পাঁচমিশালি Most Expensive Cities in the World: ২০২৪ সালে প্রবাসীদের জন্য বিশ্বের সবথেকে ব্যয়বহুল শহর কোনগুলি? আর ওই তালিকায় ভারতের কোন শহর কত-তম স্থানে রয়েছে? Gallery September 13, 2024 Bangla Digital Desk চাকরি, উচ্চশিক্ষা-সহ বিভিন্ন কারণে দেশের মানুষ পাড়ি দেন বিদেশে। তবে নিজের জায়গা ছেড়ে সম্পূর্ণ অন্য একটা দেশে গিয়ে বসবাস করা কিন্তু সহজ নয়। কিন্তু প্রবাসীদের জন্য বিশ্বের সবথেকে দামি দেশগুলি কী কী, সেই তালিকায় দেখে নেওয়া যাক। Representative Image Mercer-এ প্রকাশ্যে আসা সাম্প্রতিক এক রিপোর্ট ‘Cost of Living City Ranking 2024’-এ ২২৬টি শহরের উপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয়েছে। আসলে চলতি বছরে সেই শহরগুলিতে ঘরবাড়ি, যাতায়াত, খাবার, জামাকাপড়, গৃহস্থালির সামগ্রী, বিনোদন বাবদ কত খরচ হতে পারে, সেটাই দেখা হয়েছে।Representative Image নিঃসন্দেহেই বলা যেতে পারে যে, প্রবাসীদের জন্য সারা বিশ্বের মধ্যে সবথেকে দামি শহরের তকমা পেয়েছে হংকং। আর টানা পঞ্চম বারের জন্য এই জায়গা ধরে রাখতে পেরেছে এই শহরটি। এর খুব কাছেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এশিয়ার আরও এক অর্থনৈতিক কেন্দ্র। আর সেই শহরটি হল সিঙ্গাপুর। আবার ইউরোপের লন্ডন ও সুইৎজারল্যান্ডের জুরিখের মতো শহর কিংবা নিউ ইয়র্ক সিটি ও লস অ্যাঞ্জেলসের মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শহর এই নিরিখে শীর্ষ দশের তালিকায় রয়েছে। কিন্তু ভারতের প্রধান শহরগুলি কোন স্থানে রয়েছে। ভারতের সবথেকে দামি শহরগুলির মধ্যে রয়েছে বাণিজ্যনগরী মুম্বই। গ্লোবাল র্যাঙ্কিংয়ে গত বছরের তুলনায় তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ১১ ধাপ এগিয়ে ১৩৬-তম স্থান হাসিল করেছে। আর নয়াদিল্লি রয়েছে ১৬৫-তম স্থানে এবং বেঙ্গালুরু রয়েছে ১৯৫-তম স্থানে। আবার গ্লোবাল র্যাঙ্কিংয়ে দুবাইয়েরও অনেক উন্নতি ঘটেছে। এই বছরের তালিকায় ১৫-তম স্থান লাভ করে পশ্চিম এশিয়ার সবথেকে দামি শহর হয়ে উঠেছে দুবাই। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিরিখে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শীর্ষ স্থানে উঠে এসেছে। সারা বিশ্বের নিরিখে এই শহরের র্যাঙ্কিং ৫৮-তম। Mercer-এর গ্লোবাল মোবিলিটি লিডার ইভন ট্রাবার জানিয়েছেন যে, “জীবনযাত্রার উপর ব্যয়ের চ্যালেঞ্জগুলি বহুজাতিক সংস্থা এবং এর কর্মীদের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে।” অন্যদিকে আবার প্রবাসীদের জন্য সবথেকে সাশ্রয়ী শহরগুলি হল ইসলামাবাদ (২২৪-তম স্থান), লাগোস (২২৫-তম স্থান) এবং আবুজা (২২৬-তম স্থান)। তাই দেখে নেওয়া যাক, ২০২৪ সালের নিরিখে প্রবাসীদের জন্য বিশ্বের সবথেকে ব্যয়বহুল ১০টি শহরের তালিকা। ২০২৪ সালে প্রবাসীদের জন্য বিশ্বের সবথেকে ব্যয়বহুল ১০টি শহর:প্রথম স্থান: হংকং (দেশ: হংকং এসএআর) দ্বিতীয় স্থান: সিঙ্গাপুর (দেশ: সিঙ্গাপুর) তৃতীয় স্থান: জুরিখ (দেশ: সুইৎজারল্যান্ড) চতুর্থ স্থান: জেনিভা (দেশ: সুইৎজারল্যান্ড) পঞ্চম স্থান: ব্যাসেল (দেশ: সুইৎজারল্যান্ড) (Photo Courtesy: Switzerland Tourism) ষষ্ঠ স্থান: বার্ন (দেশ: স্যুইৎজারল্যান্ড) সপ্তম স্থান: নিউ ইয়র্ক (দেশ: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) অষ্টম স্থান: লন্ডন (দেশ: ইউনাইটেড কিংডম) নবম স্থান: নাসাউ (দেশ: বাহামাজ) দশম স্থান: লস অ্যাঞ্জেলস (দেশ: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র)
