‘প্রভু আমার, প্রিয় আমার…’ রবীন্দ্রনাথের প্রতি ‘অভিনব’ শ্রদ্ধা…! ‘মুক্তধারা’য় চাঁদের হাট…

তিনি নিজেই বলেছেন, “শোকে দুঃখে, সুখে আনন্দে, আমার গান না গেয়ে তাদের উপায় নেই।” সত্যি তো। আমাদের প্রতিদিনের যাপনে রবি ঠাকুরকে বাদ দিলে আর আছেই বা কী! আমাদের প্রেমে, বিরহে, হেরে যাওয়ায়, আনন্দে উদযাপনে তিনিই তো ভরসা।

সম্প্রতি অক্সফোর্ড বুকস্টোরে অনুষ্ঠিত হল এক্সেলার বুকসের উদ্যোগে ‘মুক্তধারা ২০২৪’। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এই অনুষ্ঠানের উপজীব্য। এই নিয়ে তৃতীয়বার। প্রধান অতিথি  ছিলেন কবি জয় গোস্বামী। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিচালক অশোক বিশ্বনাথন। এছাড়াও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ মানসী রায়চৌধুরী, কবি সংযুক্তা দাসগুপ্ত, লেখিকা জুলি বন্দ্যোপাধ্য়ায় মেহেতা, লেখক বিনোদ ঘোষাল, অভিনেতা ঋতব্রত মুখোপাধ্য়ায়, সঞ্চালিকা ও অভিনেত্রী চৈতালি দাশগুপ্ত এবং অধ্যাপিকা চন্দ্রাণী বিশ্বাস।

আলোচনা ছিল বহুমুখী। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা, জীবন দর্শন, ব্যক্তিগত জীবন এবং শিক্ষা প্রসারে তাঁর অবদান সবকিছু নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা করেন। উঠে আসে সর্বকালে তাঁর প্রাসঙ্গিকতা।

এই অনুষ্ঠানে এক্সেলার বুকসের তরফ থেকে ১০০ জনেরও বেশি কবির লেখা একটি ইংরেজি কবিতার সংকলন ‘অ্যান অ্যাডভেঞ্চার কলড লাইফ’ প্রকাশ পায়। সম্পাদনা করেন অশোক বিশ্বনাথন এবং স্বরূপা চট্টোপাধ্য়ায়। অশোক বিশ্বনাথন বলেন, “সমসাময়িক প্রতিভাকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং নতুন প্রজন্মের মধ্যে সাহিত্যবোধ গড়ে তোলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ।” বইটি হাতে নিয়ে কবি জয় গোস্বামী বলেন, “একটি উদীয়মান প্রকাশনা সংস্থা নতুন কবিদের যেভাবে উৎসাহ দিচ্ছে তা অভূতপূর্ব!”

এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উপস্থিত বিশিষ্ট মানুষদের ‘টেগোর সম্মান ২০২৪’ প্রদান করে সম্মানিত করা হয়। সঞ্চালক ও অভিনেত্রী চৈতালী দাশগুপ্ত এক্সেলার বুকসকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “বিভিন্ন ক্ষেত্র ও পেশার গুণী ব্যক্তিত্বদের একই মঞ্চে একত্রিত করার প্রচেষ্টা এই সময় দাঁড়িয়ে খুবই  প্রাসঙ্গিক। ” অনুষ্ঠানের একদম শেষে ছিল কবিতা পাঠের আসর।

আমরা যারা আমাদের ভিতরে করুণা, প্রেম, স্বপ্ন, পাওয়া, না পাওয়া বয়ে বেড়াচ্ছি, তাঁদের সবার অন্তরেই হয়তো কবির বাস। তাই তাঁকেই শ্রদ্ধা বারবার।