ব্যবসা করতে চান অনেকেই। কিন্তু পুঁজির অভাবে পিছিয়ে যান। তাঁদের জন্য মাশরুম চাষ আদর্শ। খুব অল্প সময়েই মোটা টাকা আয় হবে। এর জন্য জমিরর প্রয়োজন নেই। শুধু একটা ঘর থাকলেই হবে। পুঁজিও লাগবে নামমাত্র।ভারতে প্রতি বছর ১.৪৪ লক্ষ মেট্রিক টন মাশরুম উৎপাদন হয়। এর চাহিদা প্রতিদিন বাড়ছে। চাহিদা মেটাতে ভবিষ্যতে আরও মাশরুমের প্রয়োজন পড়বে। তাই এই ব্যবসায় লাভের সম্ভাবনা প্রচুর। ছোট ঘর না থাকলে বাঁশের ঘর তৈরি করেও মাশরুমের ব্যবসা শুরু করা যায়।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতি বর্গমিটারে ১০ কেজি মাশরুম হয়। কমপক্ষে ৪০x৩০ ফুট জায়গায় ৩ ফুট চওড়া র্যাক তৈরি করে শুরু করা যায় মাশরুম চাষ। শুধু খেয়াল রাখতে হবে, ঘরে যেন সূর্যের আলো না ঢোকে। চাষের জন্য আদর্শ তাপমাত্রা হল ১৫ থেকে ২২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড।বীজ রোপণের ৪৫ দিনের মধ্যে মাশরুম তৈরি হয়ে যায়। মাটিতে দেওয়া হয় গম, ছোলা, সোয়াবিন এবং অন্যান্য শস্যের ভুষি। এগুলো মিশিয়ে কম্পোস্ট তৈরি করতে হয়। ৬ থেকে ৮ ইঞ্চি পুরু স্তরের কম্পোস্টে বপণ করা হয় বীজ।খুব সাবধানে মাশরুম চাষ করতে হয়। যত্ন নিতে হয় বীজের। চাষের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল তাপমাত্রা। ১৫ থেকে ২২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডি আদর্শ, এর কম বা বেশি হলে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি আর্দ্রতাও বজায় রাখতে হয়। চাষের জন্য ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ আর্দ্রতার প্রয়োজন।মাশরুম চাষের প্রাথমিক খরচ ৫০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এক কেজি মাশরুম চাষ করতে পড়ে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। তবে লাভ আছে প্রচুর। ভাল মানের মাশরুম কেজি প্রতি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়। ফলে এই ব্যবসা থেকে দশ গুণ পর্যন্ত লাভ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে মাশরুম চাষের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। বড় পরিসরেচাষের পরিকল্পনা করলে প্রশিক্ষণ নেওয়া উচিত। এতে মাশরুম চাষ থেকে বিক্রি, সবকিছুই শেখানো হয়।
