কলকাতা: আমাদের দেশের বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্র বলছে যে আমাদের রাশিচক্রের ১২টি রাশি মানবজীবনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা দিতে সক্ষম। প্রত্যেকটি রাশি তাদের প্রতিদিনের গ্রহের ভিন্ন ভিন্ন অবস্থানের কারণে জীবনে ভিন্ন ভিন্ন ঘটনার সম্মুখীন হয়ে থাকে। সেই কারণেই প্রতিটি রাশির জাতক-জাতিকাদের জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে জ্যোতিষশাস্ত্র ভবিষ্যদ্বাণী করতে সক্ষম। এবারে দেখে নেওয়া যাক রাশিফল আমাদের অর্থভাগ্য নিয়ে কী কী গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিচ্ছে। জন্মদিন মিলিয়ে বেছে নিতে হবে নিজের রাশি এবং সেই অনুযায়ী আর্থিক পদক্ষেপ কাম্য; জানাচ্ছেন ভূমিকা কালাম!
মেষ: মার্চ ২১ থেকে এপ্রিল ১৯।
কাজ বাড়বে, সঙ্গে বাড়বে সম্পদও।
প্রতিকার – অনুগ্রহ করে দেবী লক্ষ্মীকে ক্ষীর নিবেদন করুন।
বৃষ: এপ্রিল ২০ থেকে মে ২০।
সঠিক সময়ে নেওয়া সিদ্ধান্ত টাকা এনে দেবে।
প্রতিকার – অনুগ্রহ করে বিষ্ণুসহস্রনাম পাঠ করুন।
মিথুন: মে ২১ থেকে জুন ২০।
হাতে আচমকাই কিছু টাকা আসতে পারে।
প্রতিকার – অনুগ্রহ করে হলুদ সামগ্রী দান করুন।
কর্কট: জুন ২১ থেকে জুলাই ২২।
আর্থিক দুষ্চিন্তার দিন শেষ হতে চলেছে।
প্রতিকার – অনুগ্রহ করে হলুদ কাপড়ে কলাগাছের শিকড় মুড়ে গলায় পরুন।
সিংহ: জুলাই ২৩ থেকে অগাস্ট ২২।
আটকে থাকা টাকা এবার ফেরত আসবে।
প্রতিকার – অনুগ্রহ করে শিব চালিসা পাঠ করুন।
কন্যা: অগাস্ট ২৩ থেকে সেপ্টেম্বর ২২।
বয়স্কদের পরামর্শ আর্থিক লাভের মুখ দেখাবে।
প্রতিকার – অনুগ্রহ করে শ্রীগণেশকে লাড্ডু নিবেদন করুন।
তুলা: সেপ্টেম্বর ২৩ থেকে অক্টোবর ২২।
অংশীদারিত্বই এখন আর্থিক লাভের মুখ দেখাবে।
প্রতিকার – অনুগ্রহ করে গৃহের প্রধান দ্বারে গুড় রাখুন।
বৃশ্চিক: অক্টোবর ২৩ থেকে নভেম্বর ২১।
আর্থিক জটিলতা আপাতত কাটার লক্ষণ নেই।
প্রতিকার – অনুগ্রহ করে কদলী বৃক্ষ এবং শ্রীবিষ্ণুর আরাধনা করুন।
ধনু: নভেম্বর ২২ থেকে ডিসেম্বর ২১।
লেনদেনে সতর্ক না হলে টাকা আটকে যাবে।
প্রতিকার – অনুগ্রহ করে বৃহস্পতিবার উপবাস এবং পীতবাস পরিধান করুন।
মকর: ডিসেম্বর ২২ থেকে জানুয়ারি ১৯।
পারিবারিক প্রয়োজনে বিপুল অর্থ ব্যয় হবে।
প্রতিকার – অনুগ্রহ করে গোমাতাকে ছোলার ডাল, গুড়, হলুদের মণ্ড নিবেদন করুন।
কুম্ভ: জানুয়ারি ২০ থেকে ফেব্রুয়ারি ১৮।
আর্থিক কাগজপত্রে সইয়ের আগে সব দিক দেখে নিন।
প্রতিকার – অনুগ্রহ করে শ্রীবিষ্ণুকে বেসনের লাড্ডু নিবেদন করুন।
মীন: ফেব্রুয়ারি ১৯ থেকে মার্চ ২০।
কাঙ্ক্ষিত সাফল্য এবং অর্থ- দুই করায়ত্ত হবে।
প্রতিকার – অনুগ্রহ করে অশ্বত্থ বৃক্ষতলে পাঁচটি ঘৃতদীপ নিবেদন করুন।