Money Making Tips: দ্রুত ১ কোটি রিটার্ন পেতে কত টাকা বিনিয়োগ করতে হবে? দেখে নিন পুরো হিসেব

বিনিয়োগ করতে হয় বুঝেশুনে। দেখতে হয় কোথায় রিটার্ন বেশি মিলবে। কিন্তু ঝুঁকি থাকবে কম। ইদানীং বিনিয়োগকারীদের মুখে মুখে ঘুরছে মিউচুয়াল ফান্ডের নাম। বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, দীর্ঘমেয়াদে এসআইপির মাধ্যমে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগই আদর্শ।
বিনিয়োগ করতে হয় বুঝেশুনে। দেখতে হয় কোথায় রিটার্ন বেশি মিলবে। কিন্তু ঝুঁকি থাকবে কম। ইদানীং বিনিয়োগকারীদের মুখে মুখে ঘুরছে মিউচুয়াল ফান্ডের নাম। বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, দীর্ঘমেয়াদে এসআইপির মাধ্যমে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগই আদর্শ।
এখন প্রশ্ন হল, এক কোটি রিটার্ন পেতে হলে কত টাকা বিনিয়োগ করতে হবে? আর্থিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা নির্ভর করে মেয়াদ এবং রিটার্নের হারের উপর। ধরে নেওয়া যাক, কোনও ব্যক্তি মাসে ১ লাখ টাকা উপার্জন করেন। তাহলে মাসিক আয়ের ১৫ থেকে ২০ শতাংশ তিনি বিনিয়োগ করতে পারেন।
এখন প্রশ্ন হল, এক কোটি রিটার্ন পেতে হলে কত টাকা বিনিয়োগ করতে হবে? আর্থিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা নির্ভর করে মেয়াদ এবং রিটার্নের হারের উপর। ধরে নেওয়া যাক, কোনও ব্যক্তি মাসে ১ লাখ টাকা উপার্জন করেন। তাহলে মাসিক আয়ের ১৫ থেকে ২০ শতাংশ তিনি বিনিয়োগ করতে পারেন।
সেই হিসাবে ১৫ শতাংশ অর্থাৎ ১৫ হাজার টাকা যদি ইক্যুইটি মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা হয় এবং ১২ শতাংশ গড় রিটার্ন পাওয়া যায় তাহলে ২১১ মাসের মধ্যে তিনি ১ কোটি টাকা পাবেন। যদি বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়িয়ে ২০ শতাংশ অর্থাৎ ২০ হাজার টাকা করা হয় তাহলে ১২ শতাংশ সুদের হারে ১ কোটি টাকা রিটার্ন পেতে সময় লাগবে ১৮৫ মাস।
সেই হিসাবে ১৫ শতাংশ অর্থাৎ ১৫ হাজার টাকা যদি ইক্যুইটি মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা হয় এবং ১২ শতাংশ গড় রিটার্ন পাওয়া যায় তাহলে ২১১ মাসের মধ্যে তিনি ১ কোটি টাকা পাবেন। যদি বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়িয়ে ২০ শতাংশ অর্থাৎ ২০ হাজার টাকা করা হয় তাহলে ১২ শতাংশ সুদের হারে ১ কোটি টাকা রিটার্ন পেতে সময় লাগবে ১৮৫ মাস।
আবার যদি কেউ মাসে ২৫ হাজার টাকা মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেন, অর্থাৎ বেতনের ২৫ শতাংশ তাহলে ১২ শতাংশ সুদের হারে ১৬৬ মাসে তিনি ১.০১ কোটি টাকা পাবেন। সোজা কথায়, বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ালে কম সময়ে বেশি রিটার্ন মিলবে।
আবার যদি কেউ মাসে ২৫ হাজার টাকা মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেন, অর্থাৎ বেতনের ২৫ শতাংশ তাহলে ১২ শতাংশ সুদের হারে ১৬৬ মাসে তিনি ১.০১ কোটি টাকা পাবেন। সোজা কথায়, বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ালে কম সময়ে বেশি রিটার্ন মিলবে।
স্টেপআপ এসআইপিতে সময় আরও কম লাগবে। কারণ এতে বিনিয়োগের পরিমাণ প্রতিবছর বৃদ্ধি পায়। ধরা যাক ১২ শতাংশ বার্ষিক রিটার্নে কেউ প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকার মাসিক এসআইপি করলেন। এবং প্রতি বছর বিনিয়োগ ৫ শতাংশ হারে বাড়ালেন। তাহলে ১৮৬ মাসেই তিনি ১ কোটি টাকা হাতে পাবেন। আর যদি বিনিয়োগ ১০ শতাংশ হারে বাড়ানো হয় তাহলে ১ কোটি টাকা পেতে সময় লাগবে ১৬৬ মাস।
স্টেপআপ এসআইপিতে সময় আরও কম লাগবে। কারণ এতে বিনিয়োগের পরিমাণ প্রতিবছর বৃদ্ধি পায়। ধরা যাক ১২ শতাংশ বার্ষিক রিটার্নে কেউ প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকার মাসিক এসআইপি করলেন। এবং প্রতি বছর বিনিয়োগ ৫ শতাংশ হারে বাড়ালেন। তাহলে ১৮৬ মাসেই তিনি ১ কোটি টাকা হাতে পাবেন। আর যদি বিনিয়োগ ১০ শতাংশ হারে বাড়ানো হয় তাহলে ১ কোটি টাকা পেতে সময় লাগবে ১৬৬ মাস।
একইভাবে ২০ হাজার টাকার মাসিক এসআইপিতে প্রতিবছর ৫ শতাংশ স্টেপআপ করলে ১ কোটি টাকার কর্পাস তৈরি হতে সময় লাগবে ১৬৪ মাস। স্টেপআপ নির্ভর করে গ্রাহক প্রতি বছর কতটা বিনিয়োগ করতে পারবেন তার উপর। তবে ধৈর্য এবং শৃঙ্খল অপরিহার্য, বাজার যেমনই হোক, বিনিয়োগ চালিয়ে যেতে হবে। ১ কোটি টাকার সম্পদ তৈরির এটাই আসল কথা।
একইভাবে ২০ হাজার টাকার মাসিক এসআইপিতে প্রতিবছর ৫ শতাংশ স্টেপআপ করলে ১ কোটি টাকার কর্পাস তৈরি হতে সময় লাগবে ১৬৪ মাস। স্টেপআপ নির্ভর করে গ্রাহক প্রতি বছর কতটা বিনিয়োগ করতে পারবেন তার উপর। তবে ধৈর্য এবং শৃঙ্খল অপরিহার্য, বাজার যেমনই হোক, বিনিয়োগ চালিয়ে যেতে হবে। ১ কোটি টাকার সম্পদ তৈরির এটাই আসল কথা।