কলকাতা: গোটা বিশ্বে সোনা খুবই দামি হিসেবে গণ্য হয়। সোনা শুধুমাত্র গহনার জন্যই ব্যবহৃত হয় না, বরং মুদ্রাস্ফীতি থেকে রক্ষা করার জন্যও এটি একটি ভাল সমাধান হিসেবেও দেখা হয়।
ভারতে সোনা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা সকলেই জানেন। কিন্তু আপনি কি জানেন, সবচেয়ে বেশি সোনা মজুত রয়েছে কোন দেশে! ভারত বা চিনের কাছে কিন্তু বিশ্বের সবচেয়ে বড় সোনার খনি নেই।
আজ আমরা আপনাকে এমন ১০টি দেশের নাম বলব যেখানে সবচেয়ে বেশি সোনার মজুদ রয়েছে। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের তথ্যের ভিত্তিতে এই পরিসংখ্যান।
আরও পড়ুন- জীবন বাঁচিয়ে দেবে! বাইকে এবিএস-এর কাজ কী বলুন তো? খুব কাজের জিনিস
এই তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আমেরিকায় ৮,১৩৩.৪৬ টন সোনা মজুত রয়েছে। এই সোনার মূল্য 543,499.37 মিলিয়ন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় এই পরিমাণ হবে ৪৫ লক্ষ কোটি টাকার বেশি।
জার্মানি
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জার্মানি। সেখানে 3,352.65 টন সোনা মজুত রয়েছে। এই সোনার মোট মূল্য 224,032.81 মিলিয়ন ডলার।
ইতালি
তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইতালি। ইতালিতে 2,451.84 টন সোনা মজুত রয়েছে। ইতালির কাছে থাকা মোট সোনার মূল্য 163,838.19 মিলিয়ন ডলার।
ফ্রান্স
সবচেয়ে বেশি সোনার রিজার্ভের দিক থেকে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ফ্রান্স। ফ্রান্সে 2,436.88 টন সোনা রয়েছে। এই সোনার মূল্য 162,844.72 মিলিয়ন ডলার।
রাশিয়া
রাশিয়া রয়েছে পঞ্চম স্থানে। সেখানে ২,৩৩২.৭৪ টন সোনা রয়েছে। এই সোনার মূল্য 155,880.00 মিলিয়ন ডলার।
চিন
ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে চিন। সেখানে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সোনা উৎপাদিত হয়। তাদের সোনার রিজার্ভ 2,235.39 টন। এই সোনার মূল্য 149,374.61 মিলিয়ন ডলার।
আরও পড়ুন- এক টন নাকি দেড় টন! কোন ঘরে কোন এসি ইনস্টল করবেন? ‘এই’ ভুল করলে খরচ বাড়বে
সুইজারল্যান্ড
সপ্তম স্থানে রয়েছে সুইজারল্যান্ড। সেখানে 1,040.00 টন সোনা রয়েছে। এই সোনার মূল্য 62,543.91 মিলিয়ন ডলার।
জাপান
অষ্টম স্থানে রয়েছে জাপান। এশিয়ার এই দেশে 845.97 টন সোনা রয়েছে। মোট মূল্য 56,530.15 মিলিয়ন ডলার।
ভারত
ভারত রয়েছে নবম স্থানে। ভারতের কাছে 803.58 টন সোনা মজুত রয়েছে। এই সোনার মূল্য 53,697.34 মিলিয়ন ডলার।
নেদারল্যান্ডস
দশম স্থানে রয়েছে নেদারল্যান্ডস। নেদারল্যান্ডের কাছে 612.45 টন সোনার রিজার্ভ রয়েছে। এই সোনার মূল্য 40,925.77 মিলিয়ন ডলার।