Tag Archives: Kokata Metro Railways
Kolkata Metro: যাত্রীদের জন্য বড় সুখবর! ব্লু লাইনে বাড়ল মেট্রো, কখন পাবেন বাড়তি পরিষেবা? কবে থেকে শুরু? এখনই জানুন
কলকাতা: মেট্রো যাত্রীদের জন্য বড় সুখবর। আরও বাড়ানো হল পরিষেবা। ব্লু লাইনে (নিউ গড়িয়া থেকে দক্ষিণেশ্বর) দুটি বাড়তি মেট্রো চালানো হবে বলেই জানাা গিয়েছে রেল সূত্রে।
সকালের দিকেই দক্ষিনেশ্বর থেকে আরও একটি বাড়তি মেট্রো চলবে। পাশাপাশি, মহানায়ক উত্তম কুমার (টালিগঞ্জ) স্টেশন থেকেও একটি বাড়তি মেট্রো চালানো হবে বলেই জানান হয়েছে, কলকাতা মেট্রো কতৃপক্ষের তরফে জানান হয়েছে। ৫ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হবে এই নয়া পরিষেবা।
রেল সূত্রে খবর, এই বাড়তি পরিষেবা পাওয়া যাবে সোম থেকে শুক্র। সপ্তাহান্তে, শনি ও রবিবার এই পরিষেবা পাওয়া যাবে না। এখন থেকে সোম থেকে শুক্র ২৮৮-এর জায়গায় সপ্তাহ জুড়ে ২৯০ টি ট্রেন চলবে। এর মধ্যে আপ অভিমুখে চলবে ১৪৫ টি মেট্রো। এবং ডাউন অভিমুখে চলবে ১৪৫ টি মেট্রো। এর আগে ১৪৪ টি মেট্রো চলত।
আরও পড়ুন: কাগজের গুদাম থেকে ছড়াল বিধ্বংসী আগুন! ঘরে ঘুমন্ত দাদা-বৌদি, যা করল ভাই…ঘটনাস্থলে দমকলমন্ত্রী
১) মহানায়ক উত্তম কুমার থেকে দক্ষিণেশ্বর: সকাল ৬ টা ৫৫ মিনিট।
২) দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ: সকাল ৭ টা ৫৪ মিনিট।
এই দুটি বাড়তি মেট্রো চলবে বলেই জানা গিয়েছে।
Kolkata Metro:স্বাধীনতা দিবসে কেমন থাকবে কলকাতা মেট্রো-পরিষেবা? সময়সূচিতে বড় বদল জেনে রাখুন
কলকাতা: সামনেই দেশের স্বাধীনতা দিবস৷ ছুটির দিনে কেমন থাকবে মেট্রো পরিষেবা? কলকাতা মেট্রো কতৃপক্ষ থেকে জানা যাচ্ছে, ওই দিন মেট্রো চলবে৷ তবে সংখ্যায় অনেক কম থাকবে৷
মেট্রো কতৃপক্ষ তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ওই দিন দক্ষিণেশ্বর থেকে গড়িয়া স্টেশন অবধি মোট ১৮৮টি মেট্রো চালানো হবে৷ এক-একটি দিকে ৯৪ টি করে মেট্রো চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল৷ সাধারণ দিনে এই রুটে মোট ২৮৮টি মেট্রো চালানো হয়৷
আরও পড়ুন: পাঁচ তলার উপর থেকে নীচে পড়ল গোল্ডেন রেট্রিভার, মৃত ১ শিশু, দেখুন সেই ভয়ঙ্কর ভিডিও
ওই দিন সকাল ৬:৫০এর দিকে গড়িয়া ও দক্ষিণেশ্বর থেকে প্রথম মেট্রো চলাচল শুরু হবে ৷ শেষ মেট্রো চলবে রাত ৯:৪০ মিনিটে৷ তবে সাধারণ দিনের মতো রাত ১০:৪০ মিনিটে রাতের মেট্রোটি সেদিনও চলবে৷
আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় তৈরি তাঁতসামগ্রী ব্যবহারের আহ্বান, তাঁতশিল্প প্রসারে উদ্যোগ মানিক সাহার
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো পরিষেবাও কম থাকবে সেই দিন৷ সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদহ স্টেশন পর্যন্ত ১৫ অগাস্টে ১০৬ টার বদলে ৯০ টা মেট্রো চলাচল করবে৷ হাওড়া ময়দান থেকে-এসপ্ল্যানেডেও কম মেট্রো চলবে৷ এই রুটে ১৩০টার মধ্যে মাত্র ৯০ টা মেট্রো চালানো হবে৷
East-West Metro: গঙ্গার তলাতেও এবার মেট্রোয় নেটওয়ার্ক থাকবে
