত্তার দাবি তুলে যদি ডার্বি বাতিল করা হয়, তা হলে প্রতিবাদ আটকাতে এত পুলিশ মোতায়েন করা হল কেন? ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানের সঙ্গে মহমেডান পতাকা নিয়েই আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ফেটে পড়েন তাঁরা।
এদিকে এই পরিস্থিতিতে জমায়েত ঘিরে বাড়ে উৎকণ্ঠা। বিধাননগর পুলিশের ডিসি সাংবাদিক বৈঠক করে প্রকাশ্যে আনেন দুটি সন্দেহজনক অডিও টেপ। এই সূত্রে ৫ জনকে আটক করা হয়। রবিবার বিকেল ৪টে থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ওই এলাকায় ১৬৩ ধারা জারি করা হয়। এরপরেও রাতভর চলে ধরপাকড়।