Mumbai Murder: শরীরে ট্যাটু করে লেখা শত্রুদের নাম! সেখান থেকেই মিলল ক্লু, মুম্বই মার্ডারের রোমহর্ষক কাহিনি শুনলে থ্রিলার ফেল

মুম্বই: আমির খানের ‘গজনি’ সিনেমাটার কথা মনে আছে? শর্ট টার্ম মেমরি লসের শিকার হওয়ায় নিজের গায়েই ‘টার্গেট’দের নাম ট্যাটু করে রেখেছিল আমির খানের চরিত্র সঞ্জয়৷ বাস্তবেও দেখা মিলল সেই রকমই এক ‘সঞ্জয় সিঙ্ঘানিয়ার’৷ তবে, এখানে গল্পটা একটু অন্যরকম৷ চলতি সপ্তাহেই গত মঙ্গলবার মুম্বইয়ের ওরলির একটি স্পা সেন্টার থেকে উদ্ধার হয় এক ব্যক্তির রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত দেহ৷ দেখা যায়, আততায়ীরা নতুন কাঁচির একটা ব্লেড দিয়ে নিহতের নলি কেটে দিয়েছে, অন্য ব্লেড বসিয়েছে পেটে৷ জানা যায়, মৃত ব্যক্তির নাম গুরু ওয়াঘমেয়ার৷

এই গুরু ওয়াঘমেয়ার একজন স্বঘোষিত তথ্যের অধিকার আন্দোলনকারী ছিলেন৷ তবে তাঁর বিরুদ্ধে তোলাবাজি সহ একাধিক অপরাধমূলক মামলা রুজু ছিল৷ এই গুরুর ময়নাতদন্তের সময় আততায়ীরা দেখতে পান, তাঁর পায়ের উপরের দিকে তিনি ২২ জনের নাম ট্যাটু করিয়ে রেখেছেন৷

আরও পড়ুন: ‘আমার ছেলে মরে গেছে,’ হঠাৎ কেন এমন কথা বললেন এলন মাস্ক! কোটিপতিরও মুখেও হতাশার কথা?

এখন কারা এই ২২ জন? গুরু লিখে রেখেছেন, এই ২২ জনই কোনও না কোনও ভাবে তাঁর ক্ষতি করতে পারে৷ এ বিষয়ে তিনি নিশ্চিত৷ খুন হয়ে যাওয়া সেই গুরুর শরীরের ট্যাটুতে লেখা নাম দেখেই তদন্তকারীরা গ্রেফতার করতে শুরু করলেন তাঁর খুনে জড়িত একের পর এক অপরাধীকে৷

৪৮ বছরের গুরুর খুনে গ্রেফতার করা হয়েছে স্পায়ের মালিক সন্তোষ শেরেকারকে৷ তার নাম গুরুর শরীরে লেখা ছিল৷ গ্রেফতার হয়েছে আরেক স্পায়ের মালিকমহম্মদ ফিরোজ আনসারি৷

জানা গিয়েছে, গুরুর তোলাবাজিতে বীতশ্রদ্ধ হয়ে আনসারিকে নাকি গুরুকে খুনের জন্য ৬ লাখ টাকার সুপারি দিয়েছিলেন সন্তোষ৷ অন্যদিকে, এই আনসারির বেআইনি স্পা বন্ধ করানোর পিছনেও নাকি ছিল গুরুরই হাত৷ সব মিলিয়ে শত্রুর শত্রু মিত্র হয়ে খুন করা হয়েছে গুরুকে৷

আরও পড়ুন: পিজি-তে ঢুকে গলার নলি কেটে খুন…চিৎকার করছিলেন তরুণী! সিসিটিভি ফুটেজে পৈশাচিক দৃশ্য

ফিরোজ ও তার সহযোগী সাকিব আনসারি সাত হাজার টাকা মূল্যের একটি কাঁচি কেনে৷ তার পর প্রায় তিনমাস গুরুর গতিবিধি রেকি করার পরে গত মঙ্গলবার নামে অপারেশনে৷ ওই দিন ছিল গুরুর জন্মদিন৷ সেদিন গুরু তার ২১ বছরের গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে সন্তোষেরই স্পাতেরাত কাটাতে গিয়েছিল৷ সিসিটিভি ফুটেজ বলছে, ওই দিন রাত দেড়টা নাগাদ ওই স্পায়ে ঢোকে ফিরোজ আর সাকিব৷ তারপর, গুরুর গার্লফ্রেন্ডকে অন্য ঘরে পাঠিয়ে খুন করে গুরুকে৷