লাইফস্টাইল Most Expensive Food: এই এক কেজি ‘ডিম’ এত দামি! কিনতে গেলে বাড়ি বিক্রি করতে হবে, অবিশ্বাস্য উপকারিতা এই খাবারের Gallery September 7, 2024 Bangla Digital Desk পৃথিবীতে এমন অনেক জিনিস পাওয়া যায়, তাদের দাম জানলে আপনি হতবাক হয়ে যাবেন। আমরা যদি সবচেয়ে দামি খাবারের কথা বলি, তাহলে খুব কম লোকই এর উত্তর দিতে পারে। আপনি জেনে অবাক হবেন, বিশ্বের সবচেয়ে দামি খাবার ফল বা সবজি নয়, বরং একটি বিশেষ ধরনের ডিম, যা এক কেজি কিনতে মানুষের বছরের পর বছর আয় খরচ হয়ে যায়। এই ডিমগুলো সমুদ্রের ভেতর থেকে এবং মাত্র কয়েকটি জায়গাতেই পাওয়া যায়। এ কারণেই তাদের দাম অনেক বেশি। এই বিশেষ ডিম স্বাস্থ্যের জন্যও আশ্চর্যজনক ভাবে উপকারী। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে দামি খাবার হল আলমাস ক্যাভিয়ার। বেশিরভাগ মানুষ মাছের ডিমকে ক্যাভিয়ার বলে মনে করেন, তবে তা নয়। ক্যাভিয়ার হল বিরল প্রজাতির মাছের ডিম্বাশয় থেকে নির্গত ডিম। অনেক ধরনের ক্যাভিয়ার রয়েছে, যার মধ্যে আলমাস ক্যাভিয়ারকে সবচেয়ে ব্যয়বহুল এবং বিরল হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ইরান থেকে আসা অ্যালবিনো স্টার্জন মাছের ডিম্বাশয় থেকে আলমাস ক্যাভিয়ার আহরণ করা হয়। এই মাছের বয়স ৬০ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে। এদের রং কালো, যার কারণে এদেরকে কালো সোনাও বলা হয়। সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, আলমাস ক্যাভিয়ারের দাম কোটি টাকা হতে পারে। আকাশছোঁয়া দাম হওয়ার কারণ, বিরল অ্যালবিনো স্টার্জন মাছ নিলামে কয়েক কোটি টাকায় বিক্রি হয়। এই ক্যাভিয়ারগুলি স্বাস্থ্যের জন্যও খুব উপকারী। ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের প্রতিবেদন অনুসারে, আলমাস ক্যাভিয়ার ভিটামিন বি ১২, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন এবং ক্যালসিয়াম-সহ পুষ্টিতে সমৃদ্ধ। আলমাস ক্যাভিয়ারে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। আলমাস ক্যাভিয়ার মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই উপকারী। আলমাস ক্যাভিয়ারেও রয়েছে উচ্চমানের প্রোটিন, যা শরীরের পেশির জন্য উপকারী হতে পারে। ক্যাভিয়ারে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরকে বিপজ্জনক ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করে এবং বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে ধীর করে দিতে পারে। ক্যাভিয়ারে উপস্থিত পুষ্টি শক্তি বজায় রাখে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে। অনেক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে যে আলমাস ক্যাভিয়ার খাওয়া মানুষের স্মৃতিশক্তিকে তীক্ষ্ণ করতে পারে। এই বিশেষ ডিম ত্বকের উন্নতির জন্য উপকারী বলে বিবেচিত হতে পারে।