লাইফস্টাইল Most Expensive Food: এই এক কেজি ‘ডিম’ এত দামি! কিনতে গেলে বাড়ি বিক্রি করতে হবে, অবিশ্বাস্য উপকারিতা এই খাবারের Gallery September 7, 2024 Bangla Digital Desk পৃথিবীতে এমন অনেক জিনিস পাওয়া যায়, তাদের দাম জানলে আপনি হতবাক হয়ে যাবেন। আমরা যদি সবচেয়ে দামি খাবারের কথা বলি, তাহলে খুব কম লোকই এর উত্তর দিতে পারে। আপনি জেনে অবাক হবেন, বিশ্বের সবচেয়ে দামি খাবার ফল বা সবজি নয়, বরং একটি বিশেষ ধরনের ডিম, যা এক কেজি কিনতে মানুষের বছরের পর বছর আয় খরচ হয়ে যায়। এই ডিমগুলো সমুদ্রের ভেতর থেকে এবং মাত্র কয়েকটি জায়গাতেই পাওয়া যায়। এ কারণেই তাদের দাম অনেক বেশি। এই বিশেষ ডিম স্বাস্থ্যের জন্যও আশ্চর্যজনক ভাবে উপকারী। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে দামি খাবার হল আলমাস ক্যাভিয়ার। বেশিরভাগ মানুষ মাছের ডিমকে ক্যাভিয়ার বলে মনে করেন, তবে তা নয়। ক্যাভিয়ার হল বিরল প্রজাতির মাছের ডিম্বাশয় থেকে নির্গত ডিম। অনেক ধরনের ক্যাভিয়ার রয়েছে, যার মধ্যে আলমাস ক্যাভিয়ারকে সবচেয়ে ব্যয়বহুল এবং বিরল হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ইরান থেকে আসা অ্যালবিনো স্টার্জন মাছের ডিম্বাশয় থেকে আলমাস ক্যাভিয়ার আহরণ করা হয়। এই মাছের বয়স ৬০ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে। এদের রং কালো, যার কারণে এদেরকে কালো সোনাও বলা হয়। সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, আলমাস ক্যাভিয়ারের দাম কোটি টাকা হতে পারে। আকাশছোঁয়া দাম হওয়ার কারণ, বিরল অ্যালবিনো স্টার্জন মাছ নিলামে কয়েক কোটি টাকায় বিক্রি হয়। এই ক্যাভিয়ারগুলি স্বাস্থ্যের জন্যও খুব উপকারী। ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের প্রতিবেদন অনুসারে, আলমাস ক্যাভিয়ার ভিটামিন বি ১২, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন এবং ক্যালসিয়াম-সহ পুষ্টিতে সমৃদ্ধ। আলমাস ক্যাভিয়ারে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। আলমাস ক্যাভিয়ার মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই উপকারী। আলমাস ক্যাভিয়ারেও রয়েছে উচ্চমানের প্রোটিন, যা শরীরের পেশির জন্য উপকারী হতে পারে। ক্যাভিয়ারে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরকে বিপজ্জনক ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করে এবং বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে ধীর করে দিতে পারে। ক্যাভিয়ারে উপস্থিত পুষ্টি শক্তি বজায় রাখে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে। অনেক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে যে আলমাস ক্যাভিয়ার খাওয়া মানুষের স্মৃতিশক্তিকে তীক্ষ্ণ করতে পারে। এই বিশেষ ডিম ত্বকের উন্নতির জন্য উপকারী বলে বিবেচিত হতে পারে।