মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, “আপাতত কবি সুভাষ থেকে ময়দান এবং দক্ষিণেশ্বর থেকে গিরিশ পার্ক পর্যন্ত মেট্রো চলছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই সম্পূর্ণ পরিষেবা চালু করা যাবে বলে আমরা আশা রাখছি।”

Metro: মেট্রোয় এত সমস্যা কেন? তাহলে কি… কলকাতা মেট্রো নিয়ে বড় খবর জানুন

কলকাতা: কলকাতা মেট্রোতে অন্যান্য রেলের যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর অভিজ্ঞতা সম্পন্ন যোগ্য মোটরম্যানদের মেট্রো চালানোর কাজে নিযুক্ত করা হয়।  মেট্রো রেলের প্রয়োজন অনুযায়ী পূর্ব এবং দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ে থেকে মোটরম্যানদের ডেপুটেশনে নেওয়া হয়। বর্তমানে কলকাতা মেট্রোয় ৩১ জন মোটরম্যান ৬ মাস ধরে প্রশিক্ষণরত।

পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনের আরও ১৬ জন মোটরম্যান ট্রেন চালানোর জন্য মেট্রো রেলে আসছেন। এ ছাড়া বিলাসপুর ডিভিশনের ১০ জন মোটরম্যান মেট্রোতে আসতে চলেছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারতীয় রেলে ৮-১০ বছর বিভিন্ন স্তরে কাজ করার পরেই মোটরম্যানরা যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর দায়িত্ব পান। এই পদে নব-নিযুক্তরা লোকো ড্রাইভারের সহযোগী হিসাবে কিছু বছর কাজ করার পর সান্টারের ( যাঁরা ডিপো থেকে খালি রেক স্টেশনে নিয়ে আসেন) পদে উন্নীত হন। এই সান্টার পদে কিছু দিন কাজ করার পর এরা মালগাড়ি চালানোর দায়িত্ব পান। এরপর অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকের অধীনে (শুরুর দিকে) এরা যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর দায়িত্ব পান।

আরও পড়ুনঃ অতি শক্তিশালী সাইক্লোন ‘রিমল’-র এই মুহূর্তে অবস্থান কোথায়? কোন পথে চালাবে তাণ্ডব? কোন কোন জেলায় প্রভাব? লেটেস্ট আপডেট আলিপুরের

ডেপুটেশনে আসা মোটরম্যানদের পাশাপাশি মেট্রো কর্তৃপক্ষও রক্ষণাবেক্ষণের কাজে নিযুক্ত কর্মীদের বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে সান্টার পদে নিযুক্ত করে থাকেন। তার জন্য কাজের অভিজ্ঞতা, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ফল এবং ডাক্তারি ফিট সার্টিফিকেট সব থেকে বেশি গুরুত্ব পায়। মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শ্রী কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, কিছু কিছু  সংবাদপত্রে দাবি করা হয়েছে এই সান্টাররা মেট্রোতে যাত্রীবাহী ট্রেন চালান যা ভিত্তিহীন, অসত্য ও প্ররোচনামূলক।

তিনি আরও বলেছেন যে মেট্রো রেলে সান্টাররা কখনই যাত্রীবাহী ট্রেন চালান না , তারা কেবল খালি রেককে ইয়ার্ড থেকে স্টেশনে নিয়ে আসেন।  এই সান্টার পদে বেশ কিছু বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা অর্জনের পর নির্দিষ্ট কিছু মাপকাঠির ভিত্তিতে এদের মোটরম্যান পদে উন্নীত করা হয়।  আগে অবশ্য এরা ডাক্তারি পরীক্ষায় ফিট কিনা তা দেখে নেওয়া হয় এবং অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকের অধীনে প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়।  এই প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ হলেই তবে এরা যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর দায়িত্ত্ব পান। কৌশিক মিত্র আরও জানিয়েছেন যে শুধু সান্টার পদে অভিজ্ঞতা থাকলেই হয় না ডাক্তারি পরীক্ষাতে তাদের অবশ্যই ফিট হতে হয় তবেই তারা মোটরম্যান পদে উন্নীত হন।

আরও পড়ুনঃ নওয়াজউদ্দিনের সঙ্গে উত্তাল প্রেম! চরম দারিদ্রে ছেড়ে যান এই ‘পঞ্চায়েত’ নায়িকা! অভিনেত্রীকে চিনতে পারছেন?

মেট্রো কর্তৃপক্ষ কিছু সান্টারকে মোটরম্যান পদে উন্নীত করার চিন্তা ভাবনা শুরু করেছেন। কিছু  সান্টারকে ইতিমধ্যেই  নির্বাচিত করা হয়েছে যারা এখন প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা লাভ ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য যাত্রীবাহী ট্রেনের কন্ডাক্টিং মোটরম্যানদের সহায়ক হিসাবে কাজ করছেন। এই অভিজ্ঞতা তাদের আপটিটিউড  টেস্ট উত্তীর্ণ হতে সাহায্য করবে। অরেঞ্জ লাইনের সমস্ত ট্রেন সহ নর্থ-সাউথ মেট্রোর কিছু যাত্রীবাহী ট্রেনের পেছনের কেবিনে এখন একজনের বদলে দুজন কর্মী থাকছেন।

কৌশিক মিত্র আরও জানিয়েছেন বর্তমানে কলকাতা মেট্রোর সিবিটিসি- হীন কোনও সেক্শনে ট্রেন চালানোর জন্য কোনও কন্ডাক্টিং মোটরম্যানকে সরানো হয়নি।  বরং ট্রেনি হিসাবে অতিরিক্ত মেট্রোকর্মী নিযুক্ত করা হয়েছে। অরেঞ্জ লাইনের কবি সুভাষ থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় স্টেশন পর্যন্ত অংশে রক্ষণাবেক্ষণের  কাজে যুক্ত কিছু  মেট্রোকর্মীকে প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা লাভ ও দক্ষতা অর্জনের জন্য কন্ডাক্টিং মোটরম্যানদের সাথে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ফলে সান্টার পদে পদ্দোন্নতির জন্য নেওয়া পরীক্ষায় এরা অনায়াসে উত্তীর্ণ হতে পারবেন। পরবর্তীকালে প্রয়োজন হলে সমস্ত কারিগরী দক্ষতা ও মানসিক সক্ষমতা যাচাই করার পরই এদের যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর কাজে নিযুক্ত করা হতে পারে।

আবীর ঘোষাল