: কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে ডাক্তারের ধর্ষণ-খুন মামলার প্রধান অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের নারকো টেস্টের দাবি জানিয়েছে সিবিআই। কিন্তু মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় এ ব্যাপারে সম্মতি দেননি। অনুগ্রহ করে মনে রাখবেন অভিযুক্তের সম্মতি ছাড়া এই পরীক্ষা করা যাবে না। পলিগ্রাফ এবং নারকো টেস্টের মধ্যে পার্থক্য কি জানেন? আজ আপনাদের জানাবো পলিগ্রাফ ও নারকো টেস্ট সম্পর্কে।

Sanjay Roy: শরীরে প্রবেশ করানো হবে সোডিয়াম পেন্টোথাল যার পর শুধুই নাকি সত্যি বলে মানুষ, কেন না বলল সঞ্জয় রাই

: কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে ডাক্তারের ধর্ষণ-খুন মামলার প্রধান অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের নারকো টেস্টের দাবি জানিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রাই এ ব্যাপারে সম্মতি দেননি। অভিযুক্তের সম্মতি ছাড়া পলিগ্রাফ বা নারকো এই পরীক্ষা করা যাবে না। পলিগ্রাফ এবং নারকো টেস্টের মধ্যে পার্থক্য কি জানেন? জেনে নিন পলিগ্রাফ ও নারকো টেস্ট সম্পর্কে।
: কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে ডাক্তারের ধর্ষণ-খুন মামলার প্রধান অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের নারকো টেস্টের দাবি জানিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রাই এ ব্যাপারে সম্মতি দেননি। অভিযুক্তের সম্মতি ছাড়া পলিগ্রাফ বা নারকো এই পরীক্ষা করা যাবে না। পলিগ্রাফ এবং নারকো টেস্টের মধ্যে পার্থক্য কি জানেন? জেনে নিন পলিগ্রাফ ও নারকো টেস্ট সম্পর্কে।
কলকাতার আরজি করে ডাক্তার খুন- ধর্ষণ মামলার প্রধান অভিযুক্ত সঞ্জয় রাই নারকো টেস্ট করাতে রাজি নন। উল্লেখ্য, অভিযুক্তের আগেই পলিগ্রাফ টেস্ট করানো হয়েছিল। অভিযুক্তের নারকো টেস্টের জন্য সিবিআই কলকাতার একটি আদালতে আবেদন করেছিল, যা আদালত খারিজ করে দিয়েছে। এই আবেদনে সঞ্জয় রায়ের নারকো টেস্ট করার দাবি জানানো হয়। উল্লেখ্য, এর আগে ২৫ অগাস্ট সঞ্জয় রাইয়ের পলিগ্রাফ পরীক্ষা হয়।
কলকাতার আরজি করে ডাক্তার খুন- ধর্ষণ মামলার প্রধান অভিযুক্ত সঞ্জয় রাই নারকো টেস্ট করাতে রাজি নন। উল্লেখ্য, অভিযুক্তের আগেই পলিগ্রাফ টেস্ট করানো হয়েছিল। অভিযুক্তের নারকো টেস্টের জন্য সিবিআই কলকাতার একটি আদালতে আবেদন করেছিল, যা আদালত খারিজ করে দিয়েছে। এই আবেদনে সঞ্জয় রায়ের নারকো টেস্ট করার দাবি জানানো হয়। উল্লেখ্য, এর আগে ২৫ অগাস্ট সঞ্জয় রাইয়ের পলিগ্রাফ পরীক্ষা হয়।
 প্রশ্ন হল পলিগ্রাফি টেস্ট কি? এই প্রক্রিয়ায়, একজন ব্যক্তিকে যখন  পরীক্ষায় বসানো হয়,  সময়, রক্তচাপ, নাড়ি, শ্বাস-প্রশ্বাস এবং ত্বকের মতো একাধিক শারীরিক প্রতিক্রিয়া পরিমাপ এবং রেকর্ড করা হয়। মিথ্যা বলার প্রতি একজন ব্যক্তির শারীরবৃত্তীয় প্রতিক্রিয়া রেকর্ড করা প্রতিক্রিয়া থেকে ভিন্ন বলে মনে করা হয়।
