নয়াদিল্লি: ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে রাহুল গান্ধি অমেঠি থেকে দাঁড়াবেন কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়। রায়বরেলী আসন থেকে প্রিয়ঙ্কার প্রার্থী হওয়া নিয়েও মনস্থির করতে পারেনি কংগ্রেস। এই নিয়ে কটাক্ষ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বললেন, “পৈতৃক আসন থেকে লড়াই করার মতো আত্মবিশ্বাসও ওঁদের নেই।”
লোকসভা নির্বাচনের দুই দফার ভোট হয়ে গেলেও অমেঠি এবং রায়বরেলীতে এখনও প্রার্থী ঘোষণা করেনি কংগ্রেস। এই দুই আসনে রাহুল এবং প্রিয়ঙ্কা দাঁড়াবেন কি না, তা নিয়ে জোর জল্পনা চলছে রাজনৈতিক মহলে। সেই প্রসঙ্গেই নেটওয়ার্ক 18-এর গ্রুপ সম্পাদক রাহুল জোশীকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকার এ কথা বলেন অমিত শাহ।
সাক্ষাৎকারে শাহ এ-ও বলেন যে ভাইবোনের পরিবর্তে কোনও দলীয় কর্মীকে ওই দুটো আসন ছেড়ে দেওয়া উচিত কংগ্রেসের। তাঁর কথায়, “এঁরা আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছে। এমনকী, পৈতৃক আসন থেকে লড়াই করার মতো মনের জোরও ওঁদের নেই। ওঁরা যদি লড়তেই না চায়, তাহলে এতদিন আসন দুটো নিয়ে সিদ্ধান্ত ঝুলিয়ে রেখেছে কেন? যদি কোনও কংগ্রেস কর্মীকে দিত, তিনি অন্তত সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছতে পারতেন। এই বিভ্রান্তি থেকে বোঝা যায়, আত্মবিশ্বাসের অভাব রয়েছে।”
দিল্লির কুর্সি উত্তরপ্রদেশ হয়ে যায়। জাতীয় রাজনীতিতে এটা প্রাচীন প্রবাদের মতো। সেই উত্তরপ্রদেশে কটা আসনে জিতবে বিজেপি? অমিত শাহ জানাচ্ছেন, ‘যদি সবকিছু ঠিকঠাক চলে’ ৮০ আসনেই জিতবে বিজেপি। তাঁর কথায়, “উত্তরপ্রদেশে আসন বৃদ্ধির অর্থ… সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বিজেপি ৮০টার মধ্যে ৮০টাই জিতবে। আমি এ-ও বলছি, ৮০টার মধ্যে ৮০টি আসন জেতার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আসন যে বাড়বে সেটা নিশ্চিত।”
এর আগে নেটওয়ার্ক 18-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে উত্তরপ্রদেশের বিরোধীদের কটাক্ষ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে গোটা পরিবারকে মাঠে নামানোর জন্য সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবের সমালোচনা করেছিলেন তিনি।
বলে রাখা ভাল, অখিলশ যাদব কনৌজ থেকে প্রার্থী হয়েছেন। তাঁর স্ত্রী ডিম্পল লড়ছেন মৈনপুরী থেকে। এছাড়া ফিরোজাবাদ এবং আজমপুরী থেকে যাদব পরিবারের সদস্যদের ভোটে দাঁড় করিয়েছেন অখিলেশ।
মোদি বলেছিলেন, “গোটা পরিবারকে মাঠে নামিয়ে দিয়েছে। এটা ওঁদের বাধ্যবাধকতা। এটাই ওদের চরিত্র। এটা ছাড়া ওঁদের আর কিছু নেই। পরিবারের সদস্যদের জন্য লড়াই করে আর পরিবারের সদস্যরা ভোটে লড়াই করে, এটাই খেলা।”
লোকসভা ভোটে রাহুল গান্ধি এবং অখিলেশ যাদব হাত মিলিয়েছেন। সেই প্রসঙ্গে নেটওয়ার্ক 18-এর গ্রুপ সম্পাদক রাহুল জোশীর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, তাঁদের জন্য কোনটা ভাল, উত্তরপ্রদেশের মানুষ জানেন।
তাঁর কথায়, “ওঁরা কি আগে হাত মেলায়নি? আগে জোট বাঁধেনি? কিন্তু উত্তরপ্রদেশের মানুষ জানেন, তাঁদের জন্য কোনটা ভাল। আমি সংসদে বলেছিলাম, আজ উত্তরপ্রদেশে এবং দেশে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে বড় নেতারা লোকসভার দৌড় থেকে সরে গিয়ে রাজ্যসভার পথ খোঁজার চেষ্টা করছেন। আসলে বড় নেতারা নির্বাচনে লড়ার জন্য প্রস্তুত নন। তবে আমরা দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছি, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে নিজেদের দায়িত্ব পালন করছি। এবং আমি মনে করি এবার আর ওঁদের কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। কিচ্ছু না।’’