হাওড়া: গঙ্গার নিচ দিয়ে যাওয়ার সময় এবার আরও ভাল নেটওয়ার্ক পাওয়া যাবে মেট্রোয়। ফলে হাওড়া-এসপ্ল্যানেড মেট্রো রুটে পুরোটাই এবার থেকে যাত্রীরা প্রয়োজনে মোবাইল ফোনে কথা বলতে পারবেন। কারণ গঙ্গার তলা দিয়ে যাওয়ার জন্য যখন টানেলের মধ্যে মেট্রো প্রবেশ করবে তখনও আর নেটওয়ার্কের সমস্যা হবে না।
মাসখানেক আগে হুগলি নদীর নিচে দিয়ে মেট্রো পরিষেবা শুরু হয়েছে। ফলে খুব সহজেই হাওড়া-কলকাতা দুই শহর যুক্ত হয়েছে মেট্রো পরিষেবার মাধ্যমে। অল্প দিনে এই মেট্রো রুট দারুণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যাত্রীদের কাছে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এই মেট্রো রুট ব্যবহার করে গন্তব্যে পৌঁছে যাচ্ছেন। অনেকে আবার গঙ্গার তলদেশ দিয়ে মেট্রো করে যাওয়ার অভিজ্ঞতা লাভের জন্য এই রুটে মেট্রোয় চেপে বসছেন।
আরও পড়ুন: পাট্টা বিলি নিয়ে বিলম্ব, নিশানায় ভূমি সংস্কার দফতর
তবে এই দুর্দান্ত অভিজ্ঞতার মধ্যেই যাত্রীদের একটি অভিযোগ ছিল গোড়া থেকেই। সিঁড়ি বেয়ে ভূগর্ভস্থ মেট্রো স্টেশনে পৌঁছলেই অনেক সময় মোবাইলের নেটওয়ার্ক চলে যায়। বিশেষ করে গঙ্গার নিচে মেট্রো প্রবেশ করলে তখন আর এক ফোঁটাও নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না। এই পরিস্থিতিতে যাত্রীর স্বাচ্ছন্দের দিকে তাকিয়ে মেট্রো কর্তৃপক্ষ নদীর তলদেশ দিয়ে এই ৪.৮ কিমি রুটে নিরবিচ্ছিন্ন মোবাইল পরিষেবা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সূত্রের খবর, এই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই একটি টেলিকম সংস্থা কাজ শুরু করেছে। প্রতিটি স্টেশনেই সেই কাজ চলছে। যার মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ রুটে ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক খুব শীঘ্রই পাওয়া যাবে। খুব তাড়াতাড়ি এই কাজ শেষ হবে বলে খবর।
রাকেশ মাইতি
Metro: মেট্রোয় এত সমস্যা কেন? তাহলে কি… কলকাতা মেট্রো নিয়ে বড় খবর জানুন
কলকাতা: কলকাতা মেট্রোতে অন্যান্য রেলের যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর অভিজ্ঞতা সম্পন্ন যোগ্য মোটরম্যানদের মেট্রো চালানোর কাজে নিযুক্ত করা হয়। মেট্রো রেলের প্রয়োজন অনুযায়ী পূর্ব এবং দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ে থেকে মোটরম্যানদের ডেপুটেশনে নেওয়া হয়। বর্তমানে কলকাতা মেট্রোয় ৩১ জন মোটরম্যান ৬ মাস ধরে প্রশিক্ষণরত।
পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনের আরও ১৬ জন মোটরম্যান ট্রেন চালানোর জন্য মেট্রো রেলে আসছেন। এ ছাড়া বিলাসপুর ডিভিশনের ১০ জন মোটরম্যান মেট্রোতে আসতে চলেছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারতীয় রেলে ৮-১০ বছর বিভিন্ন স্তরে কাজ করার পরেই মোটরম্যানরা যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর দায়িত্ব পান। এই পদে নব-নিযুক্তরা লোকো ড্রাইভারের সহযোগী হিসাবে কিছু বছর কাজ করার পর সান্টারের ( যাঁরা ডিপো থেকে খালি রেক স্টেশনে নিয়ে আসেন) পদে উন্নীত হন। এই সান্টার পদে কিছু দিন কাজ করার পর এরা মালগাড়ি চালানোর দায়িত্ব পান। এরপর অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকের অধীনে (শুরুর দিকে) এরা যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর দায়িত্ব পান।