পলিগ্রাফ পরীক্ষা
প্রশ্ন হল পলিগ্রাফি টেস্ট কি? এই প্রক্রিয়ায়, একজন ব্যক্তিকে যখন  পরীক্ষায় বসানো হয়,  সময়, রক্তচাপ, নাড়ি, শ্বাস-প্রশ্বাস এবং ত্বকের মতো একাধিক শারীরিক প্রতিক্রিয়া পরিমাপ এবং রেকর্ড করা হয়। মিথ্যা বলার প্রতি একজন ব্যক্তির শারীরবৃত্তীয় প্রতিক্রিয়া রেকর্ড করা প্রতিক্রিয়া থেকে ভিন্ন বলে মনে করা হয়।
প্রতিটি প্রতিক্রিয়াকে একটি সংখ্যাসূচক মান দেওয়া হয়, যা একজন ব্যক্তি সত্য বলছে নাকি মিথ্যা বলছে সে সম্পর্কে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে সাহায্য করে। তবে এই সাক্ষী আদালতে বৈধ নয়। তবে এটি তদন্তকারী সংস্থার তদন্তে দিকনির্দেশ করতে সাহায্য করে।
প্রতিটি প্রতিক্রিয়াকে একটি সংখ্যাসূচক মান দেওয়া হয়, যা একজন ব্যক্তি সত্য বলছে নাকি মিথ্যা বলছে সে সম্পর্কে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে সাহায্য করে। তবে এই সাক্ষী আদালতে বৈধ নয়। তবে এটি তদন্তকারী সংস্থার তদন্তে দিকনির্দেশ করতে সাহায্য করে।
নারকো বিশ্লেষণ পরীক্ষাএই পরীক্ষায়, সোডিয়াম পেন্টোথাল, যা 'ট্রুথ সিরাম' নামেও পরিচিত, একটি সম্মোহনী অবস্থা প্ররোচিত করতে এবং কল্পনা নিষ্ক্রিয় করার জন্য ব্যক্তির মধ্যে ইনজেকশন দেওয়া হয়। তথ্য অনুযায়ী, এটি করার মাধ্যমে ব্যক্তি মনের অচেতন অবস্থায় সত্য কথা বলেন। এই ওষুধটি অস্ত্রোপচারের সময় অ্যানেস্থেশিয়া হিসাবে উচ্চ মাত্রায় ব্যবহার করা হয়।
নারকো বিশ্লেষণ পরীক্ষাএই পরীক্ষায়, সোডিয়াম পেন্টোথাল, যা ‘ট্রুথ সিরাম’ নামেও পরিচিত, একটি সম্মোহনী অবস্থা প্ররোচিত করতে এবং কল্পনা নিষ্ক্রিয় করার জন্য ব্যক্তির মধ্যে ইনজেকশন দেওয়া হয়। তথ্য অনুযায়ী, এটি করার মাধ্যমে ব্যক্তি মনের অচেতন অবস্থায় সত্য কথা বলেন। এই ওষুধটি অস্ত্রোপচারের সময় অ্যানেস্থেশিয়া হিসাবে উচ্চ মাত্রায় ব্যবহার করা হয়।
কিছু প্রতিবেদনে বলা হয়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তথ্য পেতে নারকো অ্যানালাইসিস টেস্ট ব্যবহার করা হয়েছিল। পরীক্ষাটি একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয় এবং তাকে ঘটনা সম্পর্কিত প্রশ্ন করা হয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে অভিযুক্ত মিথ্যা বলে না কারণ সে সম্মোহিত অবস্থায় আছে।
কিছু প্রতিবেদনে বলা হয়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তথ্য পেতে নারকো অ্যানালাইসিস টেস্ট ব্যবহার করা হয়েছিল। পরীক্ষাটি একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয় এবং তাকে ঘটনা সম্পর্কিত প্রশ্ন করা হয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে অভিযুক্ত মিথ্যা বলে না কারণ সে সম্মোহিত অবস্থায় আছে।