বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ আজ অর্থাৎ ৮ এপ্রিল সোমবার এবং এটি পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ হতে চলেছে। আজ মীন ও রেবতী নক্ষত্রে পূর্ণ সূর্যগ্রহণ হতে চলেছে। বিজ্ঞানীদের মতে, ২০১০ সালের পর এটাই হবে দীর্ঘতম সূর্যগ্রহণ। এটিই হবে ২১ শতকের একমাত্র পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ, যা মেক্সিকো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডা এই তিনটি দেশে সম্পূর্ণরূপে দৃশ্যমান হবে।এই গ্রহণ ভারতে দৃশ্যমান হবে না, তাই এই গ্রহনের সূতক সময়ও ভারতে বৈধ হবে না। তবে ভারতে বসবাসকারী লোকেরা নাসার ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে এই জ্যোতির্বিদ্যার ঘটনা উপভোগ করতে পারবে।জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ ৮ এপ্রিল চৈত্র অমাবস্যায় ঘটতে চলেছে। চৈত্র নবরাত্রির ঠিক একদিন আগে এই সূর্যগ্রহণ হবে৷ তবে এটি ভারতে দেখা যাবে না ভারতীয় সময় অনুযায়ী, এটি রাত ৯.১২ টায় শুরু হবে এবং ১.২৫-এ শেষ হবে। এই গ্রহণ অত্যন্ত বিরল বলে মনে করা হচ্ছে।গর্ভবতী মহিলাদের গ্রহণের সময়ে একাধিক বিধিনিষেধ দেওয়া হয়ে থাকে৷ বিশেষত, বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। ধর্মীয় বিশ্বাস মতে তারা বাড়ির বাইরে গেলে একটি শিশুর তালু ফাটা নিয়ে জন্ম হতে পারে। ভাবতে হবে সূর্যগ্রহণের সময় যে সকল শিশু জন্মগ্রহণ করবে তারা কি তালু ফাটা নিয়ে জন্মাবে? এই বক্তব্যের সত্যতা জানতে গবেষণা করা উচিত।জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, গর্ভবতী মহিলার তৃতীয় মাসে পুনসাবন সংস্কার করা হয়। এই মাসটি ভ্রূণের জন্য খুবই স্পর্শকাতর। তাই গ্রহণের সময় একাধিক বিধিনিষেধ দেওয়া হয়ে থাকে৷জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, গর্ভবতী মহিলাদের সূর্যগ্রহণের শুরু থেকে শেষ অবধি ঘরের মধ্যেই থাকা উচিত। এই সময় বাড়ির বাইরে গেলে সূর্যগ্রহণ শিশুর উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।সূর্যগ্রহণের সময় ধারালো বা সূক্ষ্ম বস্তু ব্যবহার করবেন না। এটি বিশ্বাস করা হয় যে গ্রহনকালে ধারালো বা সূক্ষ্ম বস্তুর ব্যবহার ভ্রূণের শারীরিক অক্ষমতা সৃষ্টি করে। যদিও এরও কোনও শাস্ত্রীয় বা বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই, কিন্তু আপনার যদি বিশ্বাসে অন্ধ বিশ্বাস থাকে তাহলে সূর্যগ্রহণের সময় এগুলো ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন।জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, সূর্যগ্রহণ গর্ভবর্তী মহিলাদের দেখা উচিত নয়৷ সূর্যের রশ্মি তাঁদের চোখের উপর প্রভাব ফেলতে পারে৷ গ্রহণের সময় খাবার না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়৷ সূর্যগ্রহণের পরে স্নান করে নেওয়াই ভাল৷আমেরিকা-সহ যে সব দেশে এই সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে সেখানে এই সূর্যগ্রহণকে ঘিরে মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা রয়েছে। দুই দশক পরে বছরের প্রথম বিরল সূর্যগ্রহণে এমনটাই হতে চলেছে৷এই সূর্যগ্রহণ সম্পর্কে চক্ষু বিশেষজ্ঞরাও সতর্ক করেছেন যে, সতর্কতা ছাড়া সূর্যগ্রহণের দিকে তাকালে আজীবন দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হতে পারে।