ডেপুটেশনে আসা মোটরম্যানদের পাশাপাশি মেট্রো কর্তৃপক্ষও রক্ষণাবেক্ষণের কাজে নিযুক্ত কর্মীদের বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে সান্টার পদে নিযুক্ত করে থাকেন। তার জন্য কাজের অভিজ্ঞতা, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ফল এবং ডাক্তারি ফিট সার্টিফিকেট সব থেকে বেশি গুরুত্ব পায়। মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শ্রী কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, কিছু কিছু সংবাদপত্রে দাবি করা হয়েছে এই সান্টাররা মেট্রোতে যাত্রীবাহী ট্রেন চালান যা ভিত্তিহীন, অসত্য ও প্ররোচনামূলক।
তিনি আরও বলেছেন যে মেট্রো রেলে সান্টাররা কখনই যাত্রীবাহী ট্রেন চালান না , তারা কেবল খালি রেককে ইয়ার্ড থেকে স্টেশনে নিয়ে আসেন। এই সান্টার পদে বেশ কিছু বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা অর্জনের পর নির্দিষ্ট কিছু মাপকাঠির ভিত্তিতে এদের মোটরম্যান পদে উন্নীত করা হয়। আগে অবশ্য এরা ডাক্তারি পরীক্ষায় ফিট কিনা তা দেখে নেওয়া হয় এবং অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকের অধীনে প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। এই প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ হলেই তবে এরা যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর দায়িত্ত্ব পান। কৌশিক মিত্র আরও জানিয়েছেন যে শুধু সান্টার পদে অভিজ্ঞতা থাকলেই হয় না ডাক্তারি পরীক্ষাতে তাদের অবশ্যই ফিট হতে হয় তবেই তারা মোটরম্যান পদে উন্নীত হন।
মেট্রো কর্তৃপক্ষ কিছু সান্টারকে মোটরম্যান পদে উন্নীত করার চিন্তা ভাবনা শুরু করেছেন। কিছু সান্টারকে ইতিমধ্যেই নির্বাচিত করা হয়েছে যারা এখন প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা লাভ ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য যাত্রীবাহী ট্রেনের কন্ডাক্টিং মোটরম্যানদের সহায়ক হিসাবে কাজ করছেন। এই অভিজ্ঞতা তাদের আপটিটিউড টেস্ট উত্তীর্ণ হতে সাহায্য করবে। অরেঞ্জ লাইনের সমস্ত ট্রেন সহ নর্থ-সাউথ মেট্রোর কিছু যাত্রীবাহী ট্রেনের পেছনের কেবিনে এখন একজনের বদলে দুজন কর্মী থাকছেন।
কৌশিক মিত্র আরও জানিয়েছেন বর্তমানে কলকাতা মেট্রোর সিবিটিসি- হীন কোনও সেক্শনে ট্রেন চালানোর জন্য কোনও কন্ডাক্টিং মোটরম্যানকে সরানো হয়নি। বরং ট্রেনি হিসাবে অতিরিক্ত মেট্রোকর্মী নিযুক্ত করা হয়েছে। অরেঞ্জ লাইনের কবি সুভাষ থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় স্টেশন পর্যন্ত অংশে রক্ষণাবেক্ষণের কাজে যুক্ত কিছু মেট্রোকর্মীকে প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা লাভ ও দক্ষতা অর্জনের জন্য কন্ডাক্টিং মোটরম্যানদের সাথে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ফলে সান্টার পদে পদ্দোন্নতির জন্য নেওয়া পরীক্ষায় এরা অনায়াসে উত্তীর্ণ হতে পারবেন। পরবর্তীকালে প্রয়োজন হলে সমস্ত কারিগরী দক্ষতা ও মানসিক সক্ষমতা যাচাই করার পরই এদের যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর কাজে নিযুক্ত করা হতে পারে।
আবীর ঘোষাল