এভাবেই শিকলবন্দি করে রাখা হয়েছে কিশোরকে৷

Malda: তটস্থ পাড়া, প্রতিবেশী! মালদহে নিজের ছেলেকেই শিকলবন্দি করে চোখে জল মায়ের

মালদহ: নিজের বাড়িতেই শিকলবন্দি অবস্থায় মালদহের কিশোর। ছেলেকে শিকলবন্দি করে বাড়িতে রেখেছেন খোদ বাবা-মা। কারণ, আংশিক মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের ভয়ে তটস্থ শুধু পরিবার নয়, গোটা পাড়া এমন কি আশপাশের এলাকাও।

পরিবার ও প্রতিবেশীদের দাবি, কখনও শিকল খোলা হলেই, লাঠি, ইঁট, ধারালো অস্ত্র নিয়ে যাকে সামনে পাচ্ছে তাঁর উপরেই  হামলা ও মারধর করছে ওই কিশোর। পরিস্থিতি এতটাই বিপজ্জনক যে কিশোরের চিকিৎসার জন্য সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলর থেকে বিজেপি বিধায়কেরও।

আরও পড়ুন: মানিকতলায় উপনির্বাচনে ফের ভোট চান কল্যাণ! কুণালের কটাক্ষ, ‘হার বুঝেই ছুঁতো খুঁজছেন’

কোন পরিস্থিতির মুখে পড়লে নিজের ছেলেকে শিকলে বন্দি করে রাখতে বাধ্য হয় বাবা-মা? এই প্রশ্ন পুরাতন মালদহের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের মঙ্গলবাড়ির সামুন্ডাই কলোনির বাসিন্দা মাম্পি দেবীর। ছেলে যত বড় হচ্ছে, ততই বাড়ছে অস্বাভাবিক কাজকর্ম। ছেলের হাতে নিজে মার খেয়েছেন, পাড়া প্রতিবেশীদের হাতেও মারধর জুটেছে মায়ের। ছেলের ভয়ে মেয়েকে রাখতে হচ্ছে অন্যের বাড়িতে।  স্বামী পেশায় লরিচালক। আর্থিকভাবে তেমন সচ্ছল নয় পরিবার। তবু সাধ্যমতো চেষ্টা করেছেন ছেলের চিকিৎসার। কিন্তু সুস্থ করা যায়নি।

কার্যত নিরুপায় হয়ে মা বলছেন, যেকোনও দিন বড় কোনও অঘটন ঘটে যেতে পারে। প্রশাসন অথবা সহৃদয় কেউ এই ছেলের চিকিৎসার বন্দোবস্ত করুক। এমনই কাতর অনুরোধ পরিবার থেকে প্রতিবেশীদের।

এলাকার বছর ১৫ কিশোরের অস্বাভাবিক আচরণের কথা পাড়া ছাড়িয়ে আশপাশের এলাকাতেও সকলের জানা। এভাবে ছেলেকে শিকলে বেঁধে রাখাও যেমন অমানবিক, তেমনি ছেড়ে রাখাও সমান বিপজ্জনক।

মানসিকভাবে অসুস্থ এই কিশোরের চিকিৎসার জন্য সরকারিভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করেছেন পুরাতন মালদহের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বিভূতি ঘোষ। প্রায় একই দাবি মালদহ বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক গোপাল সাহার। জনপ্রতিনিধিরাও বলছেন, তাঁরা সমস্যার কথা জানেন। অনেকেই ওই কিশোরের বিষয়ে অভিযোগ জানাতে আসেন। বাড়িতে গিয়ে ওই ছেলেটির কাউন্সিলিংয়ের চেষ্টা করলেও কাজ হয়নি।  সরকারিভাবে মানবিক উদ্যোগ নিয়ে কবে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা হয় এখন তারই প্রতীক্ষায় সবাই।