#কলকাতা: ঘড়িতে তখন প্রায় পৌনে তিনটে। লেসলি ক্লডিয়াস সরণির মুখে দাঁড়িয়ে লাল-হলুদ সমর্থকরা। হাতে প্রিয় ক্লাবের পতাকা। মাঝেমধ্যেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব তাঁবুর দিকে তাকিয়ে তাঁদের দীপ্ত স্লোগান, জয় ইস্টবেঙ্গল। এরই মধ্যে এল টিমবাস। আর তার পিছনে দৌড় শুরু হল অত্যুৎসাহীদের। ক্লাব গেটের সামনে বাস দাঁড়াতেই সমর্থকরা অবাক।
সবার প্রথমে নামলেন কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইন। বৃহস্পতিবার সকালেই শহরে পা রাখলেও তাঁর বডি ল্যাঙ্গুয়েজে বিন্দুমাত্র জেট ল্যাগ নেই। সঙ্গেসঙ্গে শুরু হল ‘স্টিফেন, স্টিফেন’ ধ্বনি। সহকারী বিনো জর্জকে সঙ্গে নিয়ে মাঠেও সবার আগে প্রবেশ করলেন তিনি। ক্লাব অন্ত প্রাণ সমর্থকদের উন্মাদনা বৃহস্পতিবার সকালেই দিব্যি টের পেয়েছিলেন কনস্টানটাইন।
তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাতে বিমানবন্দরে হাজির ছিলেন অনেকেই। ফুলের মালা পরিয়ে তাঁকে বরণ করে নেওয়ার পর ছিল সেলফি তোলার আবদারও, যা হাসি মুখে মেটান কোচ। ক্লাবকে সাফল্য এনে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি সেখানেই তাঁর মুখে শোনা যায়। বিকেলে ক্লাব তাঁবু এসে তিনি বলেন, ইস্টবেঙ্গলের ঐতিহ্য সম্পর্কে আমি অবগত। অতীতে জাতীয় দলের কোচ থাকার সুবাদে ভারতীয় ফুটবল আমার অজানা নয়। এখনই আইএসএল জেতার কথা ভাবছি না।
Welcome Home @souvik_23
❤️?#JoyEastBengal https://t.co/tK4PtQqVWV
— EAST BENGAL the REAL POWER (EBRP)❤? (@EBRPFC) August 4, 2022
তবে এটুকু বলতে পারি, মাঠে প্রতিপক্ষরা ইস্ট বেঙ্গলকে সমীহ করবে। এদিন বিকেলে সবার আগে সহকারী বিনোকে নিয়ে মাঠ খাতিয়ে দেখেন তিনি। এরপরই মাঠে প্রবেশ করেন ১৫ জন ফুটবলার। তাঁদের মধ্যে সার্থক গোলুই ও শুভাশিস রায়চৌধুরির সঙ্গে অতীতে কাজ করেছেন স্টিফেন।
বুধবারই ১৩ জন চুক্তিবদ্ধ প্লেয়ারের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। এদিন যোগ দিয়েছেন গোলরক্ষক শুভাশিস ও রাইট ব্যাক লালচুংনুঙ্গা। ফুটবলারদের সঙ্গে পরিচয়পর্ব সেরেই অনুশীলনে নেমে পড়েন ব্রিটিশ কোচ। ওয়ার্ম-আপের পর হয় পাসিং ফুটবলও। অনুশীলনে চোখে পড়ছিল তাঁর অনুশাসনও।
প্লেয়াররা পাসিংয়ে ভুল করলে মিলছিল শাস্তি। সার্থক গোলুইদের পর গা ঘামাতে নামে ইস্ট বেঙ্গলের রিজার্ভ দল। প্র্যাকটিস দেখতে মাঠে উপস্থিত ছিলেন প্রায় শ’পাঁচেক সমর্থক। গোটা সেশনে নতুন কোচ ও ফুটবলারদের উজ্জীবিত করার দায়িত্ব নিয়েছিলেন তাঁরা। অনুশীলনের ফাঁকে কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইনের সঙ্গে আলোচনা সেরে নিতে দেখা যায় লাল-হলুদের শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকারকে।