আটক এসএইউভি চালকের স্ত্রী সীমা

IAS Aspirants death: “আমার স্বামী নির্দোষ”- দিল্লির কোচিং সেন্টারের ঘটনায় কেন এমন বললেন আটক গাড়ি চালকের স্ত্রী?

নয়াদিল্লি: দিল্লির বন্যায় তিন ইউপিএসএসি পরীক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই তোলপাড় গোটা দেশ। ইতিমধ্যেই মোট ৫ জনকে আটক করেছে দিল্লি পুলিশ। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন এক এসইউভি চালকও। জোরে গাড়ি চালিয়ে ওই এলাকার গেট ভেঙে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। তাঁর গাড়িটিও বাজেয়াপ্ত করেছে দিল্লি পুলিশ। পেশায় ব্যবসায়ী মনোজ কাঠুরিয়া নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হওয়ার পরেই তা নিয়ে মুখ খুলেছেন তাঁর স্ত্রী। তাঁর স্বামী কোনও ভুল করেননি বলে দাবি করেছেন মনোজের স্ত্রী সীমা।

এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সীমা জানান, গাড়িটি মন্থর গতিতে চলছিল। তিনি বলেন, “পরিস্কার দেখা যাচ্ছে ব্রেকের আলো জ্বলছিল মানে গাড়ির গতি বেশি ছিল না। যেখানে জল গাড়ির বনেট ছুঁইছুঁই ইচ্ছাকৃত ভাবে কেউই ওই পরিস্থিতিতে গাড়ি নিয়ে যেতে চাইবে না। কিন্তু ওই সময়ে পিছনে যাওয়ারও উপায় ছিল না। তাই তিনি সামনে এগিয়ে গেছেন। কিন্তু যেখানে জল গাড়ির বনেট ছুঁয়ে গেছে সেখানে সামনে এগিয়ে জলমগ্ন এলাকা পার হওয়ায় ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না। যে কেউ তাই করত। মনোজ ঠিক সেই কাজই করেছে। গাড়ি অত্যন্ত ধীর গতিতেই চলছিল তা ভিডিওতেই স্পষ্ট।”

বিচারব্যবস্থার প্রতি তাঁর সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে বলেও জানান সীমা। তিনি বলেন, “গাড়ি প্রথম গিয়ারেই চলছিল। আমার স্বামী ভুল কিছুই করেননি। আমার বিচার ব্যবস্থার উপর সম্পূর্ণ আস্থা আছে। কিছুদিনের মধ্যেই মনোজ বেরিয়ে আসবেন।”

আরও পড়ুন: হাওড়া-মুম্বইয়ের ট্রেন দুর্ঘটনায় নদিয়ার মা ও ছেলে!যা হল তাঁদের…তিনি

সংবাদসংস্থা পিটিআইকে আরও জানান, “আমার স্বামী নির্দোষ। তাঁকে নির্দোষ প্রমাণিত করবার জন্য আমরা যতদূর সম্ভব যাব। বিচারব্যবস্থার উপর আমার পূর্ণ আস্থা আছে। সঠিক বিচার হবেই।”
ওই কোচিং সেন্টারের গেট ভাঙার প্রসঙ্গে সংবাদসংস্থা পিটিআইকে সীমা আরও বলেন, “ওই এলাকায় খুব ঘন ঘন জল জমে। ওই জমা জল বারংবার দরজায় ধাক্কা মারার ফলে দরজা ভেঙেই গিয়েছিল। আমার স্বামীর গাড়ির যাওয়ার সময়ে জলের স্রোতে তা ভেঙে যায়। কিন্তু সেই সময়ে তিনি থেমে গেলে ওই জলমগ্ন স্থানে গাড়ি একদম আটকে যেত। আর কোন বাড়ির পাশ দিয়ে তিনি যাচ্ছিলেন তাও তিনি জানতেন না।
তিনি যতটা পারছিলেন রাস্তার মধ্য দিয়ে গাড়ি চালানোর চেষ্টা করছিলেন যাতে কারুর সঙ্গে ধাক্কা না লেগে যায়। আমরা ওই প্রতিষ্ঠানে কোনওদিনও যাইও নি। নামও শুনিনি।”
প্রসঙ্গত, গত শনিবার দিল্লির পুরাতন রাজেন্দ্র নগর এলাকায় রাউ’স কোচিং সেন্টার নামে এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেসমেন্টে আটকে পড়েন তিন ইউপিএসসি পরীক্ষার্থী। ভারী বর্ষণে জেরবার দিল্লি শহরে মুহূর্তেই জল ভরে যায় ওই বেসমেন্টে। বেরোনোর কোনও রাস্তা না পেয়ে সলিল সমাধি হয় তিন মেধাবি পড়ুয়ার। এরপরেই তৎপর হয় দিল্লি পুরসভা এবং দিল্লি পুলিশ। আটক করা হয় মোট পাঁচ জনকে। অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে বুলডোজার নিয়ে নামে দিল্লি পুরসভা। আটক করা হয় এক এসএইউভি গাড়ি চালককে। এরপরেই তা নিয়ে মুখ খোলেন আটকের স্ত্রী।