উত্তর ২৪ পরগনা : আজ প্রতিবেশীর সঙ্গে সময় কাটানোর দিন। একা একা কখনই বসবাস সম্ভব নয়, মানুষ সমাজবাদ্ধজীব। সেজন্য বন্ধুর মতো প্রতিবেশী চাই। কিন্তু, চাইলেই নিজের মনের মতো প্রতিবেশী বানানো যায় না বা বদলে নেওয়া যায় না। সেজন্য বলা যেতে পারে ভাল প্রতিবেশী পাওয়া নিঃসন্দেহে আশীর্বাদ। আর এমন প্রতিবেশী হয়ে উঠা আরও বেশি সুন্দর। যদিও এটির আধুনিক সমাজে বড় অভাব।
গ্রামীণ সমাজে এখনও অবশ্য পড়শির সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ হলেও শহুরে জীবন কাঠামোতে মুখোমুখি ফ্ল্যাটে বছরের পর বছরও অনেক সময় কথাবার্তা হয় না। আত্মিক যোগাযোগ তো দূর, সামান্য পরিচয়টুকু হয়ে ওঠে না। কিন্তু এমন দিনও আছে যেখানে প্রতিবেশীর সঙ্গে সুন্দর দিন কাটানোর একটি দিনকে দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
আরও পড়ুন: রায়দিঘির পুজোতে বিরাট চমক! না গেলেই চরম মিস করবেন…
মূলত ২৮শে সেপ্টেম্বর, দিনটিকে ‘উত্তম প্রতিবেশী দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। ভাল একজন প্রতিবেশী যদি বন্ধুসুলভ হয় তাহলে একদিকে যেমন পরস্পরের প্রতি সহযোগিতা পরায়ণ, পরোপকারী হয়ে ওঠে তেমনি শ্রদ্ধাশীল ও শান্তিপ্রিয় হয়ে থাকেন। পড়শির নির্বিঘ্ন জীবন বিঘ্নিত হতে পারে, এমন কিছু তিনি করেন না। অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিবেশীর প্রতি সহানুভূতিশীল থাকেন। নিজের ঘরে ভাল কিছু রান্না হলে প্রতিবেশীর ঘরে পৌঁছে দেন। বিভিন্ন আয়োজনে-উৎসবে পাড়া পড়শিরাই পেয়ে থাকেন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
আরও পড়ুন: কী কাণ্ড! ওঠার নামই নেই! দেওরের দোকানের সামনে খোলা রাস্তায় লাগাতার ধরনা বৌদির
রোগ, মৃত্যু কিংবা যেকোনো সঙ্কটে-বিপদে সবার আগে এগিয়ে আসেন। একজন ভালো প্রতিবেশী অবশ্যই একজন বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য বন্ধু। ২৮ সেপ্টেম্বর, উত্তম প্রতিবেশী দিবস। এই দিনটি ১৯৭০-এর দশক থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পালিত হয়ে আসছে।
জুলফিকার মোল্লা