নতুন জীবন দান পেল আর্জেন্টিনা! স্বপ্ন অনেক দূর দেখছি, কথা দিলেন মেসি

#দোহা: হেরে বিদায় নিতে হবে না তো বিশ্বকাপ থেকে? মেক্সিকোর বিরুদ্ধে খেলা শুরু হওয়ার কয়েক ঘন্টা আগে থেকে এমন সম্ভাবনা কিন্তু ছিল প্রবলভাবে। বিশেষ করে সৌদি আরবের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে আর্জেন্টিনার জঘন্য পারফরমেন্স সমর্থকদের ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু চ্যাম্পিয়নরা জানেন কিভাবে ফিরে আসতে হয়।

আর্জেন্টিনার জার্সিতে আগে বহুবার ব্যর্থ হয়েছেন মেসি। ২৮ বছর পর কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন হলেও তার আগে দুবার হেরেছেন চিলির কাছে ফাইনালে। ২০১৪ সালে বিশ্বকাপ ফাইনালে জার্মানির কাছে হার। তাই আশঙ্কা একটা ছিলই মনের মধ্যে। কিন্তু দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া দলটা মেক্সিকোর বিরুদ্ধে প্রথমার্ধে দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছে এমন নয়।

আরও পড়ুন – ফিনিক্স পাখির মতো কামব্যাক আর্জেন্টিনার, মেসি এবং এনজোর গোলে পরাজিত মেক্সিকো

বরং বেশ লড়াই দিচ্ছিল মেক্সিকানরা। একটা দুটো হাফ চান্স ছাড়া কিছু করতে পারেনি আর্জেন্টিনা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে খেলার স্টাইল পরিবর্তন করে জায়গা বদল করতেই মেক্সিকো দিশা হারিয়ে ফেলে। ৬৪ মিনিটে মেসির দুর্দান্ত গোল বিশ্বাস দিল আর্জেন্টিনা শিবিরকে। গোল পেয়ে যাওয়ার পর আর্জেন্টিনাকে আর আটকাতে পারিনি মেক্সিকো।

এরপর কয়েকটা পরিবর্তন করে আর্জেন্টিনার খেলার গতি বাড়িয়ে দেন কোচ স্কালোনি। ৮৭ মিনিটে সেই পরিবর্তনের ফলেই দ্বিতীয় গোল পেয়ে যায় নীল সাদা। এনজোর গোলটা মেসির থেকেও বেশি দর্শনীয়। অবশেষে লিওনেল মেসি জানিয়েছেন, প্রথমার্ধে মেক্সিকোর স্টাইল বুঝে নিতে চেয়েছিলেন তারা। আত্মবিশ্বাস ছিল দ্বিতীয়ার্ধে গোল পেয়ে যাবে দল। সেটাই হয়েছে।

তবে এদিন আর্জেন্টিনা ডিফেন্স অসাধারণ পারফর্ম করেছে। মেসি জানিয়েছেন ফুটবল জীবনের মত। ঈশ্বর আরও একটা সুযোগ দিয়েছেন। বিশ্বকাপে তারা টিকে রয়েছে। এখন লক্ষ্য নিজেদের মনোযোগ ধরে রেখে গ্রুপের শেষ ম্যাচ পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে ও ৩ পয়েন্ট পাওয়া। তাহলেই শেষ ১৬ নিশ্চিত হয়ে যাবে।

পাশাপাশি নিজের স্ত্রী এবং ছেলেদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন লিও। সৌদি ম্যাচের পর তাকে মানসিকভাবে চাঙ্গা করার জন্য পরিবারের অবদান উল্লেখ করেছেন মেসি। মেক্সিকোর বিরুদ্ধে গ্যালারিতে ছিলেন মেসির স্ত্রী এবং তিন ছেলে। বিশেষ করে দলের জুনিয়র ফুটবলারা যে তাগিদ দেখিয়েছেন তাতে মুগ্ধ আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। জানিয়ে দিয়েছেন স্বপ্ন অনেক দূর, কিন্তু একটা করে ম্যাচ ধরে এগোতে চান।