মাদুর দিয়ে বানানো কাস্টমাইজ জিনিস

West Medinipur News: জলের দরে সস্তা, মাদুর দিয়ে হচ্ছে মাথার টুপি থেকে জুতো, দাম শুনলে চমকে যাবেন

পশ্চিম মেদিনীপুর: মেদিনীপুর জেলার সবং গ্রাম বিখ্যাত মাদুর শিল্পের জন্য। জেলা দেশ কিংবা দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও মাদুর পাড়ি দিয়েছে বহুবার। গ্রামের অধিকাংশই মাদুর শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। তবে বর্তমান সময় উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে মাদুর শিল্পেও নানা পরিবর্তন এনেছেন শিল্পীরা। ট্রাডিশনাল ম্যাট বানানোর পাশাপাশি মাদুর দিয়ে কাস্টমাইজ হচ্ছে ফাইল কভার, মানিব্যাগ, মহিলাদের ব্যবহৃত ব্যাগ, জুতো-সহ নানান ব্যবহার্য জিনিস। সাধারণ মাদুরের থেকে এই সমস্ত মাদুর থেকে প্রস্তুত নানা জিনিস বাজারেও বেশ ভাল দামে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবহার্য এই সমস্ত জিনিসেরও চাহিদা রয়েছে ভালই।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং ব্লকে সারতা এলাকায় ঘরে ঘরেই মাদুর কাঠি দিয়ে মাদুর বোনা হয়। বেশিরভাগ ঘরেই হয় মসলন্দ মাদুর বোনার কাজ। এবার সেই মসলন্দ মাদুর থেকে তৈরি হচ্ছে একাধিক ব্যবহার্য জিনিস। মাদুরকাঠি দিয়ে তৈরি হচ্ছে মানি পার্স, ফাইল কভার, ব্যাগ, ক্যালেন্ডার, ঘড়ি, টিফিন বক্স কভার-সহ নানান জিনিস। স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি মেলা কলকাতা এমনকি পাইকারি দরেও বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও অনলাইন মাধ্যমে বিক্রি করছেন এই সকল হাতে বানানো মাদুরকাঠির নানা জিনিস।

আরও পড়ুন-    বলুন তো, পৃথিবীর কোন দেশে Jeans পরা নিষেধ? ৯০% মানুষই জানেন না সঠিক উত্তর, নাম শুনলে চমকে যাবেন গ্যারান্টি!

সবং-এর সারতা গ্রামের বাসিন্দা মাদুর শিল্পী অশোক জানা এই মাদুরকাঠি দিয়ে নানান কাস্টমাইজ জিনিস তৈরি করছেন। শুধু তাই নয় তার সঙ্গে কাজ করছেন গ্রামের বহু মানুষ। মাদুর থেকে তৈরি এই সমস্ত জিনিস বাজারে বিক্রি হচ্ছে সামান্য দামে। স্বাভাবিকভাবে মানুষের চাহিদার কথা মাথায় রেখে ব্যাগ থেকে জুতো সবই প্রস্তুত করছেন মাদুর শিল্পীরা।

আরও পড়ুন-    গরমে গোলাপ গাছ শুকিয়ে কাঠ হচ্ছে? এই ৬ জিনিস ‘ধন্বন্তরি’! গোড়ায় দিলেই থোকা থোকা ফুলে ভরবে গাছ, গ্যারান্টি!

ইতিমধ্যে বিভিন্ন সরকারি মেলা, বিভিন্ন দোকান এবং অনলাইন মাধ্যমে বিক্রি হচ্ছে এই সমস্ত জিনিসগুলো। স্বাভাবিকভাবে ট্র্যাডিশনাল ম্যাটের পরিবর্তে মাদুর থেকে নানান কাস্টমাইজ জিনিস বানিয়ে একদিকে যেমন লাভ জুটছে তেমনি বিভিন্ন সৌখিন জিনিসের সঙ্গে বেঁচে আছে মাদুর শিল্প।

রঞ্জন চন্দ