কলকাতা: এখনও পর্যন্ত ৬৪ শতাংশ বৈদ্যুতিকীকরণ অর্জন করেছে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে। বিশ্বের বৃহত্তম ‘গ্রিন রেলওয়ে’ হয়ে ওঠার জন্য মিশন মোডে এগিয়ে চলেছে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে। মোট শূন্য কার্বন নির্গত অর্জন এবং ১০০ শতাংশ বৈদ্যুতিকীকরণ অর্জনের লক্ষ্য হিসেবে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে তার জোনের মধ্যে আন-ইলেক্ট্রিফাইড ব্রড গজ রুটের সমস্ত বৈদ্যুতিকীকরণ কাজের গতি বৃদ্ধি করে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলেছে।
এখনও পর্যন্ত উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে ২৭০৮.৫২ আরকেএম (রুট কিলোমিটার) বৈদ্যুতিকীকরণ অর্জন করেছে, যা এই নেটওয়ার্কের ৪২৬০.৫২ আরকেএম-এর ৬৪.০০ শতাংশ।আটটি উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে এখনও পর্যন্ত ১৫২৪.৭১ আরকেএম বৈদ্যুতিকীকরণের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। উত্তর পূর্বাঞ্চলে মোট বৈদ্যুতিকীকরণ রুটের মধ্যে অসমে ১৩৫৩.২৩১ আরকেএম, মণিপুরে ২.৮১ আরকেএম, মেঘালয়ে ৯.৫৮ আরকেএম, নাগাল্যান্ডে ৬.০০ আরকেএম এবং ত্রিপুরায় ১৫১.৫৯ আরকেএম ইতিমধ্যে বৈদ্যুতিকীকরণ হয়ে গেছে। এছাড়াও, উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে অধিক্ষেত্রের অধীনে ইতিমধ্যে বিহারে ৩১৮.৮৬৯ আরকেএম এবং পশ্চিমবঙ্গে ৮৬৪.৯৪ আরকেএম বৈদ্যুতিকীকরণ সম্পন্ন হয়েছে।
সমগ্র জোনের বিভিন্ন সেকশনে ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কনস্ট্রাকশন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড (ইরকন), রেল ইন্ডিয়া টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক সার্ভিস (রাইটস) এবং উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে/ কনস্ট্রাকশন দ্বারা বৈদ্যুতিকীকরণের কাজ পর্যায় ক্রমিকভাবে সম্পাদন করা হচ্ছে।বৈদ্যুতিকীকরণের ফলে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মধ্যে ট্রেন চলাচলের উল্লেখযোগ্য উন্নতি হবে ও উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে রেল নেটওয়ার্ক শক্তিশালী হবে এবং পরিবহণের একটি পরিবেশ অনুকূল, দ্রুত, শক্তি সাশ্রয়ী পদ্ধতি প্রদান করবে। দূষণ হ্রাস হওয়ার পাশাপাশি অতিরিক্তভাবে আমদানিকৃত ক্রুড অয়েলের উপর নির্ভরশীলতাও হ্রাস করবে, যার ফলে মূল্যবান বিদেশি মুদ্রা সঞ্চয় হবে। এর ফলে বাধাহীনভাবে পরিবহনের সুবিধা হওয়ার পাশাপাশি ট্রেনের গড় গতিও বৃদ্ধি পাবে, ফলে ট্র্যাকশন পরিবর্তন ক্ষেত্রে ট্রেন চলাচলের সময়ানুবর্তিতার সমস্যাও দূর হবে।বর্তমানে একাধিক অংশে বৈদ্যুতিকরণ হয়ে যাওয়ার সুফল পাচ্ছে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেল। রেলের গতি বৃদ্ধি করা গেছে এর ফলে।